Class12 Bengali Question Paper 2018
বিষয় | বাংলা |
ভাষা | ‘ক’ ভাষা |
বছর | 2018 |
পূর্ণমান | ৮০ |
সময় | ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট |
Class12 Bengali Question Paper 2018
(নতুন পাঠক্রম)
(২০১৮)
সময় : ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পূর্ণমান : ৮০
পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে। ডানপাশে প্রশ্নের পূর্ণমান দেওয়া আছে।
বিভাগ – ক
(নম্বর : ৫০)
১। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫
১.১ “দিন দিন কেমন যেন হয়ে যেতে লাগল মৃত্যুঞ্জয়।” – মৃত্যুঞ্জয় কেমন হয়ে যেতে লাগল ? তার এমন হয়ে যাওয়ার কারণ কী ? ৩+২
১.২ “এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়ো পিসিমার নিয়মে।” – বড়ো পিসিমা কে ? গল্পে তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায় ? ১+৪
২। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ = ৫
২.১ ‘শিকার’ কবিতায় ভোরের পরিবেশ যেভাবে চিত্রিত হয়েছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। সেই পরিবেশ কোন ঘটনায় করুণ হয়ে উঠল ? ৩+২
২.২ “আমি তা পারি না।” – কবি কী পারেন না ? “যা পারি কেবল” – কবি কী পারেন ? ৩ +২
৩। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও :
৩.১ ‘বিভাব’ কথাটির সাধারণ অর্থ কী। ‘বিভাব’ নাটকটির নামকরণ কতখানি তাৎপর্যপূর্ণ, আলোচনা করো। ১+৪
৩.২ “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই – কেউ জানে না” – কোন নাটকের অংশ ? বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমান ? ১+১+৩
৪। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১= ৫
৪.১ “কে আবার গড়ে তুলল এতবার ?” – কী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন ? ১+৪
৪.২ ‘অলৌকিক’ গল্পে হাত দিয়ে পাথরের চাঁই থামানোর ঘটনাটি লেখক প্রথমে বিশ্বাস করেন নি কেন ? পরে কীভাবে সেই ঘটনা তাঁর কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়ে উঠল ? ২+৩
৫। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১= ৫
৫.১ “জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর।” – কোন জেলখানা ? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অত্যাচার করা হত? ১+৪
৫.২ “ছিল জোতদার আর তালুকদারের নিরঙ্কুশ শাসন।” – শাসন সম্পর্কে লেখক কী জানিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো। ৫
৬। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১=৫
৬.১ অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে ? দুটি অবিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। ১+২+২
৬.২ শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো। ৫
৭। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ × ২ = ১০
৭.১ বাংলা গানের ধারায় রজনীকান্ত সেনের অবদান আলোচনা করো। ৫
৭.২ চিত্রকলা-চর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরুপণ করো। ৫
৭.৩ বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞানচর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলোচনা করো। ৫
৭.৪ আমাদের মহাকাব্যে ‘কুস্তি’ কী নামে পরিচিত ছিল ? সংক্ষেপে বাঙালির কুস্তি চর্চার পরিচয় দাও। ১+৪
৮। নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশ অনুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : ১০×১ =১০
৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো :
বাংলার উৎসব
– উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা
– সেকাল ও একাল
– বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা
রকমফের : সামাজিক, ধর্মীয়, জাতীয়
– উৎসবের আনন্দ
৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো।
পল্লিসাহিত্য
রূপ-কথা, পল্লিগাথা, ছড়া প্রভৃতি দেশের আলো জল বাতাসের মতো সকলেরই সাধারণ সম্পত্তি। তাতে হিন্দু মুসলমান কোনো ভেদ নাই যেমন মাতৃস্তন্যে সন্তান মাত্রেরই অধিকার, সেইরূপ এই পল্লিসাহিত্যে পল্লি জননীর হিন্দু মুসলমান সকল সন্তানেরই সমান অধিকার। এক বিরাট পল্লিসাহিত্য বাংলায় ছিল। তার কঙ্কাল বিশেষ এখনও কিছু আছে, সময়ের ও রুচির পরিবর্তনে সে অনাবৃত হয়ে ধ্বংসের পথে দাঁড়িয়েছে। নেহাত সেকেলে পাড়াগেঁয়ে লোক ছাড়া সেগুলি আর কেউ আদর করে না।
৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির অসারতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিক্রম বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো।
বিতর্কের বিষয় : ‘দূরদর্শন মানবজীবনকে সমস্যা জর্জরিত করে তুলেছে।’
মতের পক্ষে : দূরদর্শনের অপকারিতা নিয়ে আজ অনেকেই সোচ্চার। এটি মানুষকে নেশাগ্রস্ত করে তুলেছে। নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আকর্ষণে বহু মানুষ এখন অনেকটা সময় দূরদর্শনের সামনে বসে কাটায়। ফলে তাদের নিত্যকর্মে বিঘ্ন ঘটে। এর আকর্ষণে শিক্ষার্থী ভুলে যায় পঠন পাঠনের কথা। মানুষ ভুলতে বসেছে সামাজিক আদান প্রদানের প্রয়োজনীয়তা। এর কোনো কোনো অনুষ্ঠানে থাকে নৈতিক অধঃপতনের বীজ। বর্তমান সমাজে কিশোর অপরাধীর সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য অনেকেই দূরদর্শনকে দায়ী মনে করেন। তাই বলা যায় দূরদর্শন মানব জীবনে যতই আনন্দের আয়োজন করে থাক, তার কুপ্রভাব কোনো অংশে কম নয়।
৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো :
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
জন্ম : ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৮, দিনাজপুর
পিতা : প্রমথনাথ গঙ্গোপাধ্যায়।
শিক্ষা : দিনাজপুর জেলা স্কুল, ফরিদপুর রাজেন্দ্র কলেজ, বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ থেকে বি.এ. পাশ (১৯৩৮), কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এ. (বাংলা) এবং ডি.ফিল. (১৯৬৩)।
কর্মজীবন : জলপাইগুড়ি কলেজ, সিটি কলেজ (কলকাতা) এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা।
সাহিত্য কীর্তি : ‘উপনিবেশ’, ‘শিলালিপি’, ‘পদসম্ভার’, ‘লালমাটি’, ‘চারমূর্তি’, ‘পটলডাঙার টেনিদা’, ‘সুনন্দর জার্নাল’ প্রভৃতি।
মৃত্যু : ৬ নভেম্বর, ১৯৭০, কলকাতা।
বিভাগ – খ (নম্বর – ৩০)
১. সঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো : ১x১৮=১৮
১.১ ভারতীয় ফুটবলের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব –
(ক) নগেন্দ্র প্রসাদ সর্বাধিকারী
(খ) পঙ্কজ রায়
(গ) মিহির সেন
(ঘ) দিব্যেন্দু বড়ুয়া।
ক
১.২ চারিদিকে পেয়ারা ও নোনার গাছ –
(ক) গোধূলিমদির মেয়েটির মতো
(খ) মচকাফুলের পাপড়ির মতো
(গ) ভোরের রৌদ্রের মতো
(ঘ) টিয়ার পালকের মতো
ঘ
১.৩ বাংলায় প্রথম ধ্রুপদ রচনা করেন –
(ক) রামশঙ্কর ভট্টাচার্য
(খ) বিষ্ণুপদ চক্রবর্তী
(গ) যদুভট্ট
(ঘ) জ্ঞানেন্দ্রপ্রসাদ গোস্বামী ।
ক
১.৪ রজনীকান্ত ‘রিজিয়া’ নাটকের কোন্ চরিত্রের সংলাপ বলেছেন?
(ক) বক্তিয়ার
(খ) মহম্মদ
(গ) সাজাহান
(ঘ) মিরজুমলা।
ক
অথবা, “তুলসী লাহিড়ির ‘পথিক’ নাটক থেকে বলি (ফিল্মি ঢঙে) “আমি তো চললাম…” – বক্তা কে?
(ক) বৌদি
(খ) শম্ভু
(গ) অমর
(ঘ) সার্জেন্ট।
খ
১.৫ ‘দারুণ’ শব্দের আদি অর্থ—
(ক) অত্যন্ত
(খ) নির্মম
(গ) কাষ্ঠনির্মিত
(ঘ) সুন্দর
গ
১.৬ “সে কুয়োর দিকে এগুলে হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওর মনে।” – প্রশ্নটা কী ?
(ক) গড়িয়ে পড়া পাথর থামানো সম্ভব কিনা,
(খ) নিরস্ত্র ভারতীয়দের উপর কারা গুলি চালালো
(গ) মর্দানা কোথায় জল পাবে
(ঘ) মর্দানা কোথা থেকে এসেছে।
ঘ
অথবা, ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতাটি অনুবাদ করেছেন –
(ক) অনিন্দ্য সৌরভ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) শঙ্খ ঘোষ
(ঘ) উৎপলকুমার বসু।
গ
১.৭ “মেঘমদির মহুয়ার দেশ’ আছে –
(ক) খুব কাছে
(খ) অনেক, অনেক দূরে
(গ) নিবিড় অরণ্যে
(ঘ) প্রান্তরের শেষে।
খ
১.৮ মেজ আর ছোটোর জন্য বারোমাস কোন্ চাল রান্না হয়?
(ক) কনকপানি
(খ) পদ্মজালি
(গ) রামশাল
(ঘ) ঝিঙেশাল।
খ
১.৯ টুনুর মা নিখিলকে কী অনুরোধ জানিয়েছিল?
(ক) একবেলার খাবার বিলিয়ে দিতে
(খ) মাইনের অর্থ দান করতে
(গ) আর্থিক সাহায্য করতে
(ঘ) মৃত্যুঞ্জয়ের খেয়াল রাখতে।
ঘ
১.১০ যে অব্যয় শব্দের শুরুতে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে তাকে বলা হয় –
(ক) বিভক্তি
(খ) উপসর্গ
(গ) প্রত্যয়
(ঘ) অনুসর্গ।
খ
১.১১ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত ছবি –
(ক) টুয়েলভ ইংক স্কেচেস
(খ) হলকর্ষণ
(গ) শ্বেত অভিসারিকা
(ঘ) উন্ডস
গ
১.১২ “হেড পণ্ডিত ইস্কুলে আমাকে প্রমোশন দেননি।” – কারণ,
(ক) সংস্কৃতে বারো পেয়েছিলাম
(খ) সংস্কৃতে ফেল করেছিলাম
(গ) সংস্কৃতে দশ পেয়েছিলাম
(ঘ) সংস্কৃতে তেরো পেয়েছিলাম
ঘ
অথবা, “তাও আর বছর কয়েক পরে মানাবে না আমাকে ? – কোন চরিত্রের ভূমিকায় মানাবে না?
(ক) ঔরঙ্গজীব
(খ) দিলদার
(গ) সাজাহান
(ঘ) মোরাদ
খ
১.১৩ কাল্পনিক যুদ্ধের মৃত্যুকে নাট্যকার বলেছেন –
(ক) ইসথেটিক মরা
(খ) অস্বাভাবিক মরা
(গ) খুব রোমান্টিক
(ঘ) অদ্ভুত মরা
ক
অথবা, “সেই টাকায় তিনি নিজেই আজকে মদ গিলে পড়ে আছেন।” – তিনি হলেন –
(ক) রজনীকান্ত চাটুজ্জে
(খ) রামব্রীজ
(গ) কালীনাথ সেন
(ঘ) রজনীকান্তের বন্ধু
খ
১.১৪ “জানিলাম এ জগৎ” –
(ক) মিথ্যা নয়
(খ) ঘুম নয়
(গ) স্বপ্ন নয়
(ঘ) কঠিন নয়
গ
১.১৫ চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে প্রতীক্ষা করছিল –
(ক) গরম চায়ের
(খ) রোদঝলমল একটা দিনের
(গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
(ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের
খ
১.১৬ “তাই বলি গাছ তুলে আনো।” – কবি গাছ বসাতে চান –
(ক) পথের ধারে
(খ) বাড়ির ছাদে
(গ) বাগানে
(ঘ) টবে
গ
১.১৭ “এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে” – গল্পটা হল –
(ক) বাসিনীর মনিব বাড়িতে হেলাঢেলা ভাত
(খ) বাসিনীর মনিব খুব ভালো লোক
(গ) বাসিনীর মনিব সতীশবাবুর আত্মীয়
(ঘ) বাসিনীর মনিব বাড়িতে লোকের মেলা
ক
১.১৮ “যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক” না হওয়ার কারণ –
(ক) টাকার অভাব
(খ) লোকের অভাব
(গ) সদিচ্ছার অভাব
(ঘ) পরিকল্পনার অভাব
খ
২. অনধিক ২০ টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও : ১x১২=১২
২.১ “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।” – সবাই অবাক হয়েছিল কেন ?
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে, এক অজ্ঞাত পরিচয় বুড়ি কীভাবে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসতে পারল, সেটাই চায়ের দোকানের লোকেদের অবাক করেছিল।
২.২ স্যার উইলিয়াম জোনস সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যে সব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তার মধ্যে দুটি ভাষার নাম লেখো।
স্যার উইলিয়াম জোন্স সংস্কৃত ভাষার সাথে গ্রিক, লাতিন ও ফারসি ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন।
২.৩ “এমনি এলাম – একেবারে এমনি নয়” – কে, কোথায় এসেছিলেন?
‘বিভাব’ নাটকের অন্যতম চরিত্র শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলীর বাড়িতে এসেছিলেন।
অথবা, “দিলুম, তোকে বকশিশ দিলুম” – কে কাকে বকশিশ দিলেন ?
‘নানা রঙের দিন’ নাটকের প্রধান চরিত্র রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় রামব্রিজকে বকশিশ দিলেন।
২.৪ “বহুদিন শহরেই আছি” – শহরে থেকে বক্তা কী করেছেন?
‘আমি দেখি’ কবিতার কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় বহুদিন শহরে থেকে উপলব্ধি করেছেন যে, শহরের অসুখ হাঁ করে কেবল সবুজ খায় এবং সবুজের অনটন ঘটে।
২.৫ ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির কী মনে হবে ?
ক্র’ন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতার কবি মৃদুল দাশগুপ্ত ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে তার ছবি আঁকা, লেখালেখি এবং গান গাওয়া অর্থহীন বলে মনে হয়।
২.৬ “তারা থাকত কোন বাসায়?” – কাদের কথা বলা হয়েছে?
বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত শঙ্খ ঘোষ অনূদিত ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতার আলোচ্য অংশে যে সব শ্রমিকেরা সোনা ঝকঝকে লিমা বানিয়েছিল, তাদের কথাই বলা হয়েছে।
অথবা, “পাঞ্জা সাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।” – খবরটি কী ?
কর্তার সিং দুগগাল রচিত অনিন্দ্য সৌরভ অনূদিত ‘অলৌকিক’ গল্পের আলোচ্য অংশে খবরটি হল ক্ষুধার্ত-তৃষ্ণার্ত ভারতীয়দের নিয়ে একটি ট্রেন পাঞ্জাসাহেবের উপর দিয়ে যাবে।
২.৭ মান্য বাংলায় স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনির সংখ্যা কত ?
মুখের মান্য বাংলায় স্বরধ্বনির সংখ্যা ৭ টি এবং ব্যঞ্জন ধ্বনির সংখ্যা ৩০ টি।
২.৮ “তাহলে উচ্ছবের বুকে শত হাতির বল থাকত আজ।” – কী হলে এমন হত ?
মহাশ্বেতা দেবীর রচিত ‘ভাত’ গল্পে উচ্ছবের স্ত্রী-সন্তান বেঁচে থাকলে তার বুকে শত হাতির বল থাকত।
২.৯ “তারপর একদিন, বুঝলে – চাকরিটা ছেড়ে দিলাম।” – বক্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন কেন ?
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের আলোচ্য অংশের বক্তা অর্থাৎ রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় থিয়েটারে অভিনয় করার জন্য চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
অথবা, “তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি” – এই নির্দেশ কে, কাকে দিয়েছিল বলে বিভাব নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে?
শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত উড়ে দেশের যাত্রায় রাজা তার দূতকে এই নির্দেশ দিয়েছিল।
২.১০ ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের আলোচ্য বিষয় কী ?
ঐতিহাসিক শব্দার্থতত্ত্বের মূল আলোচ্য বিষয় সময়ের সাথে ভাষার অর্থের পরিবর্তনের আলোচনা।
২.১১ “নদীর তীব্র শীতল ঢেউয়ে সে নামল” – ‘সে’ নদীতে কেন নামল?
জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘শিকার’ কবিতার আলোচ্য অংশে সে অর্থাৎ সুন্দর বাদামি হরিণটি ঘুমহীন ক্লান্তি দূর করে নিজের শরীরটাকে স্রোতের মতো একটা আবেশ দেওয়ার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নেমেছিল।
২.১২ “আমৃত্যুর দুখের তপস্যা এ জীবন” – কবি জীবনকে দুঃখের তপস্যা মনে করেছেন কেন ?
সারাজীবন ‘দুঃখের তপস্যা’ করেই ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ লাভ করা যায় বলেই ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।