বিশেষ্য পদ কাকে বলে? বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ ও প্রত্যেক শ্রেণীর উদাহরণ সহ আলোচনা করা হল ।
বিশেষ্য পদ অপর নাম | নাম পদ |
বিশেষ্য পদ শ্রেণিবিভাগ | ৯ টি |
বিশেষ্য পদ উদাহরণ | শ্যামল, কুকুর , আগুন , গাছ, নদী , হিমালয় |
বিশেষ্য পদ চেনার উপায় | নাম, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য়, বাক্যের উদ্দেশ্য |
বিশেষ্য পদ ও শ্রেণিবিভাগ
বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
বিশেষ্য পদ কোনো কিছুর নামকে নির্দেশ করে।অর্থাৎ যে পদের দ্বারা কোন ব্যাক্তি, বস্তু, জাতি, গুন, সমষ্টির নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – রবীন্দ্রনাথ বিশ্বকবি। এখানে রবীন্দ্রনাথ বিশেষ্য পদ। কারণ, এই শব্দটি দ্বারা কারো নাম বোঝানো হয়েছে। যে পদ কোনো বস্তু, ব্যক্তি, গুণ, জাতি বা ক্রিয়ার নাম বোঝায় তাকে বিশেষ্য পদ বলে।
বিশেষ্য পদ উদাহরণ
যেমন- শ্যামল, কুকুর , আগুন , গাছ, নদী , হিমালয় প্রভৃতি।
বিশেষ্য পদ চেনার উপায়
- যে কোনো নাম বিশেষ্য ।
- ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি তা বিশেষ্য ।
- বাক্যের উদ্দেশ্য রূপে ব্যবহার করা হবে , সেটি বিশেষ্য বা সর্বনাম হবে। সর্বনাম না হলে অবশ্যই বিশেষ্য হবে।
বিশেষ্য পদের শ্রেণিবিভাগ :-
বিশেষ্যপদ সাধারণত নয় প্রকার। যথা –
- (১) নামবাচক বা ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য পদ
- (২) গুণবাচক বিশেষ্য পদ
- (৩) জাতিবাচক বিশেষ্য পদ
- (৪) বস্তুবাচক বিশেষ্য পদ
- (৫) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ
- (৬) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ
- (৭) অবস্থাবাচক বিশেষ্য পদ
- (৮) ভাববাচক বিশেষ্য পদ
- (৯) সংখ্যাবাচক বিশেষ্য পদ
(১) নামবাচক বা ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদ কোনো প্রাণী বা অপ্রাণীবাচক কোনো কিছুর নাম বোঝায় তাকে নামবাচক বা ব্যক্তিবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – বিবেকানন্দ, বিদ্যাসাগর, গঙ্গানদী, শাল, পলাশ ইত্যাদি।
(২) গুণবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদ কোনো গুণ জাতীয় অবস্থার নাম বোঝায় তাকে গুণবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – দয়া, দুঃখ, রাগ, ঘৃণা, বিদ্যা, প্রেম, ভালোবাসা, ক্ষমা ইত্যাদি।
(৩) জাতিবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদ কোনো জাতির নাম বোঝায় তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – গোরু, ছাগল, পাখি, বাঙালি ইত্যাদি।
(৪) বস্তুবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদ বস্তু বা জিনিসের নাম নির্দেশ করে তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – বালতি, জামা, জুতো, চাল, ভাত, আকাশ ইত্যাদি।
(৫) ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্যপদ কোনো ক্রিয়ার নামকে চিহ্নিত করে তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – দর্শন, বিশ্রাম, সাঁতার, রান্না, খাওয়া ইত্যাদি।
(৬) সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্যপদ কোনো দল গোষ্ঠী বা ওই শ্রেণির সমষ্টিকে চিহ্নিত করে তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – শিক্ষক, ডাক্তার, গরিব, নেতা, বিদেশি, ক্রেতা ইত্যাদি।
(৭) অবস্থাবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদ কোনো কিছুর অবস্থা বোঝায় তাকে অবস্থাবাচক বিশেষ্য পদ বলে।
যেমন – অস্ফুট শৈশবকাল যেন রে আমার। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায়।
(৮) ভাববাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদের দ্বারা কোনো বিমূর্ত ভাবের নাম বোঝানো হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে।
উদাহরণ :- সততা, আনন্দ, সুখ, বেদনা, ভদ্রতা, সরলতা, নৈরাশ্য , হীনতা, ক্রোধ, ইত্যাদি।
(৯) সংখ্যাবাচক বিশেষ্য পদ কাকে বলে?
যে বিশেষ্য পদের দ্বারা সংখ্যার নাম বোঝানো হয়, তাকে সংখ্যাবাচক বিশেষ্য বলে।
উদাহরণ :- আমি দাদা সাতে-পাঁচে থাকি না । উনিশে আর বিশে কী এমন তফাত। দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ।
-
বিশেষ্য পদ মানে কি?
সাধারণভাবে এর সংজ্ঞা হিসাবে বলা হয়, কোন কিছুর নামকেই বিশেষ্য বলে। বাংলা ব্যাকরণ মতে, বাক্যে ব্যবহৃত যে প্রকার পদ (শব্দ-ধ্বনি) দ্বারা কোন কিছুর নাম বোঝানো হয় তাকেই বিশেষ্য পদ বলে।
-
বিশেষ্য পদ কে কিভাবে চেনা যায়?
নাম, ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য়, বাক্যের উদ্দেশ্য (সর্বনাম বাদে) হল বিশেষ্য পদ।
-
বস্তুবাচক পদ কি?
যে বিশেষ্য দ্বারা যে সমস্ত বস্তুর নামকে বোঝায় তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে।