Class12 Bengali Question Paper 2022
বিষয় | বাংলা |
ভাষা | ‘ক’ ভাষা |
বছর | 2022 |
পূর্ণমান | ৮০ |
সময় | ৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট |
Class12 Bengali Question Paper 2022
(নতুন পাঠক্রম)
(২০২২)
সময় : ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট পূর্ণমান : ৮০
পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে। ডানপাশে প্রশ্নের পূর্ণমান দেওয়া আছে।
বিভাগ – ক
(নম্বর : ৫০)
২। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
১.১ “এ সংসারে সব কিছুই চলে বড়ো পিসিমার নিয়মে।” – বড়ো পিসিমা কে। গল্পে তার চরিত্রের কী পরিচয় পাওয়া যায় ? ১+৪
১.২ “সেই সময় এল এক বুড়ি।” – লেখক বুড়ির সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা নিজের ভাষায় লেখো। ৫
২। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
২.১ ‘”আরোগ্যের জন্য ঐ সবুজের ভীষণ দরকার” – ‘ঐ সবুজ’ বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন ? সেই সবুজকে পাওয়ার জন্য কবি কী কী নির্দেশ দিয়েছেন ? ১+৪
২.২ “আমি তা পারি না।” – কবি কী পারেন না ? “যা পারি কেবল” – কবি কী পারেন? ৩+২
৩। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
৩.১ “আমি রোজ লুকিয়ে লুকিয়ে গ্রিনরুমে ঘুমোই চাটুজ্জেমশাই – কেউ জানে না” – কোন নাটকের অংশ। বক্তা কে? তিনি কেন গ্রিনরুমে ঘুমোন? ১+১+৩
৩.২ “জীবন কোথায় ?” – কে কাকে বলেছেন? বক্তা জীবনকে কোথায় খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে করেন ? ১+১+৩
৪। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
৪.১ “অবাক- বিহ্বল বসে আছি, মুখে কথা নেই।” – মুখে কথা নেই কেন ? ৫
৪.২ “কে আবার গড়ে তুলল এতবার” – কী গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে ? এই প্রশ্নের মাধ্যমে কবি কী বলতে চেয়েছেন? ১+৪
৫। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ১ = ৫
৫.১ “এ অঞ্চলের গারোদের ঘর দূর থেকে দেখলেই চেনা যায়” – কোন্ অঞ্চলের কথা বলা হয়েছে ? গারোদের ঘর কেমন তার বিবরণ দাও। ১+৪
৫.২ “জেলখানাটা পাহাড়ের তিনতলা সমান একটা হাঁটুর ওপর।” – কোন্ জেলখানা ? সেখানে সাধারণ কয়েদিদের ওপর কীরকম অত্যাচার করা হত? ১+৪
৬। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১=৫
৬.১ বিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে। দুটি বিভাজ্য ধ্বনির পরিচয় দাও। ১+২+২
৬.২ ফলিত ভাষাবিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলির উল্লেখ করে যে-কোনো একটি শাখার আলোচনা করো। ২+৩
৭। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫ x ২ = ১০
৭.১ বাঙালির বিজ্ঞান ভাবনা ও বিজ্ঞান চর্চার ইতিহাসে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অবদান আলোচনা করো। ৫
৭.২ বাংলা ক্রিকেটের ধারায় সারদারঞ্জন রায়চৌধুরীর অবদান আলোচনা করো। ৫
৭.৩ চিত্রকলা-চর্চায় শিল্পাচার্য নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ করো। ৫
৭.৪ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের অবদান আলোচনা করো। ৫
৮। নিম্নলিখিত যে কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : ১০×১ = ১০
৮.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো।
কোভিড-১৯-এর বিশ্বব্যাপী আক্রমণ
– উদ্ভব ও ইতিহাস
– সংক্রমণ প্রতিবোধে করণীয়
– শনাক্তকরণ, উপসর্গ ও সাবধানতা অবলম্বন
– বিশেষ দুর্বল ব্যক্তিদের অসুবিধে
– জরুরী পদক্ষেপ ও ব্যবস্থা গ্রহণ
– জনজীবনে প্রভাব ও প্রতিকার ভাবনা।
৮.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে বিষয়ের গভীরে প্রবেশ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো।
নতুন মাস্টারমশাই
শ্রেণিতে যে সব বই নিয়ম করেই পড়তে হয়, মাস্টারমশাইরা যত্ন করেই তা পড়িয়ে দেবেন এটুকু তো প্রত্যাশিতই। মনকে নিশ্চয় একটু একটু করে শিক্ষিত স্তরে পৌঁছে দেয় সে সব পড়াশোনা। কিন্তু ছোটদের মনকে অনেকখানি বাড়তি সজীবতা দেয় মাস্টারমশাইদের এই প্রথা ভাঙবার সাহস। পাঠ্যরেখার স্থিরতার মধ্য থেকে মাঝে মাঝে হঠাৎ যদি কোনো কিশোর মনকে তারা চালিয়ে দেন কোনো অভাবনীয়ের দিকে, কোনো স্বপ্নের দিকে, কোনো চ্যালেঞ্জের দিকে, তাহলে সে মন হয়তো অনেকদিনের পুষ্টি পেয়ে যায়, পেয়ে যায় কোনো নতুন জগতের আনন্দ।
৮.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো
বিতর্কের বিষয় : ‘ক্লাসরুম’ শিক্ষার পরিপুরক ‘অনলাইন এডুকেশন’।
পক্ষে : দীর্ঘ বিদ্যালয় বিরতিতে ছাত্রছাত্রীদের গৃহবন্দী জীবনের একমাত্র মাধ্যম ‘অনলাইন এডুকেশন’। এই ব্যবস্থার উৎসাহদাতা বা কার্যকারিতার কৃতিত্ব কিছুটা হলেও করোনা পরিস্থিতি। নার্সারি থেকে উচ্চতর শিক্ষা কার্যত নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই সমান্তরাল শিক্ষাপদ্ধতিতে। শহর তথা উচ্চবিত্ত পরিবারের ক্ষেত্রে এই শিক্ষা মাধ্যমের উপযোগিতা অপরিসীম।
বিপক্ষে : আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের কারণে এই সমান্তরাল শিক্ষা মাধ্যম দেশের গ্রামজীবনের ক্ষেত্রে পরিপুরক নয়। আচার্য বা শিক্ষকের সান্নিধ্য গ্রহণে যে অজ্ঞানের তিমির দূর হয়। তার অভাব এই শিক্ষা পূরণ করতে পারে না। ‘অনলাইন’ শিক্ষামাধ্যমে শিক্ষার মূলশর্ত থেকে বিদ্যার্থীরা বঞ্চিত হবে। বিকাশের পথ ও লক্ষ্য পরিপূর্ণতা পাবে না।
৮.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো
সৈয়দ মুজতবা আলি (১৯০৪-১৯৭৪)
জন্ম : ১৯০৪ খ্রী: ১৩ সেপ্টেম্বরে অবিভক্ত ভারতবর্ষের শ্রীহট্টের অন্তর্গত করিমগঞ্জে।
পিতা : সৈয়দ সিকাদার আলি।
শিক্ষা : সিলেট গভর্ণমেন্ট হাইস্কুলে পড়াশোনা শুরু। পরে শান্তিনিকেতনে এসে উচ্চতর বিদ্যার্জন ও রবীন্দ্রনাথের সান্নিধ্যলাভ। স্নাতকোত্তর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণা – বন বিশ্ববিদ্যালয়, জার্মানী।
গবেষণার বিষয় : তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব। বাংলা, ইংরাজি, সংস্কৃত, আরবী, জার্মান, ফরাসী, পারসিক এবং হিন্দুস্তানী ভাষায় তাঁর সর্বোচ্চ স্তরের দক্ষতা ছিল। এছাড়া আরো আটটি ভাষার সঙ্গে তাঁর পরিচিতি ছিল।
ভ্রমণ, বাস, কর্মজীবন : কাবুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক জীবন শুরু করে পৃথিবীর অজস্র খ্যাতনামা শিক্ষাপীঠে তিনি শিক্ষাদান করেছেন। কায়রো, করাচি থেকে ইউরোপ যেখানেই তিনি গিয়েছেন, মাতৃভাষা বাংলাকে তিনি ভুলতে পারেন নি, চানও নি। করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ আজও সক্রিয় এবং সেখানেও প্রাচীন বাংলার পুথি রক্ষিত আছে, মূলত তাঁরই উদ্যোগে।
গ্রন্থ : দেশে-বিদেশে, পঞ্চতন্ত্র (১ম ও ২য়), চাচা কাহিনী, ময়ূরকণ্ঠী, অবিশ্বাস্য, জলে ডাঙায়, ধূপছায়া, দ্বন্দ্ব-মধুর, শবনম, ভবঘুরে ও অন্যান্য, বহু বিচিত্রা, রাজা উজীর, কত না অশ্রুজল, গুরুদেব ও শান্তিনিকেতন।
রচনা বৈশিষ্ট্য : হাস্যরসোজ্জ্বল, ভাবগম্ভীর, পান্ডিত্যের স্বতঃ প্রকাশে বাংলার চিরকালের গদ্যসাহিত্যের উজ্জ্বল রত্ন। বাংলার প্রতিভাবানদের নিত্যসভায় তাঁর অমর আসন।
বিভাগ – খ
(নম্বর : ৩০)
১. ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো (যে কোনো আঠারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১×১৮ = ১৮
১.১ “নিহত ভাইয়ের শবদেহ দেখে / না-ই যদি হয় –
(ক) রোষ
(খ) ক্ষোভ
(গ) রাগ
(ঘ) ক্রোধ
ঘ
১.২ থুথুড়ে ভিখিরি বুড়ির গায়ে জড়ানো ছিল –
(ক) চিটচিটে তুলোর কম্বল
(খ) ছেঁড়া কাপড়
(গ) নোংরা চাদর
(ঘ) দামী শাল
ক
১.৩ “এ গল্প গ্রামে সবাই শুনেছে” – গল্পটা হল –
(ক) বাসিনীর মনিব বাড়িতে হেলাঢেলা ভাত
(খ) বাসিনীর মনিব খুব ভালো লোক
(গ) বাসিনীর মনিব সতীশবাবুর আত্মীয়
(ঘ) বাসিনীর মনিব বাড়িতে লোকের মেলা
ক
১.৪ “হেড পন্ডিত ইস্কুলে আমাকে প্রমোশন দেননি।” – কারণ,
(ক) সংস্কৃতে বারো পেয়েছিলাম
(খ) সংস্কৃতে ফেল করেছিলাম
(গ) সংস্কৃতে দশ পেয়েছিলাম
(ঘ) সংস্কৃতে তেরো পেয়েছিলাম
ঘ
১.৫ ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতাটি বাংলায় অনুবাদ করেছেন –
(ক) অনিন্দ্য সৌরভ
(খ) মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়
(গ) শঙ্খ ঘোষ
(ঘ) উৎপলকুমার বসু
গ
১.৬ ‘কাল্পনিক যুদ্ধ’-এর মৃত্যুকে নাট্যকার বলেছেন –
(ক) ইসথেটিক মরা
(খ) অস্বাভাবিক মারা
(গ) খুব রোমান্টিক
(ঘ) অদ্ভুত মরা
ক
১.৭ তুলসী লাহিড়ির ‘পথিক’ নাটক থেকে বলি – (ফিল্মি ঢঙে) “আমি তো চললাম – বক্তা কে?
(ক) বৌদি
(খ) শম্ভু
(গ) অমর
(ঘ) সার্জেন্ট
খ
১.৮ অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি বিখ্যাত ছবি –
(ক) টুয়েলভ ইংক স্কেচেস
(খ) হলকর্ষণ
(গ) শ্বেত অভিসারিকা
(ঘ) উণ্ডস
গ
১.৯ ‘ভাত’ গল্পে বুড়ো কর্তার যা রোগ হয়েছিল –
(ক) যক্ষ্মা
(খ) ম্যালেরিয়া
(গ) টাইফয়েড
(ঘ) ক্যান্সার
ঘ
১.১০ বড়ো বাড়ির হোম-যজ্ঞি করতে এসেছিল –
(ক) বেদজ্ঞ পণ্ডিত
(খ) শাস্ত্র ব্রাহ্মণ
(গ) কুল-পুরোহিত
(ঘ) তান্ত্রিক
ঘ
১.১১ “সবাই আবিষ্কার করল” –
(ক) ভারতবর্ষ
(খ) বটতলায় বুড়ির অসাড় দেহ
(গ) শকুনের ঝাঁক
(ঘ) পড়ে থাকা পুঁটলি
খ
১.১২ গোবর গুহের নাম কোন্ খেলার সাথে যুক্ত?
(ক) কুস্তি
(খ) ব্রতচারী
(গ) তিরন্দাজি
(ঘ) কবাডি
ক
১.১৩ “রক্তের অক্ষরে দেখিলাম” – কী দেখলেন?
(ক) আপনার স্বপ্ন
(খ) আপনার জগৎ
(খ) আপনার বেদনা
(ঘ) আপনার রুপ
ঘ
১.১৪ “মেঘমদির মহুয়ার দেশ” আছে –
(ক) খুব, খুব কাছে
(খ) অনেক, অনেক দূরে
(গ) নিবিড় অরণ্যে
(ঘ) প্রান্তরের শেষে
খ
১.১৫ চাষাভুষো মানুষ চায়ের দোকানে আড্ডা দিতে দিতে প্রতীক্ষা করছিল –
(ক) গরম চায়ের
(খ) রোদ ঝলমল একটা দিনের
(গ) নীল উর্দিপরা চৌকিদারের
(ঘ) শহরে যাওয়ার বাসের
খ
১.১৬ কী উচ্ছবকে বড়ো উতলা করে ?
(ক) বাদার চালের গন্ধ
(খ) যজ্ঞ শেষে ভাত পাবার আশা
(গ) বউ-ছেলেমেয়ের কথা
(ঘ) ফুটন্ত ভাতের গন্ধ
ঘ
১.১৭ “উঃ কী শীত – সব আছে শুধু …” – কী নেই?
(ক) মানুষ নেই
(খ) আলো নেই
(গ) লোকজন নেই
(ঘ) শীতের পোষাক নেই
ক
১.১৮ “স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল।” – কীসের আবেদন জানানো হল ?
(ক) ট্রেনটাকে চালানোর
(খ) ট্রেনটাকে থামানোর
(গ) নতুন ট্রেনের ব্যবস্থা করার
(ঘ) ট্রেনটাকে বাতিল করার
খ
১.১৯ “শাহজাদি ! সম্রাটনন্দিনী ‘ মৃত্যু ভয় দেখাও কাহারে” – কোন নাটকের অংশ?
(ক) সাজাহান
(খ) মেবার পতন
(গ) রিজিয়া
(ঘ) চন্দ্ৰগুপ্ত
গ
১.২০ রামব্রীজকে রজনীবাবু কত টাকা বকশিশ দিয়েছিলেন ?
(ক) এক টাকা
(খ) তিন টাকা
(গ) চার টাকা
(ঘ) দুই টাকা
খ
১.২১ বাংলায় বিজ্ঞান রচনায় পথিকৃৎ পত্রিকা হল –
(ক) সমাচার দর্পণ
(খ) তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা
(গ) দিগদর্শন
(ঘ) প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
গ
১.২২ যে অব্যয় শব্দের শুরুতে বসে তার অর্থ পরিবর্তন করে তাকে বলা হয় –
(ক) বিভক্তি
(খ) উপসর্গ
(গ) প্রত্যয়
(ঘ) অনুসর্গ
খ
১.২৩ বিভাজ্য ধ্বনির অপর নাম –
(ক) যুক্তধ্বনি
(খ) পার্শ্বিক ধ্বনি
(গ) খণ্ড ধ্বনি
(ঘ) তাড়িত ধ্বনি
গ
১.২৪ ‘ডাওর’ কথাটির অর্থ –
(ক) ভদ্রলোক
(খ) ছোটলোক
(গ) শহরের লোক
(ঘ) গ্রামের লোক
খ
২. অনধিক ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (যে কোনো বারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও) : ১ × ১২ = ১২
২.১ বর্ধমানে কোন্ গান বেআইনি ?
২.২ অবিভাজ্য ধ্বনি কাকে বলে?
ভাষায় কিছু ধ্বনি উপাদান থাকে যেগুলিকে কৃত্রিমভাবেও খন্ড করা যায় না, এগুলি একাধিক ধ্বনি খন্ড জুড়ে অবস্থান করে। এগুলিকে অবিভাজ্য ধ্বনি বলে। যেমন – শ্বাসাঘাত, দৈর্ঘ্য, যতি, সুরতরঙ্গ।
২.৩ প্রত্যয় কাকে বলে ?
যে সকল ধ্বনি বা ধ্বনিসমষ্টি পদ বা ধাতুর সাথে যুক্ত হয়ে নতুন পদ তৈরি করে বা কখনো পদের পরিবর্তন করে, তাদের প্রত্যয় বলে। যেমন – ভুজ+অন = ভোজন, চালাক+ই = চালাকি।
২.৪ “একজন ঠাণ্ডা মাথায় বলল” – কী বলেছিল?
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ আলোচ্য অংশ একজন ঠান্ডা মাথায় বলেছিল ‘ও বুড়ি, তুমি থাকো কোথায়, তাই জিজ্ঞেস করছে এরা।
২.৫ “ওই পাঁচ ভাগে ভাত হয়” – পাঁচ ভাগ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের আলোচ্য অংশে পাঁচ ভাগে বলতে ঝিঙেশাল চালের ভাত নিরামিষ ডাল তরকারির সঙ্গে, রামশাল চালের ভাত মাছের সঙ্গে, বড়োবাবুর জন্য কনকপানি চাল, মেজ আর ছোটোর জন্য পদ্মজালি চাল এবং বামুন চাকর ঝি -দের জন্য মোটা সাপটা চাল রান্না করার কথা বলা হয়েছে।
২.৬ সমাজ ভাষা বিজ্ঞানের সংজ্ঞা দাও।
ভাষা কিভাবে সমাজে কাজ করে এবং সমাজ কিভাবে ভাষার উপর প্রভাব বিস্তার করে – এ বিষয়ে ভাষাবিজ্ঞানের যে শাখাটি চর্চা করে তাকে আমরা সমাজ ভাষাবিজ্ঞান বলি। এককথায় বলা যায় সমাজ ভাষাবিজ্ঞান হল ভাষা ও সমাজের পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়।
২.৭ শ্বাসাঘাত কাকে বলে?
শ্বাসাঘাত হলো একাধিক দল যুক্ত শব্দের কোনো একটি দলকে অপেক্ষাকৃত বেশি জোর দিয়ে উচ্চারণ করা। যেমন – মাখন ও আরতি শব্দের প্রথম দল ‘মা’ ও ‘আ’ -এর ওপর শ্বাসাঘাত পড়ে।
২.৮ সংক্ষেপিত পদ বা ক্লিপিংস কী?
শব্দের অর্থগত বা ব্যাকরণগত পরিবর্তন না ঘটিয়ে শুধুমাত্র আকারে ছোট করার প্রক্রিয়াকে ক্লিপিংস বা সংক্ষিপ্ত পদ বলা হয়। যেমন – ছোটোকাকা > ছোটকা, এরোপ্লেন > প্লেন।
২.৯ স্যার উইলিয়াম জোনস সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে যে সব ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন, তাঁর মধ্যে দুটি ভাষার নাম লেখ।
স্যার উইলিয়াম জোনস সংস্কৃত ভাষার সঙ্গে গ্ৰিক, লাতিন, ফারসি ভাষার প্রচুর মিল খুঁজে পেয়েছিলেন।
২.১০ ‘Dictionary’ শব্দটি কবে কোথায় পাওয়া যায়?
১৫৩৮ সালে ইংরেজি ‘Dictionary’ শব্দটি পাওয়া যায় স্যার থমাস এলিয়েটের ল্যাটিন-ইংরেজি অভিধানে।
২.১১ “রজনীবাবু ভয়ে চিৎকার করে পিছিয়ে যান।” – কাকে কী অবস্থায় দেখে রজনীবাবু ভয় পেয়েছিলেন ?
অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকের আলোচ্য অংশে পরনে ময়লা পাজামা, গায়ে কালো চাদর, এলোমেলো চুলে প্রম্পটার কালীনাথ সেনকে মঞ্চে প্রবেশ করতে দেখে রজনী বাবু ভয় পেয়েছিলেন।
২.১২ “তারা থাকত কোন বাসায় ?” – কাদের কথা বলা হয়েছে ?
বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত শঙ্খ ঘোষ অনূদিত ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতার আলোচ্য অংশে যে সব শ্রমিকেরা সোনা ঝকঝকে লিমা বানিয়েছিল, তাদের কথাই বলা হয়েছে।
২.১৩ ‘তাতে বয়েসটা ঠিক বোঝা যায় না’ – কার বয়েস কেন বোঝা যায় না ?
অজিতেশ বন্দোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটক অনুযায়ী লম্বা লম্বা চুলে ডেইলি হাফ শিশি কলপ লাগিয়ে ইয়ার্কি টিয়ার্কি মারলে রজনীকান্ত চাটুজ্জের বয়সটা ঠিক বোঝা যায় না।
২.১৪ “এমনি এলাম – একেবারে এমনি নয় …” – কে, কোথায় এসেছিলেন?
‘বিভাব’ নাটকের অন্যতম চরিত্র শম্ভু মিত্র অমর গাঙ্গুলীর বাড়িতে এসেছিলেন।
২.১৫ “আমি কৌতূহলী হয়ে উঠি” – কী বিষয়ে বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন?
কর্তার সিং দুগগাল রচিত অনিন্দ্য সৌরভ অনূদিত ‘অলৌকিক’ গল্পের আলোচ্য অংশে প্রচন্ড গ্রীষ্মের মধ্যে শিষ্যদের সঙ্গে গুরুনানক হাসান আব্দালের জঙ্গলে এসে পৌঁছানোর পর কী হয়েছিল তা শোনার জন্য বক্তা কৌতূহলী হয়ে ওঠেন।
২.১৬ “তমে ঘোড়া নেইকরি চঞ্চল খবর নেই আসিবি” – এই নির্দেশ কে, কাকে দিয়েছিল বলে ‘বিভাব’ নাটকে উল্লেখ করা হয়েছে?
শম্ভু মিত্র রচিত ‘বিভাব’ নাটকে উল্লিখিত উড়ে দেশের যাত্রায় রাজা তার দূতকে এই নির্দেশ দিয়েছিল।
২.১৭ “চন্নুরী রে! তুইও খা” – কোন গল্পের অংশ? ‘চন্নুরী’র পরিচয় দাও।
প্রশ্নোদ্ধৃত অংশটি মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পের থেকে গৃহীত হয়েছে।
এই গল্পের নায়ক চরিত্র উচ্ছব নাইয়ার মেয়ে হলো চন্নুনী।
২.১৮ “আমৃত্যুর দুঃখের তপস্যা এ জীবন” – কবি জীবনকে ‘দুঃখের তপস্যা মনে করেছেন কেন ?
সারাজীবন ‘দুঃখের তপস্যা’ করে ‘সত্যের দারুণ মূল্য’ লাভ করা যায় বলেই ‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনকে দুঃখের তপস্যা বলেছেন।
২.১৯ “সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।” – সবাই অবাক হয়েছিল কেন?
সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে, এক অজ্ঞাত পরিচয় বুড়ি কীভাবে ঝড়বৃষ্টির মধ্যে বেঁচেবর্তে হেঁটে আসতে পারল, সেটাই চায়ের দোকানের লোকেদের অবাক করেছিল।
২.২০ “ঘুমহীন তাদের চোখে হানা দেয়” – কাদের চোখে কী হানা দেয় ?
নাগরিক কবি সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতার আলোচ্য অংশে সাঁওতাল পরগনার মানুষদের চোখে ক্লান্ত দুঃস্বপ্ন হানা দেয়।