বাঙালির শিল্প ও সংস্কৃতির তৃতীয় অধ্যায়: বাঙালির চিত্রকলা

বাঙালির চিত্রকলা হতে বড় প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হল । বাংলা ভাষা ও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ইতিহাস হতে প্রথম পর্ব: বাঙালির শিল্প ও সংস্কৃতির দ্বিতীয় অধ্যায় বাঙালির চিত্রকলা ।

বাঙালির চিত্রকলা

বাঙালির শিল্প ও সংস্কৃতির দ্বিতীয় অধ্যায় বাঙালির চিত্রকলা ।


১. বঙ্গদেশের চিত্রকলার ইতিহাসে রামকিঙ্কর বেইজের অবদান আলোচনা কর।

প্রশ্নের মান 5
উচ্চ মাধ্যমিক 2015

প্রাককথন : –

প্রথিতযশাশিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার যুগীপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। প্রথমে ছাত্র হিসেবে নন্দলাল বসুর তত্ত্বাবধানে তিনি চিত্র ও ভাস্কর্য নির্মাণ শিল্পে অংশ নেন। পরবর্তীকালে শান্তিনিকেতনের কলাভবনে চিত্র ও ভাস্কর্য শিল্পী হিসেবে শিক্ষকতার পদে যোগদান করেন। নিজ প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতার গুণে তিনি অসাধারণ হয়ে ওঠেন।

শিল্পচর্চা : –

নিতান্ত দারিদ্র্যের মধ্যে শৈশব কাটলেও বাল্যকাল থেকেই তাঁর মনের মধ্যে গভীর শিল্পানুরাগ ধরা ছিল। রামকিঙ্কর বেইজের শিল্প সত্তা গড়ে উঠেছিল আশেপাশের দলিত অধিবাসীদের জীবনাচরণের রসসিক্ত হয়ে। দেবদেবীর ছবি এঁকে, ছুতোর – কামারের কাজ দেখে ও শিখেএবং মৃৎশিল্পের ধারায় পুতুল গড়ে এই শিল্পী তাঁর শিল্পবোধ ও দক্ষতাকে প্রণোদিত করেন। মঞ্চসজ্জা ও পোস্টার লিখনেও তাঁর দক্ষতা ছিল সহজাত।

বিখ্যাত চিত্রকলা : –

রামকিঙ্করবেইজেরউল্লেখযোগ্য চিত্রকলা হল বিনোদিনী, শরৎকাল, গ্রীষ্মের দুপুর, নতুন শস্য, কৃষ্ণের জন্ম, মহিলা, কুকুর, কলাভবনের কালো বাড়ির দেওয়াল চিত্র ইত্যাদি।

বিখ্যাত ভাস্কর্য : –

রামকিঙ্করবেইজেরউল্লেখযোগ্যভাস্কর্য শিল্পগুলি হল মা ও ছেলে, কচ ও দেবযানী, সাঁওতাল রমনী, সাঁওতাল দম্পতি, সাঁওতাল পরিবার,আলাউদ্দিন খাঁ, হাটের পথে, কংক্রিটের তৈরি নারী মূর্তি সুজাতা, মিথুন – ২, মিথুন – ৩ ইত্যাদি।

স্বীকৃতি ও মূল্যায়ন : –

রামকিঙ্করবেইজএক অসামান্য প্রতিভাবান ভাস্কর ছিলেন। বহু প্রতিকূলতা জয় করে দেশের দীপ্ত মুখচ্ছবি কে সারা বিশ্বের কাছে উপহার দিয়ে গেছেন এই সার্থক শিল্পী। তিনি ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে ‘পদ্মবিভূষণ’, ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে ‘দেশিকোত্তম’উপাধি লাভ করেন। ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে এই মহান শিল্পী পরলোক গমন করেন।


২. বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে নব্যবঙ্গ চিত্ররীতির জনক কে  ?বাঙালির  চিত্রকলারইতিহাসে তাঁর অবদান আলোচনা কর।

প্রশ্নের মান 5
উচ্চ মাধ্যমিক 2016

বাংলা চিত্রকলার ইতিহাসে নব্যবঙ্গ চিত্ররীতির জনক অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

প্রাককথন:-

রবীন্দ্রনাথ – জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের সন্তান অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম আন্তর্জাতিক ভারতীয় চিত্রশিল্পী তথা ভারতীয় চিত্রকলার পুরোধা। চিত্রকলার জগতে ইউরোপীয় রীতির পাশাপাশি ভারতীয় প্রাচ্য শিল্প রীতির যে বিরাট ভূমিকা থাকতে পারে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তুলিতে তা প্রথম প্রকাশ পায়।

শিল্পচর্চা:-

ঊনিশ শতকের শেষ ভাগে বাংলার চিত্রকলা নতুন ধারায় পথ চলা শুরু করে, অবনীন্দ্রনাথ ছিলেন তার নান্দীকার। তিনি শুধু ভারতীয় রীতির সাথে বিদেশী শিল্পচর্চার সমন্বয় ঘটানো, জল রং, তেল রং, এবং প্যাস্টেলের দ্বারা বৈচিত্র্যময় চিত্রও অঙ্কন করেছেন। কলকাতার আর্ট কলেজে যোগদান করে তিনি ভারতীয় রীতিতে রাধাকৃষ্ণ সম্পর্কিত চিত্রাবলী অঙ্কন করেন।

শিল্প বৈশিষ্ট্য : –

শিল্পী অবন ঠাকুরের প্রধান দক্ষতা ছিল জল রঙে, ওয়াশ পদ্ধতিতে চিত্র রচনায়। মুঘল মিনিয়েচার থেকে তিনি সংগ্রহ করেছিলেন অণুচিত্রমূলক গুণ ও কম্পোজিশন। বারবার ছবি ধুয়ে ফেলার কারণে তাঁর ছবিতে রঙের চরিত্র হয়ে উঠল পেলব ও মৃদু।

শিল্প সম্ভার : –

যে সমস্ত ছবি অঙ্কন করে অবনীন্দ্রনাথ খ্যাতিলাভ করেন সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘শ্বেত অভিসারিকা’, ‘কৃষ্ণলীলা’, ‘কচ ও দেবযানী’, ‘ভারতমাতা’, ‘অশোকের রানি’, ‘কাজরীনৃত্য’, ‘দেবদাসী’, ‘অন্তিম শয্যায় শাহজাহান’, ‘বজ্রমুকুট’, ‘ঋতুসংহার’, ‘বুদ্ধ ও সুজাতা’ইত্যাদি।

স্বীকৃতিওমূল্যায়ন:-

স্বপ্রতিভায়, স্বমহিমায়, স্বতন্ত্র শিল্পী হিসেবে চিত্রকলার ইতিহাসে অবনীন্দ্রনাথ কিংবদন্তি। শেষ বেলায় ‘কাপুর কুটুম’নামের হেলাফেলার শিল্পেও তিনি নতুন করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন। ওরিয়েন্টাল আর্ট সোসাইটি স্থাপনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাগেশ্বরী অধ্যাপক এবং ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতীর আচার্য হন। ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দে এই মহান শিল্পী পরলোক গমন করেন।


৩. ‘পট’শব্দটির অর্থ কী ? এই শিল্প সম্পর্কে আলোচনা কর।

প্রশ্নের মান ১+৪ 
উচ্চ মাধ্যমিক ২০১৭, ২০২০

‘পট’শব্দটির আভিধানিক অর্থ চিত্র। সংস্কৃত ‘পট’শব্দটির অর্থ বস্তু বা কাপড়।

পটের ইতিহাস :-

বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বুদ্ধদেবের জীবনী ও পূর্ব জন্ম সংক্রান্ত জাতকের গল্প নিয়ে তৈরি করা পট প্রদর্শন করতেন। কাপড়ের ওপর কাদামাটি বা গোবর মিশ্রিত প্রলেপের সাথে আঠা মিশিয়ে জমিন তৈরি করে পট অঙ্কিত হত। সপ্তম শতকের গোড়ায় রচিত ‘হর্ষচরিত’ – এ পটুয়াদের কথা আছে। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ শতকে পট শিল্পের বিস্তার দেখা যায়।

সময়ের সাথে সাথে পটের রূপরেখা : –

সময়ের সাথে সাথে বাংলার পটের রূপরেখার পরিবর্তন ঘটিয়েছেন পটুয়ারা তথা পট শিল্পীরা।পরিবেশ ও অবস্থান অনুসারে বাংলার পটকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা হয় – i) আদিবাসীদের পট, ii)যমুনা পট, iii) গাজিপট, iv) হিন্দু ধর্মগ্রন্থ, ধর্ম কাহিনী, অবতার কাহিনী বা মহাজিন পট।

পট শিল্পের প্রসার ও স্বীকৃতি : –

পট শিল্পের প্রসারে পনেরো শতকের গুরুত্বপূর্ণ পট হল গাজীর পট। ষোড়শ শতকে চৈতন্যদেবের বাণী প্রচারের জন্যও পট ব্যবহৃত হত।প্রায় এক হাজার বছর আগে থেকে ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত পটুয়ারা সক্রিয় ছিলেন।কয়েকটি প্যানেলে ক্যানভাসকে ব্যবহার করে পটুয়ারা পৌরাণিক বা লোকগাঁথা ভিত্তিক কাহিনী ফুটিয়ে তুলতেন। আমাদের দেশে মূলত বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা গ্রামে গ্রামে ঘুরে গানের সুরে এইসব পটের কাহিনী বর্ণনা করতেন। এইসব গানই পটের গান নামে চিহ্নিত হয়ে আছে।

লোকসাহিত্য ও সংস্কৃতির সম্পদ পট : –

পট আসলে চিত্রাঙ্কনের জন্য প্রস্তুত লৌকিক পদ্ধতির জমি। প্রাচীন বাংলার লোক সংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম পটের ক্ষেত্রে পটুয়ার রীতি ছিল মুসলমানের, কিন্তু কর্ম হিন্দুর।এখানে ধর্ম অতিক্রান্ত একটা সংস্কৃতি বোধের বিকাশ লক্ষ্য করা যায়। ঊনিশ শতকে বাংলায় প্রসিদ্ধি লাভ করে ‘কালিঘাট পট’। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য চিত্রশ শৈলী মিশিয়ে এই পট তৈরি হত এবং হিন্দু দেবদেবীর ছবিই চিত্রিত হত। সমাজের বিভিন্ন বিষয়কে সমালোচনা করে কালিঘাট পটকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক দলিলে পরিনত করতে পেরেছিলেন পট শিল্পীরা।


৪. চিত্রকলা চর্চায় নন্দলাল বসুর স্থান নিরূপণ কর।

প্রশ্নের মান 5
উচ্চ মাধ্যমিক 2018

প্রাককথন:-

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সুযোগ্য ছাত্র নন্দলাল বসু ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ৩রা ফেব্রুয়ারি বিহারের মুঙ্গেরে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্র – কবিতা তাঁর শিল্পী মননে গভীর প্রভাব বিস্তার করে। ১৯২০ সালে শান্তিনিকেতনের কলাভবনে নন্দলাল বসুর যোগদানের পর থেকেই শিল্প শিক্ষার এক বিশিষ্ট পদ্ধতি এই প্রতিষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করে তোলে।

শিল্পচর্চা:-

অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিত্রে ধ্রুপদী এবং পৌরাণিক অতীতের মেলবন্ধনের প্রকাশ দেখা যায়। কিন্তু নন্দলাল বসু সেই ধারা থেকে বেরিয়ে এসে চারপাশের প্রকৃতি থেকে তাঁর আঁকার বিষয় নিয় ছিলেন।বলতে গেলে তিনিই সর্বপ্রথম ভারতীয় শিল্প শিক্ষায় ‘আউটডোর স্টাডি’বা ‘ন্যাচার স্টাডি’ – র ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। নন্দলালের তুলিতে সহজ পাঠের অনবদ্য অলঙ্করণ প্রতিটি বাঙালির শৈশব স্মৃতির সাথে জড়িয়ে আছে।

শিল্পবৈশিষ্ট্য:-

গুরু অবনীন্দ্রনাথের মতো তিনিও ওয়াশ পদ্ধতিতে ছবি আঁকতে শুরু করেন। তাঁর হাতে প্রাধান্য পেতে শুরু করে প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ মূলক ছবি। শান্তিনিকেতনের দিগন্ত বিস্তৃত প্রান্তর, ক্ষোয়াই, মাঠে বিচরণরত মোষ, মাল বজায় গোরুর গাড়ি, হাট যাত্রী পথিক, নারী – পুরুষ – শিশু — সব কিছুই উঠে এল তাঁর ছবির বিষয় হিসেবে। ওয়াশ পদ্ধতির পাশাপাশি তিনি শুরু করেন ঘন জল রঙের টেম্পেরার কাজ।

শিল্পসম্ভার:-

নন্দলাল বসুর আঁকা বিখ্যাত ছবিগুলি হল ‘পার্থসারথি’, ‘সতী’, ‘হল কর্ষণ’, ‘রাঙামাটির পথ’, ‘অহল্যার শাপমুক্তি’, ‘সিদ্ধিদাতা গণেশ’, ‘নটরাজের তাণ্ডব’, ‘মহাপ্রস্থানের পথে যুধিষ্ঠির’ইত্যাদি। ১৯৩০ সালে ডান্ডি লবণ আন্দোলনে গান্ধীজীর গ্রেফতারের পরে নন্দলাল সাদা- কালোয় চলমান গান্ধীজীকে এঁকেছিলেন লাঠি হাতে। এই চিত্রটি অহিংস আন্দোলনের প্রায় ‘আইকন’- এ পরিণত হয়।

স্বীকৃতিওমূল্যায়ন:-

কলাভবনের শিল্পচর্চায় এক নবদিগন্ত উন্মোচন করেন শিল্পাচার্য নন্দলাল বসু।১৯৫২ সালে বিশ্বভারতী তাঁকে ‘দেশিকোত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করে।১৯৫৪ সালে তিনি ‘পদ্মবিভূষণ’উপাধি লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি ললিত কলা অ্যাকাডেমির দ্বিতীয় ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালের ১৬ এপ্রিল এই মহান চিত্রকর শান্তিনিকেতনে পরলোক গমন করেন।


৫. বাঙালির চিত্রকলার ইতিহাসে যামিনী রায়ের অবদান আলোচনা কর।

প্রশ্নের মান 5
উচ্চ মাধ্যমিক

প্রাককথন:-

চিত্রকর যামিনী রায়ের জন্ম ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে বাঁকুড়া জেলার বেলিয়াতোড় গ্রামে। জন্মসূত্রেই তিনি চিত্র চর্চার উত্তরাধিকার লাভ করেন। ছেলেবেলা থেকে গ্রামীণ নিসর্গের সাধারণ কিন্তু মায়াময় সঙ্গ ও শিল্প তাঁর শিল্পী মনকে গড়ে দেয়।

চিত্র শিল্পচর্চা : –

তাঁর প্রথাগত চিত্র শিক্ষার বৃহৎ অঙ্গন ছিল গভর্নমেন্ট আর্ট স্কুল।তাঁর অঙ্কিত চিত্র ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্ট – এর নিজস্ব ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়ে থাকে। ভারতীয় চিত্রকলায় তাঁর ছবির ভাব, বিষয়, অঙ্কন রীতি সমকালীন শিল্পীদের থেকে এতটাই ভিন্নদর্শী ছিল যে, তিনি ক্রমে স্বতন্ত্র চিত্ররীতি নির্মাণ করে প্রতিষ্ঠিত হন।

চিত্র শিল্প বৈশিষ্ট্য : –

যামিনী রায় তাঁর শিল্প সাধনার প্রথম পর্যায়ে ইউরোপীয় টেকনিক আয়ত্ত করেছিলেন। তারপর খুঁজতে শুরু করেছিলেন নিজস্ব ছবি আঁকার রীতি। নিজস্ব বৈশিষ্ট্য ও লক্ষ্যে কালিঘাটের পটচিত্র দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিলেন তিনি। সুপ্রাচীন বাংলার এই শিল্পচর্চা থেকে প্রাচীন পটের গায়ে আঁকা ছবি, আল্পনার ঢং, মাটির তৈরি হরেক রকমের খেলনা, পুতুল ঘোড়া, মানুষ ইত্যাদি সবকিছু থেকেই তিনি উপাদান সংগ্রহ করে নিজস্ব রীতি তৈরি করে নিয়েছিলেন।

শিল্পসম্ভার:-

যামিনী রায়ের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি সম্ভারের মধ্যে রয়েছে ‘রামায়ণ উপাখ্যান’, ‘বাউল বৈষ্ণব’, ‘সাঁওতাল রমনী’, ‘মাতৃ মূর্তি’, ‘কনে ও তার দুই সঙ্গী’, ‘ক্রন্দসী মাছের সাথে দুই বিড়াল’ইত্যাদি।

স্বীকৃতিওমূল্যায়ন:-

১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে সর্বভারতীয় প্রদর্শনীতে তাঁর ছবি ভাইসরয়ের স্বর্ণপদক লাভ করে। তাঁর অসাধারণ শিল্প কৃতিত্বের জন্য ১৯৫৪ সালে ‘পদ্মবিভূষণ’ এবং ১৯৫৬ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সাম্মানিক ডি. লিট. ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এককথায় তিনি লোক শিল্পের আঙ্গিককে তাঁর সৃজনশীল মনন দিয়ে নতুনত্ব প্রতিষ্ঠা করে বাংলার চিত্রকলার ইতিহাসে অভিনবত্ব প্রদান করেছেন।


Leave a Comment