চৈতন্য ও চৈতন্যজীবনী: মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য-বাঙ্গালীর শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
চৈতন্য ও চৈতন্যজীবনী- মধ্যযুগে বাংলার সমাজ ও সাহিত্য-বাঙ্গালীর শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি
১। শ্রীচৈতন্যদেব কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
(ক) ১৪৮৪
(খ) ১৪৮৫
(গ) ১৪৮৬
(ঘ) ১৪৮৭
গ
২। চৈতন্যদেব কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
(ক) মুরশিদাবাদে
(খ) নদিয়ায়
(গ) কৃষ্ণনগরে
(ঘ) নবদ্বীপে
ঘ
৩। চৈতন্যদেব কোন মাসে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ?
(ক) বৈশাখ
(খ) ফাল্গুন
(গ) শ্রাবণ
(ঘ) কার্তিক
খ
৪। চৈতন্যদেবের প্রকৃত নাম কী ছিল?
(ক) নিমাই
(খ) শ্রীচৈতন্য
(গ) বিশ্বম্ভর
(ঘ) গদাধর
গ
৫। চৈতন্যদেবের পিতার নাম কী ছিল?
(ক) জগদীশ মিশ্র
(খ) জগন্নাথ মিশ্র
(গ) যোগেশ মিশ্র
(ঘ) জগন্ময় মিশ্র
খ
৬। চৈতন্যদেবের মায়ের নাম কী ছিল?
(ক) ভগবতী দেবী
(খ) কেতকী দেবী
(গ) শচীদেবী
(ঘ) লক্ষ্মীদেবী
গ
৭। চৈতন্যদেব কোন্ তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
(ক) পূর্ণিমা তিথিতে
(খ) দোলপূর্ণিমা তিথিতে
(গ) শুক্লা চতুর্দশীতিথিতে
(ঘ) মাঘী পূর্ণিমাতিথিতে
খ
৮। চৈতন্যদেবের মৃত্যুসাল হল –
(ক) ১৫৩০
(খ) ১৫৩৩
(গ) ১৫৩৪
(ঘ) ১৫৩২
খ
৯। চৈতন্যদেব কার কাছে দীক্ষাগ্রহণ করেছিলেন ?
(ক) তোতাপুরী
(খ) কেশব সেন
(গ) ঈশ্বরপুরী
(ঘ) কৃয়দাস কবিরাজ
গ
১০। চৈতন্যদেবের প্রথম স্ত্রীর নাম কী ?
(ক) লক্ষ্মীদেবী
(খ) বিষ্ণুপ্রিয়া
(গ) ভারতী দেবী
(ঘ) কোনোটাই নয়
ক
১১। চৈতন্যদেবের দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কী?
(ক) লক্ষ্মীদেবী
(খ) মায়াদেবী
(গ) বিষ্ণুপ্রিয়া
(ঘ) জানকীদেবী
গ
১২। চৈতন্যদেব কার কাছ থেকে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
(ক) ঈশ্বরপুরী
(খ) তোতাপুরী
(গ) কেশবভারতী
(ঘ) কোনোটাই নয়
গ
১৩। চৈতন্যদেব কত বছর বয়সে সন্ন্যাসধর্ম গ্রহণ করেছিলেন?
(ক) চব্বিশ
(খ) ছাব্বিশ
(গ) তিরিশ
(ঘ) বত্রিশ
ক
১৪। চৈতন্যদেব বাল্যকালে কী নামে পরিচিত ছিলেন?
(ক) নিমাই
(খ) গোরা
(গ) শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য
(ঘ) মহাপ্রভু
ক
১৫। বৃন্দাবন দাসের রচিত গ্রন্থের নাম কী?
(ক) চৈতন্যমঙ্গল
(খ) চৈতন্যভাগবত
(গ) চৈতন্যচরিতামৃত
(ঘ) শ্রীকৃষ্ণবিজয়
খ
১৬। লোচনদাসের রচিত গ্রন্থের নাম কী?
(ক) চৈতন্যভাগবত
(খ) চৈতন্যমঙ্গল
(গ) চৈতন্যচরিতামৃত
(ঘ) গোবিন্দদাসের কড়চা
খ
১৭। চৈতন্যচরিতামৃত গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –
(ক) বৃন্দাবন দাস
(খ) নিমাই
(গ) লোচনদাস
(ঘ) কৃষ্ণদাস কবিরাজ
১৮। গোবিন্দদাসের কড়চা’ গ্রন্থটির আবিষ্কারক হলেন –
(ক) পণ্ডিত জয়গোপাল গোস্বামী
(খ) পণ্ডিত জগদীশ গোস্বামী
(গ) পণ্ডিত জয় গোস্বামী
(ঘ) পণ্ডিত জয়ব্রত গোস্বামী
ক
১৯। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি কটি সর্গে বিভক্ত?
(ক) ২২টি
(খ) ২৩টি
(গ) ২৪টি
(ঘ) ২৫টি
খ
২০। চৈতন্যচরিতামৃতে কতগুলি শ্লোক আছে?
(ক) ২৮০টি
(খ) ২৭৮টি
(গ) ২৭৯টি
(ঘ) ২৮৮টি
ঘ
২১। বৃন্দাবন দাস কোন্ সময়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন?
(ক) ১৫১৯
(খ) ১৫২০
(গ) ১৫২১
(ঘ) ১৫২২
ক
২২। ‘চৈতন্যভাগবত’ কী জাতীয় রচনা?
(ক) গল্প
(খ) টীকা
(গ) জীবনীসাহিত্য
(ঘ) ধৰ্মমূলক
গ
২৩। শ্রীচৈতন্য কার রাজত্বকালে আবির্ভূত হয়েছিলেন?
(ক) আকবর
(খ) হুমায়ুন কবীর
(গ) হুসেন শাহ
(ঘ) ঔরঙ্গজেব
গ
২৪। শ্রীচৈতন্যদেবের আদি বাসস্থান কোথায় ছিল?
(ক) নদিয়া
(খ) শ্রীহট্ট
(গ) নবদ্বীপ
(ঘ) তেহট্ট
খ
২৫। চৈতন্যদেব কত খ্রিস্টাব্দে বৃন্দাবন পরিক্রমায় বেরিয়েছিলেন?
(ক) ১৫১০
(খ) ১৫১১
(গ) ১৫১২
(ঘ) ১৫১৩
ঘ
২৬। চৈতন্যদেবের প্রথম জীবনীগ্রন্থ রচনা করেন –
(ক) মুরারিগুপ্ত
(খ) কৃষ্ণদাস কবিরাজ
(গ) জয়ানন্দ
(ঘ) লোচনদাস
ক
২৭। মুরারিগুপ্তের লেখা চৈতন্যজীবনীগ্রন্থের নাম কী ?
(ক) চৈতন্যভাগবত
(খ) শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম্
(গ) চৈতন্যমঙ্গল
(ঘ) শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত
খ
২৮। শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত মহাকাব্য’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –
(ক) কবিকর্ণপুর
(খ) পরমানন্দ সেন
(গ) মুরারিগুপ্ত
(ঘ) বৃন্দাবন দাস
ক
২৯। ‘চৈতন্যচন্দ্রোদয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –
(ক) পরমানন্দ সেন
(খ) কবিকর্ণপুর
(গ) বৃন্দাবন দাস
(ঘ) লোচন দাস
খ
৩০। ‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির আনুমানিক রচনাকাল হল –
(ক) ১৫৪০-১৫৪২ খ্রিঃ
(খ) ১৫৪০-১৫৪১ খ্রিঃ
(গ) ১৫৪১-১৫৪২ খ্রিঃ
(ঘ) ১৫৪২-১৫৪৩ খ্রিঃ
গ
৩১। ‘গৌরাঙ্গবিজয়’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –
(ক) লোচনদাস
(খ) বৃন্দাবনদাস
(গ) মুরারিগুপ্ত
(ঘ) চূড়ামণি দাস
ঘ
৩২। ‘গৌরাঙ্গবিজয়’ কোন সময়ের রচনা ?
(ক) আনুমানিক ষোড়শ শতক
(খ) আনুমানিক পঞ্চদশ শতক
(গ) আনুমানিক সপ্তদশ শতক
(ঘ) আনুমানিক চতুর্দশ শতক
ক
১। চৈতন্যদেব কোথায় কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেছিলেন?
শ্রীচৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে ফাল্গুনী দোল পূর্ণিমার দিন নবদ্বীপে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
২। বৃন্দাবন দাসের রচিত গ্রন্থের নাম কী?
বৃন্দাবন দাসের রচিত গ্রন্থের নাম ‘চৈতন্যভাগবত”।
৩। লোচন দাসের রচিত গ্রন্থের নাম কী?
লোচনদাসের রচিত গ্রন্থের নাম ‘চৈতন্যমঙ্গল’।
৪। “চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি কে রচনা করেন?
কৃষ্ণদাস কবিরাজ ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি রচনা করেন।
৫। কত বছর বয়সে চৈতন্যদেবের তিরোধান হয়েছিল ?
মাত্র ৪৮ বছর বয়সে পুরীধামে চৈতন্যদেবের তিরোধান ঘটে।
৬। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি কটি সর্গে বিভক্ত ও গ্রন্থটিতে কতগুলি শ্লোক আছে?
চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটি ২৩টি সর্গে বিভক্ত এবং এতে মোট ২৮৮টি শ্লোক আছে।
৭। রচয়িতার নাম সহ বাংলায় লেখা প্রধান দুটি চৈতন্যজীবনী গ্রন্থের নাম লেখা।
বাংলায় লেখা প্রধান দুটি চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ হল বৃন্দাবনদাসের ‘চৈতন্যভাগবত’ এবং কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’।
৮। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটির কটি খন্ড এবং কী কী?
‘চৈতন্যচরিতামৃত’ গ্রন্থটির তিনটি খণ্ড – আদিলীলা, মধ্যলীলা ও অন্তলীলা
৯। ‘চৈতন্যলীলার ব্যাস’ কে? তাঁর গ্রন্থের নাম কী?
‘চৈতন্যলীলায় ব্যাস’ হলেন কবি বৃন্দাবন দাস
তাঁর গ্রন্থের নাম ‘চৈতন্যভাগবত’।
১০। সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রথম চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ কোনটি?
সংস্কৃত ভাষায় রচিত প্রথম চৈতন্যজীবনী গ্রন্থটি হল মুরারি গুপ্তের লেখা ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃত’।
১১। বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ কোনটি?
বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম চৈতন্যজীবনী গ্রন্থটি হল বৃন্দাবন দাস রচিত ‘শ্রীশ্রীচৈতন্যভাগবত’।
১২। ‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির কোন খণ্ডটি অসম্পূর্ণ?
‘চৈতন্যভাগবত’ গ্রন্থটির অন্তখন্ডটি অসম্পূর্ণ।
১৩। জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ কোন জাতীয় গ্রন্থ?
জয়ানন্দের ‘চৈতন্যমঙ্গল’ গ্রন্থটি একটি পালাগান।
১৪। কৃষ্ণদাস কবিরাজের বাবা এবং মা-এর নাম কী ছিল?
কৃষ্ণদাস কবিরাজের বাবার নাম ছিল ভগীরথ এবং মা-এর নাম ছিল সুনন্দা।
১৫। কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘চৈতন্যচরিতামৃত ছাড়া আর একটি গ্রন্থের নাম লেখো।
কৃষ্ণদাস কবিরাজের একটি সুবৃহৎ গ্রন্থ হল ‘গোবিন্দলীলামৃত’। এই গ্ৰন্থের ভাষা সংস্কৃত এবং শ্লোকসংখ্যা ১২৫৮৮।
১৬। কৃষ্ণদাস কবিরাজের চৈতন্যজীবনী গ্রন্থ ছাড়া আর কী গ্রন্থ রয়েছে?
কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘সিদ্ধান্তকৌমুদি” ব্যাকরণ এবং বিশ্বপ্রকাশ ও অমরকোষ নামে অভিধানও রয়েছে।
১। চৈতন্যদেব কত খ্রিস্টাব্দে, কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ? বাংলা সাহিত্যে চৈতন্যদেবের প্রভাব আলোচনা করো।
২+৩ (২০১৭, ২০২২)
শ্রীচৈতন্যদেব ১৪৮৬ খ্রিস্টাব্দে নবদ্বীপে জন্মগ্ৰহণ করেন।
চৈতন্যদেবের প্রত্যক্ষ প্রভাবে বাংলা সাহিত্যে চৈতন্য জীবনাসাহিত্য ও চৈতন্য পদাবলি নামে দুটি ধারা সৃষ্টি হয়েছিল। শ্রীচৈতন্য তাঁর ভক্তদের চোখে দেবতা বলে প্রতিপন্ন হওয়ায় বৈষ্ণব কবিগণ এই প্রেমাবতার মানুষটির ভাগবত জীবন নিয়ে কাব্যরচনা করলেন, যা চৈতন্য জীবনীসাহিত্য বলে পরিচিত হয়ে রয়েছে। এছাড়া রাধাভাবে ভাবিত তরুণ সন্ন্যাসীর ভাবমূর্তিকে নিয়ে বহু পদ রচিত হয়েছে যাকে বলা হয় গৌরচন্দ্রিকা। পাশাপাশি শ্রীচৈতন্যের কৈশোরজীবন, যৌবনলীলা, সন্ন্যাসগ্রহণ প্রভৃতি ব্যক্তিজীবনের বাস্তবরূপ নিয়ে লেখা হয়েছে বহু পদ, যাকে বলা হয় গৌরাঙ্গ বিষয়ক পদ।
বাংলা সাহিত্যে রাধাকৃষ্ণের পদাবলির ধারার সঙ্গে এই চৈতন্যপদাবলি এক নব সংযোজন। চৈতন্যদেবের পরোক্ষ প্রভাবে সংস্কৃত সাহিত্যের প্রতি আকর্ষণ, হাস্যরস পরিবেশনে গ্রাম্যস্থূলতা অতিক্রম, বাংলা মৈথিলি সংমিশ্রণে ব্রজবুলি ভাষার উদ্ভব, নাটক, যাত্রাগান, পাঁচালি সাহিত্যে ভক্তিভাবের প্রকাশ ঘটেছিল। এভাবেই শ্রীচৈতন্য নিজে সাহিত্যস্রষ্টা না হয়েও বাংলা সাহিত্যকে সৃষ্টির প্রাচুর্যে পরিপুষ্ট করে তুলেছেন।
শ্রীচৈতন্যজীবনী কাব্যগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ কৃষ্ণদাস কবিরাজের ‘শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত”। এই গ্রন্থের যথার্থ পরিচয় কাব্যরসে নয়, নিছক জীবনীরূপেও নয়, বিষয়-মাহাত্ম্যে, তথ্যনিষ্ঠায়, দর্শন, ইতিহাস ও কাব্যের সমন্বয়ে কৃষ্ণদাসের রচনা অসামান্য। ‘চৈতন্যচরিতামৃত’ বৈষ্ণবদের কাছে মহামূল্যবান প্রশ্ন। চৈতন্যকে অবতাররূপে স্বীকার করে নিলেও কৃষ্ণদাস কবিরাজ তাঁর মানবীয় রূপটি ফুটিয়ে তুলেছেন। দার্শনিক প্রজ্ঞা এবং বৈজ্ঞানিকের যুক্তিনিষ্ঠা নিয়ে তিনি দুরূহ তত্ত্ব ব্যাখ্যা করেছেন। অনেক ক্ষেত্রে বিষয় নীরস হলেও ভাষার সরসতায় তা আকর্ষণীয় হয়েছে।
কৃষ্ণদাস রাধাকৃষ্ণ তত্ত্বকে সহজ ভাষায় ব্যক্ত করে সর্বসাধারণের বোধগম্য করে তুলেছিলেন। ভক্তের চোখে প্রেমের রূপ প্রসঙ্গে বলেছেন –
“আত্মেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা তারে বলি কাম।
কুষ্ণেন্দ্রিয় প্রীতি ইচ্ছা ধরে প্রেম নাম।।”
গ্রন্থটি আদি, মধ্য ও অন্ত্য খণ্ডে বিভক্ত এবং মোট অধ্যায় সংখ্যা বাষট্টি। আদি ও মধ্য খণ্ডে বহু কাহিনিকে তিনি শুধু স্পর্শ করে গেছেন, বিস্তারিত বর্ণনা দেন নি, অন্ত খণ্ডে পৌঁছে দিব্যোন্মাদ দশাগ্রস্ত চৈতন্যদেবের অন্তর্জীবনের সুক্ষ্মাতিসুক্ষ্ম ভাবরসের স্বরূপ উদ্ঘাটন করেছেন। চৈতন্যজীবনের গভীর তাৎপর্য, উদ্দেশ্য ও পরিণাম, আর তারই সঙ্গে ভক্তিশাস্ত্র, দর্শন ও গৌড়ীয় বৈষ্ণবধর্মের মূল তত্ত্বকথার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাই ছিল তাঁর প্রধান উদ্দেশ্য।