বাংলা চলচ্চিত্র ধারায় বাংলা চলচ্চিত্রের কথা হতে বড় প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল । বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস হতে প্রথম পর্ব: বাঙালির শিল্প ও সংস্কৃতির তৃতীয় অধ্যায় বাংলা চলচিত্রের কথা ।
বাংলা চলচ্চিত্র ধারায় বাংলা চলচ্চিত্রের কথা
বাঙালির শিল্প ও সংস্কৃতির তৃতীয় অধ্যায় বাংলা চলচিত্রের কথা ।
১. বাংলা সিনেমায় সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা কর।
৫ (২০১৫)
প্রাককথন : –
বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমার নবজন্ম ঘটে যার হাত ধরে তিনি সত্যজিৎ রায় (১৯২১ – ১৯৯২)।তিনি বিখ্যাত ফরাসি পরিচালক জঁ রেনোয়ার ছবির শুটিং নিয়মিত দেখতে যেতেন এবং সিনেমা তৈরির নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। ইংল্যান্ডে থাকার সময় তিনি ইউরোপের বিখ্যাত সব সিনেমা দেখার সুযোগ পান। ফলে চলচ্চিত্রের নিজস্ব ভাষা সম্পর্কে তাঁর স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়।
সিনেমায় হাতেখড়ি : –
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পথের পাঁচালী’উপন্যাসের একটি খসড়া চিত্রনাট্য নিয়ে তিনি দেশে ফিরে আসেন। কলকাতায় ফিরে শুভানুধ্যায়ীদের সহযোগিতায় শুটিং শুরু করেন। নিজের বই, রেকর্ড, পেন্টিং, বিক্রি করে তিনি সিনেমা বানানোর টাকা সংগ্রহ করেন। টাকার অভাবে বহুবার শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের উদ্যোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আর্থিক সাহায্য নিয়ে সিনেমাটি তৈরি হয়। এই ছবি দিয়েই সত্যজিৎ রায় সিনেমা জগতে পা রাখেন।
অপু-ট্রিলজি : –
১৯৫৫ সালের ২৬ আগস্ট ‘পথের পাঁচালী’ মুক্তি পায়। ‘পথের পাঁচালী’ -র পরের অংশের কাহিনী নিয়ে তিনি ‘অপরাজিত’ও ‘অপুর সংসার’তৈরি করেন, যা ‘অপু-ট্রিলজি’নামে পরিচিত। এই তিনটি সিনেমা বিশ্বের সিনেমা – রসিকদের কাছে সম্মান ও সমাদর লাভ করেছে। তাঁর ‘পথেরপাঁচালী’ সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ The best human document’শিরোপা নিয়ে পুরস্কৃত হয়।
চলচ্চিত্র সম্ভার : –
সত্যজিৎ রায় পরিচালিত বিখ্যাত সিনেমা গুলি হল ‘জলসাঘর’, ‘চারুলতা’, ‘পরশপাথর’, ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’, ‘অশনি সংকেত’, ‘জন অরণ্য’, ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’, ‘তিন কন্যা’, ‘ঘরে বাইরে’, ‘শাখা প্রশাখা’, ‘শতরঞ্জকে খিলাড়ি’ইত্যাদি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নষ্টনীড়’গল্প অবলম্বনে তৈরি ‘চারুলতা’তাঁর সবচেয়ে প্রশংসিত, আলোচিত ও জনপ্রিয় ছবি।
শিশু কিশোর চলচ্চিত্র : –
বিচিত্র বিষয় নিয়ে ছবি তৈরি করে তিনি নিজেই আন্তর্জাতিক সিনেমার এক স্বতন্ত্র ঘরানার স্রষ্টা। শিশু কিশোর মনের উপযোগী ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’প্রভৃতি সিনেমা গুলি গল্পে, কম্পোজিশনে, সৃজনে ও কল্পনায় মৌলিক ও চিরকালীন।
তথ্যচিত্র : –
সত্যজিৎ রায় মোট ৫ টি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। চারটি জীবনীমূলক তথ্যচিত্র হল ‘Rabindranath Tagore’ (১৯৬১), ‘The Inner Eye’ (১৯৭২), ‘Bala’ (১৯৭৬), ‘Sukumar Ray’ (১৯৮৭)।তাঁর একমাত্র তথ্য কেন্দ্রিক রঙিন ছবি ‘Sikkim’ । সত্যজিৎ রায়ের নিজের মতে ‘The Inner Eye’ তাঁর শ্রেষ্ঠ কাজ। কারণ,তিনি লিখেছেন ‘এই ছবি নির্মাণ করেছি আমি আমার গভীর এক অনুভূতি থেকে’।
শেষ কথা : –
কেবলমাত্রচলচ্চিত্র নির্মাণ ও পরিচালনাই নয়, কাহিনী ও চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি ‘তিন কন্যা’, ‘নায়ক’, ‘চারুলতা’, ‘হীরকরাজারদেশে’ইত্যাদি বেশ কিছু সিনেমায় তিনি সঙ্গীত পরিচালনা করেন। ‘লিজিয়ন অব অনার’, ‘ভারতরত্ন’সম্মান সহ তিনি বিভিন্ন স্তরের জাতীয় পুরস্কার, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও ভারতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ‘দাদাসাহেব ফালকে’পুরস্কার অর্জন করেন।
২. বাংলা চলচ্চিত্র ধারায় ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা কর।৫ (২০১৭)
প্রাককথন : –
বাংলা চলচ্চিত্রের বিস্ময়কর প্রতিভা ঋত্বিক ঘটক (১৯২৫ – ১৯৭৬)।সত্যজিৎ রায়ের সাথেই বাংলা সিনেমায় তাঁর আত্মপ্রকাশ। ঢাকায় জন্ম নেওয়া ঋত্বিক ঘটকের কৈশোর ও প্রথম যৌবনে পদ্মা পারে কাটানোর অভিজ্ঞতা তাঁর চলচ্চিত্র নির্মাণের জীবনকে প্রভাবিত করেছিল।
সিনেমায়হাতেখড়ি:-
বিমল রায়ের সহযোগী হিসেবে সিনেমা জগতে তাঁর হাতেখড়ি। এরপর ‘ছিন্নমূল’সিনেমায় তিনি নিমাই ঘোষের সহকারী হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৫২ সালে তৈরি হওয়া ‘নাগরিক’ঋত্বিক ঘটকের প্রথম ছবি হলেও আর্থিক কারণে তা মুক্তি পায় ১৯৭৭ সালে। ১৯৫৮ সালে তৈরি ‘অযান্ত্রিক’তাঁর দ্বিতীয় কিন্তু প্রথম প্রদর্শিত ছবি।
চলচ্চিত্র সম্ভার : –
সফল চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তাঁর পরিচালিত ছবিগুলি হল ‘নাগরিক’, ‘অযান্ত্রিক’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’, ‘মেঘে ঢাকা তারা’, ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’, ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’ইত্যাদি। তাঁর পরিচালিত ছবির সংখ্যা খুবই অল্প, কিন্তু প্রতিটি ছবিই শিল্পনিষ্ঠ এবং নতুনত্বের সন্ধানী।
চলচ্চিত্রের বৈশিষ্ট্য : –
চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক ঘটক মনে প্রাণেমার্কসীয় আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্প সৃষ্টি করতে চাইলেও বামপন্থা ও মানবতাকে তিনি কখনোই ত্যাগ করতে পারেন নি। তাঁর সিনেমা অতিনাটকীয় ও ভারসাম্যহীন বলে সমালোচিত হলেও অনেক ক্ষেত্রেই তিনি সময়ের চেয়ে এগিয়ে থাকা এক চলচ্চিত্র প্রতিভা। আবেগে, মননে, সংলাপে, দৃশ্যের সংঘর্ষ নির্মাণে তাঁর সিনেমা সম্পূর্ণ বৈচিত্র্যপূর্ণ ও অভিনব। মাঝে মাঝে তিনি দৃশ্যের সাহায্যে সিনেমায় এমন এক কাব্য মুহূর্ত তৈরি করেন, যা দর্শকের মনকে নাড়িয়ে দেয়।
জনপ্রিয় চলচ্চিত্র : –
কথাসাহিত্যিক সুবোধ ঘোষের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘অযান্ত্রিক’ সিনেমার বিষয় গাড়ি ও তার চালকের সম্পর্কের টানাপোড়েন। যন্ত্রের সাথে মানুষের সম্পর্ককে যেভাবে সিনেমার বিষয় হিসেবে তুলে ধরেছেন তা অভিনব। নানা সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক মোচড়, অপূর্ব ক্যামেরার কাজ এই বিয়োগান্তক সিনেমাকে কাব্যিক উৎকর্ষের শিখরে নিয়ে যায়। নিঃসন্দেহে এটি তাঁর শ্রেষ্ঠ ছবি।’মেঘে ঢাকা তারা’ভাঙনের মুখে দাঁড়ানো এক উদ্বাস্তু পরিবারের বড়ো বোনের আত্মদান সমাজ বাস্তবতার এক অসামান্য দলিল। অবিভক্ত বাংলার স্মৃতি, দেশ বিভাগের যন্ত্রনা, পূর্ব বঙ্গের জন্য নস্টালজিয়া উঠে আসে তাঁর ‘কোমল গান্ধার’, ‘সুবর্ণরেখা’ছবিতে। ছবিগুলির গতিময়তা ও সাংগীতিক আয়োজন স্বতন্ত্র ও ব্যতিক্রমী। এছাড়া ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ঋত্বিক ঘটকের এক অবিস্মরণীয় ও মহাকাব্যিক সৃষ্টি।
শেষকথা:-
‘মেঘেঢাকাতারা’ছাড়া তাঁর আর কোনো সিনেমাই সে যুগে প্রচার পায়নি। একাধিক তথ্যচিত্র ও সিনেমা তাঁর জীবদ্দশায় মুক্তি পায়নি।তবে এখন দেশে – বিদেশে ঋত্বিক চর্চার প্রসার ঘটেছে। বিভিন্ন দেশে তাঁর সিনেমা প্রশংসা কুড়িয়েছে।তাছাড়া পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে অধ্যাপক থাকাকালীন তিনি এমন এক ঝাঁক ছাত্র তৈরি করে গেছেন যারা পরবর্তীকালে ভারতীয় সিনেমাকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করেছে।
৩. বাংলা চলচ্চিত্র ধারায় মৃণাল সেনের অবদান আলোচনা কর। ৫(২০১৯)
প্রাককথন :-
মৃণাল সেন এমন একজন ব্যক্তিত্ব যার হাত ধরে বাংলা সিনেমা নতুন করে পথ চলা শুরু করে। বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলায় ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর চলার পথ মসৃণ ছিল না। কর্মজীবনে নানা প্রতিবন্ধকতা জয় করে তাঁকে এগিয়ে যেতে হয়েছে নিজের লক্ষ্যে।
সিনেমায় হাতেখড়ি :-
বিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। এই কলেজে ছাত্র অবস্থায় থাকাকালীনই তিনি চলচ্চিত্রের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাঁর প্রথম ছবি ‘রাত ভোর’। এই ছবিতে তিনি ব্যর্থ হলেও থেমে থাকেননি। এরপরই তিনি একের পর এক বাণিজ্য সফল সিনেমা তৈরি করেন।
চলচ্চিত্র সম্ভার :-
চলচ্চিত্রের প্রতি গভীর অনুরাগ ভালোবাসা এবং আবেগে অসংখ্য বাণিজ্য সফল সিনেমা তৈরি করেন মৃণাল সেন। তাঁর পরিচালিত উল্লেখযোগ্য সিনেমা গুলি হল ‘রাত ভোর’, ‘নীল আকাশের নীচে’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘আকাশ কুসুম’, ‘ভুবন সোম’, ‘পদাতিক’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘রবিবার’, ‘মহাপৃথিবী’ প্রভৃতি। তাঁর হিন্দি ছবি ‘ভুবন সোম’তাঁকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতির অধিকারী করে।
চলচ্চিত্র বৈশিষ্ট্য :-
সত্যজিৎ রায় যেমন শুরু থেকেই ধ্রুপদী সাহিত্য অবলম্বনে সিনেমা তৈরি করেছেন, মৃণাল সেন তা করেন নি। বরং তার বিপরীত অবস্থানটিই ছিল মৃণাল সেনের ছবির বৈশিষ্ট্য। তিনি সামাজিক শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মধ্যবিত্ত মনোজগতের দ্বিধা – দ্বন্দ্ব – জটিলতার প্রতি মনোযোগ দিতে থাকেন। পুরাতন থেকেই নতুনের জন্ম হবে — এটাই তাঁর আর্তি। আর এই আর্তিকেই তিনি রূপ দিয়েছেন তাঁর ছবিতে।
শেষ কথা :-
মৃণাল সেন বাংলা সিনেমাকে পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্বের দরবারে। সারা জীবনে তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। সারা জীবন সিনেমার প্রতি অবদানের জন্য ২০০৮ সালে এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে তাঁকে ‘লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কারে সম্মানিত করা হয়। ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে এই বিখ্যাত পরিচালক পরলোক গমন করেন।
৪. বাংলা চলচ্চিত্র ধারায় তপন সিংহের অবদান আলোচনা কর। ৫
প্রাককথন:-
বাংলা তথা ভারতীয় সিনেমাকে আন্তর্জাতিক দর্শকের কাছে স্বমহিমায় তুলে ধরেছেন সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক ও মৃণাল সেন। এঁরা বাংলা সিনেমার শিল্পনিপুণতা, রুচিও দক্ষ পরিচালনার প্রবর্তন করেন। সেই ধারাকেই দর্শক মনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে আরও ব্যাপকতা দিয়েছেন পরিচালক তপন সিংহ (১৯২৪-২০০৯)।সাহিত্য থেকে গল্প নিয়ে তিনি একের পর এক জনপ্রিয় ও বাণিজ্য সফল ছবি বানিয়েছেন।
সিনেমায়হাতেখড়ি:-
‘অঙ্কুশ’ছবির মাধ্যমে তপন সিংহ সিনেমা জগতে প্রবেশ করেন। তবে ছবিটি দর্শকদের আনুকূল্য পায়নি।
চলচ্চিত্রসম্ভার:-
তপনসিংহপরিচালিত বিখ্যাত ছবিগুলি হল ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘হাঁসুলি বাঁকের উপকথা’, ‘জতুগৃহ’, ‘হাটে বাজারে’, ‘আপনজন’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘হারমোনিয়াম’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’ইত্যাদি। তৃতীয় ছবি ‘কাবুলিওয়ালা’থেকেই তাঁর সাফল্যের সূচনা।
চলচ্চিত্রেরবৈশিষ্ট্য:-
বৈচিত্র্যপূর্ণ বিষয় নিয়ে তিনি তাঁর সমস্ত সিনেমায় সমাজের এবং ব্যক্তিমানুষের নানা দিক গুলিকে তুলে ধরেছেন। বাঙালি সমাজ জীবনের খুঁটিনাটি বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, স্বপ্নও চাওয়া – পাওয়াকে তিনি চলচ্চিত্রের উপাদান করে তুলেছিলেন। তাই তাঁর সিনেমার চরিত্র গুলির সঙ্গে বাঙালির গভীর সামঞ্জস্য রয়েছে। তাঁর মতো সংবেদনশীল, পরিশ্রমী ও নিষ্ঠাবান বাঙালি পরিচালকের সংখ্যা খুবই কম।
শেষকথা:-
রাষ্ট্রপতি পুরস্কার, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার তিনি অর্জন করেন। ২০০৬ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। মানুষ এবং পৃথিবীকে ভালোবাসার কথাই তিনি তাঁর ছবিতে বলতে চেয়েছেন। তাই বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে তপন সিংহের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।