Class12 Bengali Question Paper 2020

Class12 Bengali Question Paper 2020

বিষয় বাংলা
ভাষা‘ক’ ভাষা
বছর2020
পূর্ণমান৮০
সময়৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট

Class12 Bengali Question Paper 2020

                     (নতুন পাঠক্রম)

                          (২০২০)

সময় : ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট            পূর্ণমান : ৮০

পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে। ডানপাশে প্রশ্নের পূর্ণমান দেওয়া আছে।

                       বিভাগ – ক

                       (নম্বর : ৫০)

১। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১= ৫

১.১ “সে বুঝতে পারে সব ভাত ওরা পথে ফেলে দিতে যাচ্ছে।” – ‘ওরা’ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? ওরা সব ভাত ফেলে দিতে যাচ্ছিল কেন ? ‘সে’ কে ? বুঝতে পেরে সে কী করেছিল ? ১+১+১+২

১.২ ‘এ অপরাধের প্রায়শ্চিত্ত কী ?’ – কে, কোন অপরাধের প্রায়শ্চিত্তের কথা বলেছেন ? বক্তা নিজেকে অপরাধী মনে করেছেন কেন ? ১+২+২

২। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

২.১ ‘এসেছে সে ভোরের আলোয় নেমে’ – সেই ভোরের বর্ণনা দাও। ‘সে’ ভোরের আলোয় নেমে  আসার পর কী কী ঘটল, লেখো। ৩+২

২.২ ‘অবসন্ন মানুষের শরীরে দেখি ধুলোর কলঙ্ক।’ – এখানে কোন মানুষদের কথা বলা হয়েছে ? তাঁরা অবসন্ন কেন ? ‘ধুলোর কলঙ্ক’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? ১+২+২

৩। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ =৫

৩.১ ‘এমনি সময় হঠাৎই এক সাহেবের লেখা পড়লাম।’ – ‘এমনি সময়’ বলতে কোন্ পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে ? সাহেবের নাম কী ? তিনি কী লিখেছিলেন ?  ২+১+২

৩.২ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের সূচনায় মঞ্চসজ্জার যে বর্ণনা আছে, তা নিজের ভাষায় লেখো। নাটকটির নামকরণ কতখানি সার্থকতা আলোচনা করো। ২+৩

৪. অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৪.১ ‘স্পেনের ফিলিপ কেঁদেছিল খুব। আর কেউ কাদেনি।” – উদ্ধৃতাংশটি যে কবিতার অন্তর্গত, সেই কবিতায় আর কোন্ কোন্ শাসকের নাম আছে? ‘ফিলিপ’ কেঁদেছিলেন কেন ? আর কেউ কাঁদেনি বলতে বক্তা কী বোঝাতে চেয়েছেন ? ২+১+২

৪.২ “হঠাৎ শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পেল।” – তেষ্টা মেটানোর জন্য মর্দানাকে কী করতে হয়েছিল? তাঁর তেষ্টা শেষ অবধি কীভাবে মিটেছিল ? ৩+২

৫। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৫.১ “এত ফসল, এত প্রাচুর্য – তবু কিন্তু মানুষগুলোর দিকে তাকালে মনে হয় জীবনে তাদের শান্তি নেই।” – মানুষগুলোর জীবনযাত্রার পরিচয় দাও। তাদের জীবনে শান্তি নেই কেন? ৩+২

৫.২. “মেঘের গায়ে জেলখানা” রচনা অবলম্বনে সাধুচরণ ও মুস্তাফার জীবনকাহিনি বর্ণনা করো। ৩+২

৬। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫

৬.১ উদাহরণসহ ‘ধ্বনিমূল’ ও ‘সহধ্বনি’-র সম্পর্ক বুঝিয়ে দাও। ৫

৬.২ ‘শব্দার্থের পরিবর্তন’ বলতে কী বোঝ? উদাহরণসহ শব্দার্থের সংকোচ’ ও ‘শব্দার্থের প্রসার’ সম্বন্ধে আলোচনা করো। ১+২+২

অথবা, ‘রূপমূল’ কাকে বলে? উদাহরণসহ ‘স্বাধীন’ ও ‘পরাধীন’ রূপমূল-এর পরিচয় দাও। ১+২+২

৭। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ২ = ১০

৭.১ বাংলা সংগীত জগতে গায়ক ও সুরকার রূপে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অথবা মান্না দের স্থান নিরুপণ করো। ৫

৭.২ বাঙালির কুস্তিচর্চার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। ৫

৭.৩ বাঙালির বিজ্ঞান-সাধনায় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর অবদান আলোচনা করো।

৭.৪ ‘পট’ বলতে কী বোঝানো হয় ? এই শিল্পধারাটির একটি পরিচয়মূলক বিবৃতি প্রস্তুত করো। ৫

৮। নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : ১০×১ = ১০

৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো। 

                   পরিবেশ বিপর্যয়

– কার্বন ডাইঅক্সাইড ও কার্বন মোনোঅক্সাইড

– বসুন্ধরা শীর্ষ সম্মেলন

– গ্রিনহাউস প্রভাব

– জলস্তর বেড়ে যাওয়া

– জলবায়ুর পরিবর্তন

– ব্যবহার্য জলের অভাব

– রোগ ও মানবজীবনের অন্যান্য অসুবিধা

– বনাঞ্চলের অবলুপ্তি

৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো।

                       শুভ উৎসব

আমাদের উৎসবে অন্তরেরই প্রথম প্রতিষ্ঠা। সমারোহসহকারে আমোদপ্রমোদ করায় আমাদের উৎসব কিছুমাত্র চরিতার্থ হয় না। উৎসবের মধ্যে আন্তরিক প্রসন্নতা ও শুভেচ্ছাটুকু না থাকলেই নয়। উৎসব-প্রাঙ্গন থেকে সামান্য ভিক্ষুকও যদি ম্লান মুখে ফিরে যায়, উৎসব ব্যর্থ হয়। যে-কোনো ধর্মেরই উৎসব হোক না কেন, যাত্রা হোক, কথকতা হোক, রামায়ণ গান হোক, চণ্ডীপাঠ হোক, যখন যা হয়, উন্মুক্ত গৃহপ্রাঙ্গনে এসে সর্বসাধারণ যদি তাতে অকাতরে যোগদান করেন, তবেই চিত্তের প্রশান্তি। উৎসবের পূর্ণতা।

৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তি বিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো : 

বিতর্কের বিষয় : ‘ফেসবুক আশীর্বাদ’

পক্ষে : পৃথিবী নিকট হয়েছে। জ্ঞানচর্চায় অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। ব্যক্তিগত প্রচারমাধ্যম হওয়ায়, প্রত্যেকেই তার সৃষ্টিকে প্রকাশ করবার আনন্দ লাভ করছেন। সমাজে গতিশীলতা এসেছে সংবাদ মাধ্যমের অপেক্ষা অনেক দ্রুত দেশ ও বিদেশের ব্যক্তিগত ও সমাজগত সংবাদ প্রেরণ করা সম্ভব হয়েছে। দেশ-বিদেশের সমমনা ও সহমর্মী মানুষেরা নিকট হতে পেরেছেন। মানুষকে আর ‘একা’-র অবজ্ঞায় থাকতে হচ্ছে না।

বিপক্ষে : ভুয়ো তথ্য, ভুয়ো তত্ত্বে দেশ আচ্ছন্ন, পৃথিবী পরিব্যাপ্ত হচ্ছে। মানুষের একান্ত ব্যক্তি জীবনকে ‘একা’ রাখার অভ্যাস চলে যাচ্ছে। ফেসবুকের ব্যক্তিবিজ্ঞাপন প্রকাশ হয়ে, অন্যের মনে অবসাদ জন্ম দিচ্ছে। প্রমাণহীন নিন্দা, শ্লেষে মানুষ মানুষের প্রতি হিংসার মনোভাব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছেন। পড়াশুনোর মনোযোগ নষ্ট হয়ে, সব বিষয়েই অল্প অল্প জানার রীতি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। সমস্ত সময়ে এইদিকে মনোযোগ, স্বাস্থ্যেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া ঘটাতে পারে।

৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথা অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো

                ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর

জন্ম : ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৮২০ বীরসিংহ গ্রাম (তদানীস্তন হুগলী জেলা)

মাতা-পিতা : ভগবতী দেবী, ঠাকুরদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।

শিক্ষাজীবন : পাঠশালা, পরে কলিকাতা রাষ্ট্রীয় সংস্কৃত মহাবিদ্যালয়। বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ। সংস্কৃত ভাষাশ্রিত বিদ্যার পরে ইংরেজি ভাষাশ্রিত বিদ্যায় শিক্ষাগ্রহণ।

কর্মজীবন : সংস্কৃত কলেজ, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ, সংস্কৃত কলেজ। ফোর্ট উইলিয়ামে বাংলা ভাষার পন্ডিত, সংস্কৃত কলেজে সাহিত্যের অধ্যাপক, পরে অধ্যক্ষ। ১৮৫৭-এর নভেম্বর থেকে অন্তত ৩৫টি স্কুল স্থাপন।

সমাজসংস্কার : বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ রোধ আন্দোলন। স্ত্রীশিক্ষার প্রসার ও বিধবা বিবাহ প্রচলন।

সাহিত্যকৃতি : বাংলা গদ্যের আধুনিক রূপদানের তিনি ‘সেনাপতি’। বর্ণপরিচয়, বোধোদয়, কথামালা, আখ্যানমঞ্জরী প্রভৃতি গ্রন্থ রচনার পাশাপাশি অনুবাদ গ্রন্থ, বেতাল পঞ্চবিংশতি, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস ইত্যাদি।

মৃত্যু : ২৯ জুলাই, ১৮৯১।

                        বিভাগ – খ 

১। ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো : ১ × ১৮ = ১৮

১.১ ১.১ বর্ণনামূলক ভাষাবিজ্ঞানের সূত্রপাত

হয়েছিল

(ক) বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে

(খ) উনিশ শতকের শেষের দিকে

(গ) সপ্তদশ শতাব্দীর প্রথমে

(ঘ) আঠারো শতকের শেষে

১.২ রূপমূল পরিবারে ‘রূপ’ এর ‘বিকল্প’কে বলা হয়  – 

(ক) স্বাধীন রূপমূল

(খ) পরাধীন রূপমূল 

(গ) সহরূপ

(ঘ) বদ্ধ রূপমূল।

১.৩ প্রথম বাঙালি সাঁতারু যিনি বিখ্যাত হয়েছিলেন –

(ক) মিহির সেন

(খ) আরতী সাহা

(গ) বুলা চৌধুরী

(ঘ) রেশমি শর্মা

১.৪ “তুমি নির্মল করো মঙ্গল করে’ গানটির রচয়িতা – 

(ক) অতুল প্রসাদ সেন

(খ) রজনীকান্ত সেন

(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায় 

(ঘ) কাজী নজরুল ইসলাম

১.৫ বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথম রঙিন বাংলা ছবির নাম হল –

(ক) সপ্তপদী

(খ) স্বরলিপি

(গ) কাঞ্চনজঙ্ঘা

(ঘ) পথে হল দেরি।

১.৬ হাসান আব্দালের বর্তমান নাম –

(ক) হাসান সাহেব

(খ) পাঞ্জা সাহেব

(গ) নানা সাহেব 

(ঘ) বশী সাহেব।

অথবা, ব্যাবিলন বিখ্যাত ছিল যে কারণে –

(ক) শূন্য মাঠ

(খ) শূন্য পুরী

(গ) শূন্য মরুভুমি

(ঘ) শূন্য উদ্যান।

১.৭ “A horse! A horse! My kingdom for a horse’ – উদ্ধৃত সংলাপটি কোন নাটক থেকে গৃহীত হয়েছে? 

(ক) ম্যাকবেথ

(খ) ওথেলো 

(গ) রিচার্ড দি থার্ড

(ঘ) জুলিয়াস সিজার। 

অথবা, লভ সিনে কোন বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার হয়েছিল?

(ক) বেহালা

(খ) সেতার

(গ) গিটার

(ঘ) হারমোনিয়াম।

১.৪ “হাসির খোরাক, পপুলার জিনিসের খোরাক” – কোথায় পাওয়া যাবে ?

(ক) ঘরে

(খ) মাঠে

(গ) বাইরে

(ঘ) ঘাটে।

অথবা, ‘তোমার প্রেমে আমাকে আবৃত করে দাও’ – কথাটি বলেছে –

(ক) সুজা

(খ) দারা

(গ) মোরাদ

(ঘ) পিয়ারা বানু। 

১.৯ কাবুকি থিয়েটার কোন দেশের?

(ক) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 

(খ) ভিয়েতনামের

(গ) জাপানের

(ঘ) রাশিয়ার। 

অথবা, “অদৃষ্ট তো মানেন আপনি” – সংলাপের বক্তা –

(ক) অমর গাঙ্গুলী

(খ) রজনীকান্ত

(গ) কালিনাথ সেন

(ঘ) শম্ভু মিত্র।

১. ১০ ‘এ জগৎ’

(ক) মিথ্যা নয়

(খ) সত্য নয়

(গ) স্বপ্ন নয়

(ঘ) কঠিন নয়।

১. ১১ “দেহ চায়” – দেহ কী চায়?

(ক) গাছ

(খ) সবুজ গাছ

(গ) বাগান

(ঘ) সবুজ বাগান।

(ক) ডুবন্ত সূর্য

(খ) অলস সূর্য 

(গ) উদীয়মান সূর্য

(ঘ) দুপুরের সূর্য

১. ১৩ ময়ূরের সবুজ নীল ডানার মতো ঝিলমিল করছে –

(ক) বন ও আকাশ

(খ) আকাশ ও মাঠ

(গ) মাঠ ও বন

ঘ। সুন্দরীর বন ও অর্জুনের বন। উঃ ক। বন

ও আকাশ।

১. ১৪ ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে ‘জেহাদ’ ঘোষণা করেছিল –

(ক) মোল্লা সাহেব

(খ) করিম ফরাজি

(গ) ফজলু সেখ

(ঘ)  আকবর মিঞা

১. ১৫ “বাবুরা খায়” – বাবুরা কী খায়?

(ক) নানাবিধ চাল

(খ) নানাবিধ ফল

(গ) নানাবিধ পানীয়

(ঘ) নানাবিধ শাক।

১. ১৬ “একসময় দাগি ডাকাত ছিল” কে?

(ক) করিম ফরাজি

(খ) মোল্লা সাহেব

(গ) নিবারণ বাগদি

(ঘ) ভটচাজ মশাই। 

১. ১৭ ‘বাসিনী বাগ্যতা করি তোর’ – বক্তা কে?

(ক) সেজো বউ

(খ) উচ্ছব

(গ) হরিচরণ

(ঘ) বড়ো পিসিমা।

১. ১৮ মৃত্যুঞ্জয়ের বাজার ও কেনাকাটা করে –

(ক) নিখিল

(খ) টুনুর মা

(গ) সে নিজে

(ঘ) চাকর ও ছোট ভাই

২. অনধিক কুড়িটি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও। ১× ১২ = ১২

২.১ কী জন্য ‘হুতাশে’ সেদিন কতটা কাঠ কেটেছিল উচ্ছব?

মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের নায়ক চরিত্র উচ্ছব বাসিনীর মনিব বাড়িতে ভাতের হুতাশে আড়াই মণ কাঠ কেটে ছিল।

২.২ ‘আমি দেখি’ কবিতায় নিজের উজ্জীবনিশক্তি কীভাবে কবি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন?

‘আমি দেখি’ কবিতার কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় দু’চোখ ভরে সবুজ দেখে এবং দেহ-মনে সবুজের ঘ্রাণ নিয়ে নিজের উজ্জীবনিশক্তি প্রকৃতির মধ্যে খুঁজতে চেয়েছেন।

২.৩ ‘ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবির কী মনে হবে?

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে থাকতে না পারলে কবি মৃদুল দাশগুপ্তের মনে হবে লেখালেখি, গান গাওয়া বা ছবি আঁকা সবই বৃথা।

২.৪ ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের চরিত্রলিপি বয়সসহ উল্লেখ করো।

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের চরিত্রলিপি হল

(১) রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় – বৃদ্ধ অভিনেতা (বয়স- ৬৮) 

(২) কালীনাথ সেন – প্রম্পটার (বয়স প্রায় ৬০)।

অথবা, “সে লড়াই সত্যিকারের তলোয়ার দিয়ে ঝনঝন করে বাস্তব লড়াই নয়”– শুধু ভঙ্গির মাধ্যমে লড়াইতে কীভাবে একজন মারা যাবে?

শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে কাল্পনিক খাপ থেকে কাল্পনিক তলোয়ার বের করে ভীষণভাবে কাল্পনিক যুদ্ধ করতে করতে একজন পেটে কাল্পনিক খোঁচা খেয়ে কাল্পনিকভাবে মারা গিয়েছিল।

২.৫ শৈলীবিজ্ঞান কাকে বলে?

ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখা কোনো লেখকের লেখার শৈলী বিশ্লেষণ করে, তাকে শৈলী বিজ্ঞান বলা হয়৷

২.৬ থিসরাস কাকে বলে? একটি বাংলা থিসরাসের উদাহরণ দাও

‘থিসরাস’ শব্দের বুৎপত্তিগত অর্থ হল রত্নাগার। শব্দার্থের বিশাল জগতকে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যাস করার একটি নিদর্শন হল থিসরাস।

একটি বাংলা থিসরাস হল অশোক মুখোপাধ্যায় সম্পাদিত ও সাহিত্য সংসদ প্রকাশিত ‘সমার্থ শব্দকোষ’।

অথবা, প্রয়োগতত্ত্ব কাকে বলে? সংক্ষিপ্ত উদাহরণ দাও।

শব্দার্থ নিরূপণের যে তত্ত্ব শুধু ভাষা নয়, আনুষঙ্গিক আরও অনেক কিছু বচনের অর্থ নির্মাণে সাহায্য করে তাকে প্রয়োগতত্ত্ব বলে। 

যেমন – “আমি তোমাকে যেতে বলেছি, তোমাকে নয়।” – কেবল মাত্র ভাষার বিশ্লেষণের মাধ্যমে এই উক্তিটির অর্থ বোঝা সম্ভব নয়।

২.৭ ‘মৃত্যুঞ্জয় শোনে কিন্তু তার চোখ দেখেই টের পাওয়া যায়’ – কী টের পাওয়া যায় ?

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘কে বাঁচায়, কে বাঁচে!’ গল্পের প্রধান চরিত্র মৃত্যুঞ্জয়ের চোখ দেখেই টের পাওয়া যায় যে, কথার মানে সে আর বুঝতে পারছে না। কারণ, তার অভিজ্ঞতার কাছে কথার মারপ্যাচ অর্থহীন হয়ে গেছে।

২.৮ কবি কাকে শীতের দুঃস্বপ্ন বলেছেন?

‘মহুয়ার দেশ’ কবিতায় কবি সমর সেন ‘ধোঁয়ার বঙ্কিম নিঃশ্বাসকে’ শীতের দুঃস্বপ্নের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

২.৯ ‘জেগে উঠিলাম’ – কবি কোথায় কীভাবে জেগে উঠলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার আলোচ্য অংশে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রূপনারানের কূলে অর্থাৎ দৃশ্যমান জগৎ সংসারের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে জেগে উঠলেন।

২.১০ “তাই অনেক ভেবেচিন্তে আমরা একটা প্যাচ বের করেছি” – প্যাচটির পরিচয় দাও।

‘বিভাব’ নাটকে নাট্যকার শম্ভু মিত্ৰ যে প্যাচটির উল্লেখ করেছেন তা হল কোনোরকম নাট্য উপকরণ অর্থাৎ আলো, সিন-সিনারি ইত্যাদি ছাড়াই শুধুমাত্র অঙ্গভঙ্গিমার ব্যবহার করে নাটক মঞ্চস্থ করা।

অথবা, “মরে যাবো তবু ভুলবো না” – কে কী ভুলবে না?

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের আলোচ্য অংশে রজনীকান্ত চট্টোপাধ্যায় বড়লোকের সুন্দরী মেয়েটির আশ্চর্য ভালোবাসার কথা ভুলবেন না।

২.১১ “রাজারা কি পাথর ঘাড়ে করে আনত” – কারা পাথর আনত ও কাদের খ্যাতি হত?

বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত শঙ্খ ঘোষ অনূদিত ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতা অনুযায়ী শ্রমিকরা পাথর ঘাড়ে করে আনত কিন্তু খ্যাতি হতো রাজাদের।

অথবা, “আমি কৌতুহলী হয়ে উঠি” – বক্তা কোন বিষয়ে কৌতুহলী হন?

কর্তার সিং দুগগাল রচিত অনিন্দ্য সৌরভ অনূদিত ‘অলৌকিক’ গল্পের আলোচ্য অংশে প্রচন্ড গ্রীষ্মের মধ্যে শিষ্যদের সঙ্গে গুরুনানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছানোর পর কী হয়েছিল তা শোনার জন্য বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।

২.১২ “গুচ্ছধ্বনি” কাকে বলে?

পাশাপাশি উচ্চারিত দুটি ব্যঞ্জধ্বনির সমাবেশকে গুচ্ছধ্বনি বলে। যাদের মাঝখানে কোনো স্বরধ্বনি নেই। যেমন – অস্ত্র, যন্ত্র, সংস্কৃত ইত্যাদি।

Leave a Comment