ঔপনিবেশিক বাংলার সামাজিক, ধর্মীয় আন্দোলন, শিক্ষা সংস্কার-আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (একাদশ শ্রেণী)

ঔপনিবেশিক বাংলার সামাজিক, ধর্মীয় আন্দোলন, শিক্ষা সংস্কার-আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (একাদশ শ্রেণী)

ঔপনিবেশিক বাংলার সামাজিক, ধর্মীয় আন্দোলন, শিক্ষা-সংস্কার

১। ছাপার অক্ষরে প্রথম বাংলা বই হল –

(ক) কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ 

(খ) লিপিমালা

(গ) রাজাবলি

(ঘ) বত্রিশ সিংহাসন

২। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হ্যালহেড সাহেব কোন ভাষায় দক্ষ ছিলেন?

(ক) ইংরেজি

(খ) বাংলা

(গ) হিন্দি

(ঘ) উর্দু

৩। “বোধপ্রকাশং শব্দশাস্ত্রং’ গ্রন্থটি রচনা ও মুদ্রিত করেন –

(ক) উইলিয়াম কেরি

(খ) হ্যালহেড সাহেব 

(গ) রামরাম বসু

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

৪। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম প্রোটেস্টান্ট মিশন প্রতিষ্ঠিত হয় –

(ক) ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ

(খ) ১৮০১ খ্রিস্টাব্দ

(গ) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ

(ঘ) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দ

৫। শ্রীরামপুর মিশন থেকে কেরি, মার্শম্যান প্রমুখ মিশনারিদের নেতৃত্বে প্রথম বাংলা ভাষায় কোন গ্রন্থ অনূদিত ও মুদ্রিত হয়েছিল?

(ক) ব্যাকরণ

(খ) বাইবেল

(গ) রামায়ণ

(ঘ) মহাভারত

৬। ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র বাইবেল বাংলা ভাষায় কী নামে ছাপা হয়ে প্রকাশিত হয়?

(ক) বাইবেল

(খ) Old Testament

(গ) New Testament

(ঘ) ধর্মপুস্তক

৭। ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় –

(ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ

(খ) ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দ

(গ) ১৮০৬ খ্রিস্টাব্দ

(ঘ) ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দ

৮। কেরি সাহেবের উদ্যোগে ১৮০২ খ্রিস্টাব্দে গোলকনাথ শৰ্মা লিখেছিলেন –

(ক) ঈশপস ফেলসের অনুবাদ

(খ) তোতা ইতিহাস

(গ) হিতোপদেশ

(ঘ) পুরুষ পরীক্ষা

৯। ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে রাজীবলোচন মুখোপাধ্যায় লিখেছিলেন –

(ক) মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রম

(খ) হিতোপদেশ

(গ) তোতা ইতিহাস

(ঘ) ইতিহাসমালা

১০। ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যাপতির সংস্কৃত গ্রন্থ বাংলায় অনুবাদ করেন –

(ক) তারিণীচরণ মিত্র

(খ) চন্ডীচরণ মুনশি

(গ) হরপ্রসাদ রায়

(ঘ) তর্কপঞ্চানন

১১। কেরি সাহেবকে বাংলা শিখিয়েছিলেন – 

(ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

(খ) রামরাম বসু

(গ) রামমোহন

(ঘ) হরপ্রসাদ রায়

১২। রামরাম বসুর লেখা একটি গদ্যগ্রন্থ হল –

(ক) লিপিমালা 

(খ) ইতিহাসমালা

(গ) পুরুষ পরীক্ষা

(ঘ) হিতোপদেশ

১৩। ‘রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র’ শীর্ষক গদ্যগ্রন্থটির লেখক হলেন –

(ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

(খ) রামমোহন

(গ) রামরাম বসু

(ঘ) কেরি সাহেব

১৪। ‘বত্রিশ সিংহাসন’ গ্রন্থটির লেখক হলেন –

(ক) রামরাম বসু

(খ) মৃত্যুশ্বর বিদ্যালংকার

(গ) কেরি সাহেব

(ঘ) হরপ্রসাদ রায়

১৫। ‘রাজাবলি’ গ্রন্থটি রচনা করেছেন –

(ক) কেরি সাহেব 

(খ) হরপ্রসাদ রায়

(গ) মৃত্যুপ্রয় বিদ্যালংকার

(ঘ) তারিণীচরণ ঘোষ

১৬। বিদ্যাসাগরের পূর্বে বাংলা গদ্য ভাষার যথার্থ শিল্পী হলেন –

(ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

(খ) রামরাম বসু

(গ) কেরি

(ঘ) গোলকনাথ শর্মা 

১৭। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে বাংলা বিভাগের কর্ণধার ছিলেন –

(ক) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

(খ) হরপ্রসাদ শাস্ত্রী

(গ) কেরি সাহেব

(ঘ) রামরাম বসু

১৮। ১৮১২ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়েছিল কেরি সাহেবের –

(ক) বত্রিশ সিংহাসন

(খ) কথোপকথন

(গ) পুরুষপরীক্ষা

(ঘ) ইতিহাসমালা

১৯। রাজা রামমোহনের জন্ম কত খ্রিস্টাব্দে?

(ক) ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে 

(খ) ১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে

২০। সতীদাহ প্রথার বিরুদ্ধে আন্দোলনের পথিকৃৎ ছিলেন –

(ক) রামরাম বসু 

(খ) রামমোহন রায় 

(গ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

(ঘ) কেরিসাহেব

২১। রামমোহন রায়ের লেখা বাংলা ব্যাকরণের নাম হল –

(ক) ব্রাহ্মণ সেবধি

(খ) ব্রহ্মসংগীত

(গ) গৌড়ীয় ব্যাকরণ

(ঘ) সম্বাদ কৌমুদী

২২। ‘পাষণ্ডপীড়ন’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –

(ক) কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন

(খ) রামরাম বসু

(গ) হরপ্রসাদ রায়

(খ) কেরি

২৩। বাংলাদেশে সাময়িক পত্রের সূচনা হয় –

(ক) ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে 

(খ) ১৮০৫ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে

২৪। প্রথম বাংলা দৈনিক পত্রের সম্পাদক ছিলেন –

(ক) রামমোহন

(খ) ঈশ্বরগুপ্ত

(গ) মার্শম্যান

(ঘ) ভবানীচরণ

২৫। ঈশ্বরগুপ্ত সম্পাদিত সাময়িকপত্রের নাম হল – 

(ক) দিগদর্শন

(খ) সমাচার দর্পণ

(গ) সংবাদ প্রভাকর

(ঘ) সম্বাদ কৌমুদী

২৬। ‘বাঙ্গাল গেজেটি’ শীর্ষক সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –

(ক) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

(খ) ঈশ্বরগুপ্ত

(গ) রামমোহন

(ঘ) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

২৭। ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ শীর্ষক সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –

(ক) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

(খ) ঈশ্বরগুপ্ত

(গ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

(ঘ) রামমোহন

২৮। হিন্দু কলেজের প্রগতিপন্থী ছাত্রেরা কী নামে পরিচিত ছিলেন ?

(ক) বেঙ্গাল ইয়ং 

(খ) ইয়ং বেঙ্গল

(গ) প্রগতিবাদী

(ঘ) কোনোটাই নয়

২৯। বাংলাদেশে আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞান চর্চার সূত্রপাত হয় কোন্ পত্রিকায়?

(ক) জ্ঞানান্বেষণ

(খ) সংবাদ প্রভাকর

(গ) সম্বাদ কৌমুনী

(ঘ) বঙ্গদূত

৩০। ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন –

(ক) রামমোহন

(খ) ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়,

(গ) গঙ্গাকিশোর ভট্টাচার্য

(ঘ) ঈশ্বরগুপ্ত

৩১। ‘আত্মতত্ত্বকৌমুদী’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –

(ক) হরপ্রসাদ রায় 

(খ) চন্ডীচরণ মুনশি

(গ) কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন

(ঘ) মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালংকার

৩২। বিলাতের কোন কলেজে বাংলা, ফারসি প্রভৃতি ভারতীয় ভাষা শিক্ষার ব্যবস্থা হয়েছিল?

(ক) হেলিবেরি 

(খ) অক্সফোর্ড 

(গ) অক্সফোর্ড মিশন

(ঘ) কোনোটাই নয়

৩৩। ক্যালকাটা স্কুল বুক সোসাইটি করে স্থাপিত হয়?

(ক) ১৮১০ খ্রিস্টাব্দে

(খ) ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে

৩৪। ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল –

(ক) ১৮২৫ খ্রিস্টাব্দে 

(খ) ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে

(গ) ১৮২৮ খ্রিস্টাব্দে

(ঘ) ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে

৩৫। আর্যসমাজের প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

(ক) রামমোহন

(খ) কেশবচন্দ্র সেন

(গ) রানাডে

(ঘ) দয়ানন্দ সরস্বতী

৩৬। — খ্রিস্টাব্দের ১ নভেম্বর মহারানি ভিক্টোরিয়া নিজে ভারত শাসনভার গ্রহণ করেন।

(ক) ১৮৫৫

(খ) ১৮৫৮

(গ) ১৮৫৭

(ঘ) ১৮৫৬

৩৭। উইলকিনসের ইংরেজি অনুবাদ ‘ভগবদগীতা’ বারাণসী থেকে কত সালে প্রকাশিত হয়?

(ক) ১৭৮০

(খ) ১৭৮২

(গ) ১৭৮৩

(ঘ) ১৭৮৫

৩৮। ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুরে শ্রীরামপুর মিশনের ও — কাজ শুরু হয়।

(ক) মুদ্রণযন্ত্রের

(খ) পুস্তক রচনার

(গ) বাংলা পুস্তক রচনার

(ঘ) কোনোটাই নয়

৩৯। ১৮০০ থেকে ১৮২৫ পর্যন্ত সময়টা বাংলা লেখার কোন কাল?

(ক) প্রথম কাল

(খ) প্রথম পর্বের কাল

(গ) দ্বিতীয় পর্বের কাল

(ঘ) তৃতীয় পর্বের কাল

৪০। কত সালের ২০ জানুয়ারি কুড়ি জন ছাত্র নিয়ে হিন্দু কলেজ আরম্ভ হয়েছিল?

(ক) ১৮১৪

(খ) ১৮১৭

(গ) ১৮১৫ 

(ঘ) ১৮১৮

৪১। বাঙালির জন্য ইংরেজি ও বাংলা পাঠ্য বই রচনার প্রথম প্রতিষ্ঠান হল –

(ক) কলিকাতা স্কুল বুক সোসাইটি 

(খ) বিশপস্ কলেজ

(গ) শ্রীরামপুর কলেজ

(ঘ) কোনোটাই নয়

৪২। রামমোহন রায়ের স্কুলে ইংরেজি শিক্ষার সঙ্গে আর কিসের ওপর জোর দেওয়া হত?

(ক) ধর্মশিক্ষার

(খ) ধর্মশিক্ষা ও নীতিশিক্ষার

(গ) নীতিশিক্ষার

(ঘ) বৃত্তিমূলক শিক্ষার

৪৩। কত খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর লর্ড বেন্টিঙ্ক সতীদাহ প্রথা আইন বিরুদ্ধ বলে ঘোষণা করেন?

(ক) ১৮২৪

(খ) ১৮২২

(গ) ১৮২৬

(ঘ) ১৮২৯

৪৪। সমাজ সংস্কারের আন্দোলনের একটি প্রধান আশ্রয় ছিল মুদ্রাযন্ত্র ও —।

(ক) সংবাদপত্র

(খ) অর্থ

(গ) পুস্তক

(ঘ) কোনোটাই নয়

১। বাংলাদেশে কোন শতাব্দী থেকে ঔপনিবেশিক শক্তি আসতে শুরু করেছিল? 

ষোড়শ শতাব্দী থেকে বাংলাদেশে পোর্তুগিজ বণিক ও বোম্বেটের দল আসতে শুরু করেছিল। 

২। পোর্তুগিজ পাদরিরা বাংলা কড়চা বই লিখতে শুরু করেছিলেন কেন?

পোর্তুগিজ পাদরিরা নিজেদের ধর্ম বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কড়চা বই লিখতে শুরু করেছিলেন।

৩। ‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ গ্রন্থটির রচয়িতা কে? 

‘কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ’ গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন মানোএল দা আমসুম্পসাউ।

৪। প্রথম বাংলা ছাপার অক্ষরের ব্যবহার কোথায় পাওয়া যায় ? 

হ্যালহেডের বাংলা ব্যাকরণে উদাহরণ ও উদ্ধৃতিতে বাংলা ছাপার অক্ষরের প্রথম ব্যবহার পাওয়া যায় (১৭৭৮ খ্রিস্টাব্দ)। 

৫। উইলিয়ন কেরি কবে, কেন কলকাতায় এসেছিলেন ?

ব্যাপটিস্ট মিশনের পাদরি উইলিয়ম কেরি ১৭৯৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। 

৬। চার্লস উডের শিক্ষা-বিষয়ক প্রস্তাব কী ছিল?

চার্লস উড ইংরেজি ও আধুনিক ভারতীয় ভাষার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ওপর গুরুত্ব নিয়েছিলেন।

৭। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে উডের সুপারিশের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কী ছিল? 

উডের সুপারিশে ১৮৫৭ সালে কলকাতা, মুম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়েছিল।

৮। বিশ্ববিদ্যালয়গুলির দায়িত্ব কি ছিল? 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলির প্রধান দায়িত্ব ছিল মহাবিদ্যালয়গুলির অনুমোদন দেওয়া, পরীক্ষা গ্রহণ করা ও উপাধি প্রদান করা। 

৯। হান্টার কমিশন কবে গঠিত হয়?

চার্লস উডের পর লর্ড রিপনের আমলে ১৮৮২ সালে হান্টার কমিশন গঠিত হয়।

১০। হান্টার কমিশন কোন বিষয়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিল? 

হান্টার কমিশন প্রাথমিক শিক্ষা, স্ত্রী শিক্ষা, বিজ্ঞান ও নীতিশিক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিল।

১১। মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য হান্টার কমিশনের সুপারিশ কী ছিল? 

মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য বিদ্যালয় স্থাপন ও উন্নতির জন্য সরকারি অনুদানের সুপারিশ করা হয়েছিল।

১২। প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য হান্টার কমিশনের সুপারিশ কী ছিল?

প্রাথমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য বেসরকারি বিদ্যালয়গুলির অবস্থার উন্নতির ওপর জোর দেওয়া হয় এবং আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

১৩। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে হান্টার কমিশনের সুপারিশ কী ছিল? 

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে হান্টার কমিশন কোনো সংস্কারের প্রস্তাব দেয় নি বা বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারেরও কোনো সুপারিশ করে নি।

১৪। ইন্ডিয়ান ইউনিভারসিটিজ আইন কার আমলে তৈরি হয় ?

ইন্ডিয়ান ইউনিভারসিটিজ আইন লর্ড কার্জনের আমলে (১৯০৪) তৈরি হয়।

১৫। লর্ড কার্জনের সময় মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে কী সুপারিশ করা হয় ? 

মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নতির জন্য বিদ্যালয়গুলির আর্থিক নিরাপত্তা, পরিচালন সভাগুলির যথাযথ সংগঠন, শিক্ষা ও শিক্ষকের মানের ওপর জোর দেওয়া হয়।

১৬। লর্ড কার্জনের সময় উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়?

উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে পঠন-পাঠন ও গবেষণার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং অধ্যাপক নিয়োগ, পাঠাগার স্থাপন, বিজ্ঞানের পরীক্ষণাগার নির্মাণের দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

১৭। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কবে, কে প্রতিষ্ঠা করেন? 

১৯২১ সালে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বোলপুর শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

১৮। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কোন্ আদর্শে গড়ে তোলা হয়েছিল?

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্য ও প্রতীচ্য শিক্ষার আদর্শে গড়ে তোলা হয়।

১৯। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন কবে গঠিত হয়েছিল এবং কেন?

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পর্যালোচনার জন্য ১৯১৭ সালে ড. মাইকেল স্যাডলারের নেতৃত্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠন করা হয়।

২০। ‘হারতোগ কমিটি’ কবে, কেন গঠিত হয়েছিল? 

১৯২৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম পর্যালোচনার জন্য স্যার ফিলিপ হারতোগের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল।

২১। ভারত সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা স্যার জন সারজেন্ট কী রিপোর্ট তৈরি করেছিলেন?  

স্যার জন সারজেন্ট রিপোর্টে সুপারিশ করেছিলেন যে, একটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন স্থাপন করা উচিত।

২২। পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের একটি আনুষঙ্গিক ত্রুটি কি ছিল? 

পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থার একটি আনুষঙ্গিক ত্রুটি হল এই শিক্ষাব্যবস্থা জীবনমুখী ছিল না।

২৩। কোম্পানির আমলে শিক্ষানীতির একটি বড়ো ত্রুটি কি ছিল?

কোম্পানির আমলে শিক্ষানীতির একটি বড়ো ত্রুটি হল নারীশিক্ষা বিস্তারে অবহেলা।

২৪। তিন আইন’ কী? 

১৮৭২ সালে স্বীকৃত ব্রাহ্মবিবাহ আইন হল ‘তিন আইন’। এতে বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ নিষিদ্ধ ও অসবর্ণবিবাহ স্বীকৃত হয়।

২৫। কেশবচন্দ্রের আদর্শ কী ছিল?

কেশবচন্দ্রের আদর্শ ছিল মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ধর্মীয় ভাব ও চেতনার পুনরুজ্জীবন ঘটানো এবং সমাজ সংস্কার করা।

২৬। কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে কী করেছিলেন? 

কেশবচন্দ্র ব্রাহ্মসমাজ থেকে বেরিয়ে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্ম সমাজ প্রতিষ্ঠা করেন।

২৭। প্রার্থনা সমাজের প্রাণপুরুষ কাদের বলা হয় ? 

প্রার্থনা সমাজের প্রাণ পুরুষ ছিলেন সংস্কৃত পণ্ডিত ও অধ্যাপক রামকৃষ্ণ গোপাল ভান্ডারকর এবং দক্ষ প্রশাসক, বিচারপতি ও ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক রানাডে।

Leave a Comment