Class12 Bengali Question Paper 2023

Class 12 Bengali Question Paper 2023 (উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর প্রশ্ন পত্র ২০২৩ )

বিষয় বাংলা
ভাষা‘ক’ ভাষা
বছর2023
পূর্ণমান৮০
সময়৩ ঘন্টা ১৫ মিনিট

Class12 Bengali Question Paper 2023-উচ্চ মাধ্যমিক দ্বাদশ শ্রেণীর প্রশ্ন পত্র ২০২৩

(নতুন পাঠক্রম)

(২০২৩)

সময় : ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিট  পূর্ণমান : ৮০

পরিমিত এবং যথাযথ উত্তরের জন্য বিশেষ মূল্য দেওয়া হবে। বর্ণাশুদ্ধি, অপরিচ্ছন্নতা এবং অপরিষ্কার হস্তাক্ষরের ক্ষেত্রে নম্বর কাটা যাবে। ডানপাশে প্রশ্নের পূর্ণমান দেওয়া আছে।

বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলীর (MCQ) এবং সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলীর (SAQ) উত্তর, উত্তরপত্রে প্রদত্ত নির্দিষ্ট ছাপানো TABLE -এ লিখতে হবে।

           (বহুবিকল্পভিত্তিক প্রশ্নাবলী )


১। ঠিক বিকল্পটি নির্বাচন করো (যে কোনো আঠারোটি প্রশ্নের উত্তর দাও) (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ১ × ১৮ = ১৮

(i) “ভাত খাবে কাজ করবে” – এই কথা বলেছিল –

(ক) বামুন ঠাকুর

(খ) বড়ো পিসিমা

(গ) বাসিনী 

(ঘ) বড়ো বউ।

(ii) ‘যথেষ্ট রিলিফ ওয়ার্ক’ না হওয়ার কারণ –

(ক) টাকার অভাব

(খ) লোকের অভাব

(গ) সদিচ্ছার অভাব

(ঘ) সামগ্রীর অভাব।

(iii) “নিখিল ভাবছিল বন্ধুকে বুঝিয়ে বলবে” –

(ক) যা ঘটেছে ভুলে যেতে

(খ) অফিসের কাজে মন বসাতে

(গ) সংসারে মন দিতে

(ঘ) এভাবে দেশের লোককে বাঁচানো যায় না।

(iv) কোন বারে বাদলা লাগলে সাতদিন থাকবে

(ক) শনিবারে

(খ) মঙ্গলবারে

(গ) বুধবারে

(ঘ) সোমবারে

(v) বুড়িমা ! তুমি মরনি !” একথা বলেছিল –

(ক) নকুড়ি নাপিত

(খ) ফজলু সেখ

(গ) করিম ফরাজি

(ঘ) চৌকিদার।

(vi) “জানিলাম এ জগৎ” –

(ক) সত্য নয়

(খ) স্বপ্ন নয়

(গ) কল্পনা নয়

(ঘ) বাস্তব নয়।

(vii) ‘শহরের অসুখ হাঁ করে কী খায় ! –

(ক) বাতাস

(খ) ধোঁয়া

(গ) ধুলো

(ঘ) সবুজ।

(viii) ‘রাত্রের নির্জন নিঃসঙ্গতাকে আলোড়িত করে” –

(ক) দেবদারুর দীর্ঘ রহস্য

(খ) অসহ্য, নিবিড় অন্ধকার

(গ) দূর সমুদ্রের দীর্ঘশ্বাস

(ঘ) শীতের দুঃস্বপ্ন।

(ix) “শরীরটাকে স্রোতের মতো / একটা আবেশ দেওয়ার জন্য” হরিণটি –

(ক) নরম ঘাসের উপর শুয়ে পড়ল

(খ) নদীর তীক্ষ্ণ শীতল ঢেউয়ে নামল

(গ) অর্জুন বনের ছায়ায় দাঁড়াল

(ঘ) দেশোয়ালিদের জ্বালানো আগুনের উত্তাপ নিল।

(x) “এর নাম হওয়া উচিত” –

(ক) বিভাব নাটক

(খ) অভাব নাটক

(গ) পূর্ণাঙ্গ নাটক

(ঘ) হাসির নাটক!

(xi) ‘মঞ্চের মাঝখানে’ ওল্টানো রয়েছে –

(ক) একটি ছবি

(খ) একটি চেয়ার

(গ) একটি লণ্ঠন

(ঘ) একটি টুল।

(xii) শম্ভু মিত্রের মতে, জীবনকে উপলব্ধি করা যাবে –

(ক) রাস্তায়, মাঠে, ঘাটে

(খ) চার দেওয়ালের মধ্যে

(গ) বুকের মধ্যে

(ঘ) মঞ্চের মাঝে।

অথবা,

(xiii) “এসব বাজে কথায় আমি বিশ্বাস করি না।” – বাজে কথাটি হল –

(ক) অভিনেতার মৃত্যু নেই

(খ) নাট্যাভিনয় একটি পবিত্র শিল্প

(গ) রজনী চাটুজ্জে মরে গেছে

(ঘ) পাবলিক আমাকে আর চায় না।

(xiv) সার্জেন্ট বা পুলিশের পরিচ্ছদের মধ্যে কোনো বিশেষত্ব নেই, কেবল সার্জেন্ট এর একটি –

(ক) টুপি থাকে

(খ) লাঠি থাকে

(গ) ক্রস বেল্ট থাকে

(ঘ)  ব্যাজ থাকে।

অথবা,

(xv) দিলদারের পোশাকে রজনীকান্তের হাতে ছিল –

(ক) জ্বলন্ত ধূপকাঠি

(খ) তরবারি

(গ) আতরদান 

(ঘ) জ্বলন্ত মোমবাতি।

(xvi) “যখন সমুদ্র তাকে খেল” – কাকে খেল?

(ক) আটলান্টিসকে

(খ) থিবসেকে

(গ) লিমাকে

(ঘ) ব্যাবিলনকে।

অথবা,

(xvii) “বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন” –

(ক) গাছের তলায়

(খ) পথের ধারে

(গ) পাহাড়ের চূড়ায়

(ঘ) নদীর ধারে।

(xviii) রবীন্দ্রনাথের প্রথম সঙ্গীত শিক্ষক ছিলেন –

(ক) বিষ্ণুচন্দ্র চক্রবর্তী

(খ) রঘুনাথ রায়

(গ) নিধুবাবু

(ঘ) জ্ঞান গোঁসাই।

(xix) ‘দাদার কীর্তি’ চলচ্চিত্রটির পরিচালক –

(ক) তপন সিংহ

(খ) দীনেন গুপ্ত

(গ) গৌতম ঘোষ

(ঘ) তরুণ মজুমদার।

(xx) কালাজ্বরের প্রতিষেধক ইউরিয়া স্টিরামাইন আবিষ্কার করেন –

(ক) রাধাগোবিন্দ ধর

(খ) নীলরতন সরকার

(গ) স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী

(ঘ) বিধানচন্দ্র রায়।

(xxi) মুখের মান্য বাংলার স্বরধ্বনির সংখ্যা –

(ক) ছয়

(খ) সাত 

(গ) আট

(ঘ) নয়।

(xxii) থিসরাস’ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হল –

(ক) অভিধান

(খ) শব্দকোষ

(গ) রত্নাগার

(ঘ) শব্দভাণ্ডার।

(সংক্ষিপ্ত উত্তরভিত্তিক প্রশ্নাবলী )

২। অনধিক ২০টি শব্দে প্রশ্নগুলির উত্তর দাও (বিকল্প প্রশ্নগুলি লক্ষণীয়) : ১×১২ = ১২

(i) “বুড়ি খেপে গেল।” – কোন্ কথায় বুড়ি খেপে গেল ? 

সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ রচিত ‘ভারতবর্ষ’ গল্পে উল্লিখিত চায়ের দোকানে একজন বুড়িকে ‘ভারি তেজি দেখছি! এই বাদলায় তেজি টাট্টুর মতন বেরিয়ে পড়েছে’ বলায় বুড়ি খেপে গেল।

(ii) “উচ্ছব আবার কাঠ কাটতে থাকে।” – উচ্ছব কাঠ কাটছিল কেন ? 

মহাশ্বেতা দেবী রচিত ‘ভাত’ গল্পে উল্লেখিত কলকাতার বড় বাড়িতে হোমযজ্ঞ করার জন্য যেসব কাঠের প্রয়োজন ছিল সেই সব কাঠই উচ্ছব কাটছিল।

(iii) “কীসের মূল্যবোধ।” – কোন্ প্রসঙ্গে বক্তার এরূপ উপলব্ধি হয়েছে ?

ক্রন্দনরতা জননীর পাশে’ কবিতায় কবি মৃদুল দাশগুপ্ত নিহত দেশবাসী ভাইয়ের মৃতদেহ দেখে তীব্র মানসিক যন্ত্রণা থেকে প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটি করেছেন।

(iv) “অলস সূর্য দেয় এঁকে”। – অলস সূর্য কী এঁকে দেয় ?

সমর সেন রচিত ‘মহুয়ার দেশ’ কবিতা অনুযায়ী অস্তাচলগামী অলস সূর্য সন্ধ্যার জলস্রোতে গলিত সোনার মতো উজ্জ্বল আলোর স্তম্ভ এঁকে দেয়।

(v) কারা, কেন সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছিল?

জীবনানন্দ দাশ রচিত ‘শিকার’ কবিতায় দেশোয়ালিরা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলেছিল শীতের রাতে শরীরকে গরম রাখার জন্য।

(vi) “চিনিলাম আপনারে” – কবি কীভাবে নিজেকে চিনলেন?

‘রূপনারানের কূলে’ কবিতার কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আঘাতে আঘাতে ও বেদনায় বেদনায় কঠিন সত্য উপলব্ধি করে রক্তের অক্ষরে নিজের রূপ উপলব্ধি করে নিজেকে চিনলেন।

(vii) ‘অমর নায়কের কথা শুনেই তাড়াতাড়ি একটু এগিয়ে’ কী করেন?

শম্ভু মিত্রের ‘বিভাব’ নাটকে অমর নায়কের কথা শুনেই তাড়াতাড়ি একটু এগিয়ে পকেট থেকে রুমাল বার করে একদিকে কায়দা করে তাকিয়ে একটা পা নাড়তে থাকেন।

অথবা, ‘তখন মনে মনে কত আশা, কত প্ল্যান’ – কে, কীসের আশা ও প্ল্যান করেছিলেন ?

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে তরুণ রজনীকান্ত চাটুজ্জে অভিনয় জীবনে একটি মেয়ের প্রেমে পড়েছিলেন। সেই মেয়েটিকে বিয়ে করার আশা বা প্ল্যানের কথাই আলোচ্য অংশে বলা হয়েছে।

(viii) “তারা এসব মানবে কেন ?” – কারা, কী মানবে না বলে বক্তার মনে হয়েছে ?

‘বিভাব’ নাটকের আলোচ্য অংশে বক্তা শম্ভু মিত্রের মনে হয়েছে ইংরেজি শিক্ষিত, রুচিমান দর্শকরা শুধুমাত্র দৈহিক অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে নাটকের অভিনয় মানবে না।

অথবা, “তাকে এরূপে বন্দি করে রাখা কি প্রয়োজন ?” – কে, কাকে বন্দি করে রেখেছিলেন?

অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত ‘নানা রঙের দিন’ নাটকে উল্লিখিত দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘সাজাহান’ নাটকে ঔরঙ্গজেব সাজাহানকে বন্দি করে রেখেছিলেন।

(ix) “স্টেশন মাস্টারের কাছে আবেদন জানানো হল।” – কীসের আবেদন জানানো হয়েছিল ?

কর্তার সিং দুগগাল রচিত অনিন্দ্য সৌরভ অনূদিত ‘অলৌকিক’ গল্পের আলোচ্য অংশে ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর ভারতীয় রাজনৈতিক বন্দীতে বোঝাই ট্রেনটা থামানোর আবেদন জানানো হয়েছিল স্টেশন মাস্টারের কাছে।

অথবা, “সেই সন্ধ্যায় কোথায় গেল রাজমিস্ত্রিরা ?” – কোন সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে ?

বের্টোল্ট ব্রেখট রচিত শঙ্খ ঘোষ অনূদিত ‘পড়তে জানে এমন এক মজুরের প্রশ্ন’ কবিতায় উল্লেখিত যেদিন চীনের প্রাচীর তৈরি শেষ হলো সেই সন্ধ্যার কথা বলা হয়েছে।

(x) ‘কলম’ শব্দের আদি অর্থ এবং বর্তমান অর্থ লেখো।

‘কলম’ শব্দের আদি অর্থ ‘শর’ বা ‘খাগ’ এবং বর্তমান অর্থ ‘লেখনী’।

(xi) যুগ্মধ্বনি কত রকমের ও কী কী ?

যুগ্মধ্বনি দুই রকমের – গুচ্ছধ্বনি ও যুক্তধ্বনি।

(xii) বর্গান্তর কাকে বলে?

যখন কোনো শব্দ এক পদ থেকে অন্য পদে পরিবর্তিত হয়, কিন্তু চেহারায় কোনো পরিবর্তন ঘটে না, তখন প্রক্রিয়ার নাম বর্গান্তর। 

যেমন – ‘স্বপনবাবু একজন ধনী ব্যক্তি’। এখানে ধনী শব্দটি বিশেষণ পদ। কিন্তু যখন বলি ‘ধনী মাত্রেই অহংকারী হয় না’। তখন ধনী কিন্তু বিশেষ্য পদ।

       (বিষয়ভিত্তিক / বর্ণনামূলক প্রশ্নাবলী)

৩। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১=৫

৩.১ “ওটা পাশবিক স্বার্থপরতা” – কে, কাকে, কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন? উদ্ধৃত অংশের তাৎপর্য লেখো। ১+১+১+২

৩.২ “বচসা বেড়ে গেল।” – প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বচসার কারণ আলোচনা করো। ২+৩

৪। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১=৫

৪.১ “সে কখনো করে না বঞ্চনা” – কে, কখনও বঞ্চনা করে না ? কবি কীভাবে এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন?  ১+৪

৪. ২ “আগুন জ্বলল আবার”। – কবিতায় “আবার” শব্দটির ব্যবহারের তাৎপর্য কী ? আবার আগুন জ্বলল কেন ? এই ঘটনা কীসের ইঙ্গিত দেয় ? ১+১+৩

৫। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১=৫

৫.১ “তাদের অভিনয় দেখে আইজেনস্টাইন সাহেব অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়ে অনেক কথা লিখেছেন।” – আইজেনস্টাইন সাহেব কে ? তিনি কাদের অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন ? সেই অভিনয় দেখে তিনি কী লিখেছিলেন? ১+১+৩

৫.২ “জানো, কালীনাথ, একটি মেয়ে।” – এই মেয়েটির বর্ণনা যেভাবে বক্তা কালীনাথকে বর্ণনা করেছেন তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও। রজনীর জীবনে এই মেয়েটির প্রভাব আলোচনা করো। ২+৩

৬। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫×১ = ৫

৬.১ “জয়তোরণে ঠাসা মহনীয় রোম” – কথাটি ব্যাখ্যা করো। প্রসঙ্গটি উল্লেখের কারণ কী? ২+৩

৬.২ “এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।” – কোন প্রসঙ্গে, কে মন্তব্যটি করেছিলেন । বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনো কাজ হয়েছিল ? এই বিষয়ে বক্তাকে এবারে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল ? ১+১+১+২

৭। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ =৫

৭.১ “অমনি মনের মধ্যে গুনগুনিয়ে উঠল মার কাছে শেখা গান।” – লেখক কী গান শুনেছিলেন মায়ের কাছ থেকে ? কোন্ প্রসঙ্গে এই উক্তি করেছেন লেখক ? ১+৪

৭.২ “বিশ্বাস করো, বানানো গল্প নয়।” – কোন্ রচনার অংশ ? লেখক যে কাহিনি সম্বন্ধে একথা বলেছেন, সেটি সংক্ষেপে লেখো।

৮। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x১ =৫

৮.১ উদাহরণসহ ধ্বনিমূল ও সহধ্বনির সম্পর্ক বুঝিয়ে দাও ।

৮.২ শব্দার্থের উপাদানমূলক তত্ত্বটি উদাহরণসহ ব্যাখ্যা করো।

৯। অনধিক ১৫০ শব্দে যে-কোনো দুটি প্রশ্নের উত্তর দাও : ৫x২ = ১০

৯.১ বাংলা সংস্কৃতির ইতিহাসে রবীন্দ্রসংগীতের গুরুত্ব আলোচনা করো।

৯.২ বাংলা চলচ্চিত্রের ধারায় পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের অবদান আলোচনা করো।

৯.৩ বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদান আলোচনা করো।

৯.৪ বাঙালির কুস্তিচর্চার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

১০। নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি বিষয় নির্বাচন করে, নির্দেশানুসারে কমবেশি ৪০০ শব্দে একটি প্রবন্ধ রচনা করো : ১০×১ = ১০

১০.১ নিম্নে প্রদত্ত মানস-মানচিত্র অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো :

                      বাংলার উৎসব

– উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা

– বৈচিত্র্য ও নান্দনিকতা

– সেকাল ও একাল

– রকমফের সামাজিক, ধর্মীয় ও জাতীয়

– উৎসবের আনন্দ

১০.২ প্রদত্ত অনুচ্ছেদটিকে প্রস্তাবনা বা ভূমিকাস্বরূপ গ্রহণ করে, পরিণতি দানের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রবন্ধ রচনা করো :

                      মানবজীবন

বহু বিচিত্র এ জীবন। বহতা নদীর মতো ক্ষণে ক্ষণে এই জীবনের রূপ বদলায়। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত এই জীবনের পথ পরিক্রমা – কত সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, চাওয়া-পাওয়া, এ জীবন কখনো সকল পাওয়ায় সন্তুষ্ট নয়। সব পাওয়া কী তাই এ জীবন জানে না। শুধু আকণ্ঠ তৃষ্ণা এ জীবন বয়ে চলে। যত মানুষ তত রকম তাদের জীবনধারা। এ জীবন কোথায় ছিল, কোথায় এল আর কোথায় বা যাবে।

১০.৩ প্রতিপক্ষের যুক্তির দুর্বলতা প্রমাণ করে স্বপক্ষে যুক্তিবিন্যাস করে প্রবন্ধ রচনা করো :

বিতর্কের বিষয় : বিজ্ঞাপন ছাড়া বর্তমান জীবন অচল

পক্ষে : বর্তমান বিজ্ঞাপনের অভূতপূর্ব প্রসার ঘটেছে। নানারূপ গণমাধ্যম এবং সমাজ মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে ও শুনে মানুষ নানা বিষয় ও বস্তু সম্পর্কে জানতে পারছে। তাতে পণ্যের গুণাগুণ বিচার করে যথাযথ পণ্য গ্রহণ করতে পারছে। বিজ্ঞাপন মানুষকে তার প্রয়োজন বা চাহিদা সম্পর্কে সচেতন করে তুলছে। সাধারণ মানুষ আরো ভালো জীবনযাপনে অগ্রসর হবার সুযোগ পাচ্ছে। সব বিজ্ঞাপন বস্তুগত নয়, সামাজিক সচেতনতার তথ্যমূলক নানা বিজ্ঞাপন জনমানসকে সমৃদ্ধ করছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চারপাশে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপনের মধ্যে আমাদের জীবন আবদ্ধ। তাই একথা বলাই যায় যে বিজ্ঞাপন ছাড়া বর্তমান জীবন অচল।

বিপক্ষে : বিজ্ঞাপনই কি আমাদের বর্তমান জীবন সচল রেখেছে ? না। একথা মানা যায় না। বরং বিজ্ঞাপন বর্তমান জীবনকে বিভ্রান্ত করছে। নগর সভ্যতা থেকে দূরে প্রত্যন্ত গ্রামে যে মানুষ বাস করেন, বিজ্ঞাপনের চমক ছাড়াই তাঁর জীবন স্বাভাবিকভাবে অতিবাহিত হতে পারে। পণ্যের বিজ্ঞাপনে অনেক মিথ্যে, অনেক চমক থাকতে পারে। এসব মানুষকে প্রলুব্ধ করার ব্যবসায়িক কৌশল। এসব থেকে মুক্ত থাকার মানুষও কম নেই। সমাজ, শিক্ষা ইত্যাদি কেন্দ্রিক কিছু বিজ্ঞাপন ছাড়া অন্যান্য বিজ্ঞাপন না থাকলেও জীবন বিজ্ঞানের নিয়মে চলবে। লোভনীয় পণ্যের বিজ্ঞাপন বরং অধিকাংশ নাগরিকের ক্ষতিই করে। সাধ ও সাধ্যের ফারাকটিকে প্রকট করে তোলে।

১০.৪ প্রদত্ত সূত্র ও তথ্য অবলম্বনে একটি প্রবন্ধ রচনা করো

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ১২৫ তম জন্মজয়ন্তী

জন্ম : ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭, ওড়িশার কটক শহরে জন্মস্থান।

পিতা, মাতার নাম : জানকীনাথ বসু, প্রভাবতী বসু।

শিক্ষাজীবন : প্রথমে কটকের প্রোটেস্ট্যান্ট ইওরোপীয় স্কুল, পরে কটকের রাভেনশ কলেজিয়ট স্কুল।

উচ্চশিক্ষা : প্রেসিডেন্সি কলেজ, IAS পরীক্ষায় উত্তীর্ণ।

রাজনৈতিক জীবন : গান্ধীজির নির্দেশ অনুসারে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সঙ্গে কাজ শুরু – মতপার্থক্য – ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রতিষ্ঠা কারাবরণ – কারাগারে আমরণ অনশন — গৃহবন্দী — – ১৯৪১ সালে পলায়ন – জার্মানি থেকে সিঙ্গাপুরে আগমন — আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন। 

বিখ্যাত স্লোগান : “তোমরা আমাকে রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” এবং “দিল্লি চলো”।

সাহিত্য রচনা : তরুণের স্বপ্ন, মুক্তি সংগ্রাম, দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল।

অন্তর্ধান ও মৃত্যু : ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইওয়ানে একটি বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান বলে প্রচারিত কিন্তু তাঁর দুর্ঘটনার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় নি। ফলে তাঁর মৃত্যু এখনও বিতর্কের বিষয়।

Leave a Comment