নাটক-আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (একাদশ শ্রেণী)

নাটক – আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা (একাদশ শ্রেণী)

নাটক (আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ধারা)

১। রবীন্দ্রনাথের প্রথম গীতিনাট্যের নাম লেখো।

(ক) চিত্রাঙ্গদা

(খ) বাল্মীকি প্রতিভা

(গ) কালমৃগয়া

(ঘ) মায়ার খেলা

২। রবীন্দ্রনাথের প্রথাসিদ্ধ একটি নাটক হল –

(ক) চিত্রাঙ্গদা

(খ) চিরকুমার সভা

(গ) শ্যামা

(ঘ) রাজা ও রানী

৩। রবীন্দ্রনাথের একটি নাট্যকাব্য হল –

(ক) রুদ্রচণ্ড 

(খ) চিত্রাঙ্গদা

(গ) নটীর পূজা

(ঘ) কালমৃগয়া

৪। রবীন্দ্রনাথের একটি রূপক-সাংকেতিক নাটকের নাম লেখো।

(ক) গান্ধারীর আবেদন

(খ) প্রকৃতির প্রতিশোধ

(গ) ডাকঘর

(ঘ) রুদ্রচণ্ড

৫। রবীন্দ্রনাথের একটি কৌতুকনাট্য হল –

(ক) নটীর পূজা 

(খ) নলিনী

(গ) বিনি পয়সার ভোজ

(ঘ) সতী

৬। দ্বিজেন্দ্রলালের একটি পৌরাণিক নাটক হল –

(ক) তারাবাঈ 

(খ) ত্র্যহস্পর্শ

(গ) রাজা 

(ঘ) নূরজাহান

৭। দ্বিজেন্দ্রলালের একটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম হল –

(ক) বিল্বমঙ্গল

(খ) রাণা প্রতাপ সিং

(গ) রাজা

(ঘ) পুনর্জন্ম 

৮। দ্বিজেন্দ্রলালের একটি সামাজিক নাটক হল –

(ক) সাজাহান

(খ) প্রায়শ্চিত্ত

(গ) বঙ্গনারী

(ঘ) কল্কি অবতার

৯। ক্ষীরোদপ্রসাদের একটি পৌরাণিক নাটকের নাম লেখো। 

(ক) নরনারায়ণ

(খ) পদ্মিনী

(গ) পরপারে

(ঘ) আলমগীর

১০। ক্ষীরোদপ্রসাদের একটি ঐতিহাসিক নাটক হল –

(ক) বভ্রূবাহন

(খ) আলিবাবা

(গ) পদ্মিনী

(ঘ) পরপারে

১১। মাইকেল মধুসূদনের একটি নাটকের নাম হল –

(ক) শর্মিষ্ঠা

(খ) রাজা

(গ) নরনারায়ণ

(ঘ) একেই কি বলে সভ্যতা?

১২। ‘পদ্মাবতী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) দীনবন্ধু

(খ) দ্বিজেন্দ্রলাল 

(গ) রবীন্দ্রনাথ

(ঘ) মাইকেল মধুসূদন 

১৩। ‘কমলে কামিনী’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) দীনবন্ধু মিত্র

(খ) রবীন্দ্রনাথ 

(গ) মধুসুদন

(ঘ) দ্বিজেন্দ্রলাল

১৪। গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি ভক্তিমূলক নাটক হল –

(ক) বিল্বমঙ্গল 

(খ) পাণ্ডবগৌরব

(গ) জনা

(ঘ) প্রফুল্ল 

১৫। গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি পৌরাণিক নাটক হল –

(ক) হারানিধি

(খ) জনা

(গ) মায়াবসান

(ঘ) প্রফুল্ল

খ 

১৬। গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি সামাজিক নাটক হল –

(ক) প্রফুল্ল 

(খ) পাণ্ডবগৌরব

(গ) বিল্বমঙ্গল 

(ঘ) জনা 

১৭। গিরিশচন্দ্র ঘোষের একটি ঐতিহাসিক নাটক হল –

(ক) বলিদান

(খ) সিরাজদ্দৌলা

(গ) জনা

(ঘ) মায়াবসান

 খ

১৮। অমৃতলাল বসু রচিত একটি নাটকের নাম লেখো। 

(ক) পদ্মাবতী

(খ) পদ্মিনী

(গ) যাজ্ঞসেনী

(ঘ) প্রফুল্ল

১৯। দ্বিজেন্দ্রলাল রায় রচিত একটি ঐতিহাসিক নাটক –

(ক) নুরজাহান

(খ) বিল্বমঙ্গল 

(গ) প্রফুল্ল 

(ঘ) পাষাণী 

২০। দ্বিজেন্দ্রলালের শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাটক হল –

(ক) মেবার পতন

(খ) প্রতাপসিংহ

(গ) দুর্গাদাস

(ঘ) সাজাহান

২১। মন্মথ রায়ের শ্রেষ্ঠ পৌরাণিক নাটক হল –

(ক) দেবাসুর

(খ) কারাগার

(গ) চাঁদসদাগর

(ঘ) সীতা

২২। বিধায়ক ভট্টাচার্যের লেখা একটি নাটকের নাম লেখো।

(ক) মাটির ঘর

(খ) জনা

(গ) বিল্বমঙ্গল

(ঘ) সাজাহান

২৩। ‘নবান্ন’ নাটকের রচয়িতার নাম কী?

(ক) বিজন ভট্টাচার্য

(খ) মন্মথ রায় 

(গ) তুলসী লাহিড়ী

(ঘ) বিধায়ক ভট্টাচার্য

২৪। তুলসী লাহিড়ী রচিত নাটকের নাম লেখো।

(ক) ছেঁড়া তার

(খ) নবান্ন

(গ) জনা

(ঘ) সাজাহান

২৫। মন্মথ রায়ের একটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম হল –

(ক) সাঁওতাল বিদ্রোহ

(খ) চাষীর প্রেম

(গ) জীবনটাই নাটক

(ঘ) মমতাময়ী হাসপাতাল

২৬। সলিল সেন রচিত একটি জনপ্রিয় নাটক হল –

(ক) দর্পণ

(খ) দিশারী 

(গ) ডাউন ট্রেন

(ঘ) স্বীকৃতি

২৭। বিধায়ক ভট্টাচার্যের একটি মঞ্চসফল নাটকের নাম হল –

(ক) ক্ষুধা

(খ) কেরাণির জীবন

(গ) নবান্ন

(ঘ) চাষীর প্রেম

২৮। ছবি বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি নাটকের নাম হল –

(ক) যা হচ্ছে তাই

(খ) রজনীগন্ধা

(গ) তৃষ্ণা

(ঘ) কেরানির জীবন

২৯। ধনঞ্জয় বৈরাগী রচিত একটি নাটকের নাম লেখো।

(ক) স্ট্রীট বেগার

(খ) ছায়ানট 

(গ) রুপোলি চা

(ঘ) অঙ্গার

৩০। উৎপল দত্ত রচিত একটি নাটকের নাম হল –

(ক) রজনীগন্ধা

(খ) পাহাড়ী ফুল

(গ) জনা

(ঘ) ফেরারী ফৌজ

৩১। সুনীল দত্ত রচিত একটি নাটকের নাম হল –

(ক) খর নদীর স্রোতে 

(খ) টিনের তলোয়ার

(গ) দাদা জন্মালেন

(ঘ) মানুষের অধিকার 

৩২। ‘শততম রজনীর অভিনয়’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) উৎপল দত্ত

(খ) সোমেন্দ্রচন্দ্র নন্দী

(গ) রমেন লাহিড়ী

(ঘ) সুনীল দত্ত

৩৩। শৈলেশ গুহ নিয়োগী রচিত একটি নাটক হল –

(ক) পান্থশালা

(খ) অঙ্গার 

(গ) টিনের তলোয়ার

(ঘ) পাহাড়ী ফুল

৩৪। বাদল সরকারের একটি নতুন নাট্যধারার নাটক হল – 

(ক) এবং ইন্দ্রজিৎ

(খ) গেটম্যান

(গ) ক্লান্ত রূপকার

(ঘ) খর নদীর স্রোতে

৩৫। ‘চাক ভাঙা মধু’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) বাদল সরকার 

(খ) মনোজ মিত্র

(গ) উৎপল দত্ত

(ঘ) সুনীল দত্ত 

৩৬। ‘এক পেয়ালা কফি’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

(খ) মনোজ মিত্র

(গ) বাদল সরকার

(ঘ) ধনঞ্জয় বৈরাগী

৩৭। রতনকুমার ঘোষের লেখা একটি জনপ্রিয় নাটক –

(ক) অলকানন্দার পুত্রকন্যা

(খ) অমৃতস্য পুত্রা

(গ) সাজানো বাগান

(ঘ) নরক গুলজার 

৩৮। উদ্ভট নাট্য রচয়িতা মোহিত চট্টোপাধ্যায়ের একটি নাটকের নাম হল –

(ক) দর্পণে শরৎশশী

(খ) এরাও মানুষ

(গ) মৃত্যুসংবাদ

(ঘ) ছারপোকা

৩৯। জোছন দস্তিদারের একটি জনপ্রিয় নাটক হল –

(ক) নষ্টচন্দ্র

(খ) দুই মহল 

(গ) শেষ থেকে শুরু

(ঘ) সত্য মারা গেছে

৪০। ঋত্বিক ঘটকের বহু অভিনীত একটি নাটক হল –

(ক) অমৃতস্য পুত্রা

(খ) আকরিক

(গ) এরাও মানুষ

(ঘ) দলিল 

৪১। শম্ভু মিত্র রচিত একটি নাটক হল –

(ক) বিদ্রোহী নায়ক

(খ) ঘূর্ণি

(গ) বেড়াই

(ঘ) ঝিঁ ঝিঁ পোকার কান্না

৪২। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি নাটক হল –

(ক) শেষ থেকে শুরু 

(খ) বিদ্রোহী নায়ক

(গ) বেহাগ 

(ঘ) ঘূর্ণি

৪৩। অরুণ মুখোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় নাটক হল –

(ক) অজাতক

(খ) মারীচ সংবাদ

(গ) নষ্টচন্দ্র

(ঘ) এরাও মানুষ

৪৪। বুদ্ধদেব বসুর যদুবংশ ধ্বংসের কাহিনি অবলম্বনে রচিত নাটক হল –

(ক) কালসন্ধ্যা 

(খ) অনাম্নী অঙ্গনা

(গ) প্রথম পার্থ 

(ঘ) সত্যসন্ধ

৪৫। মন্মথ রায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক হল –

(ক) সংক্রান্তি

(খ) মহাপ্রেম

(গ) অপরাজিত

(ঘ) সমান্তরাল

৪৬। ধনঞ্জয় বৈরাগী রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক হল –

(ক) স্বর্ণকীট 

(খ) সৈনিক

(গ) প্রথম পার্থ

(ঘ) জওয়ান

৪৭। রমেন লাহিড়ী রচিত একটি দেশাত্মবোধক একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) স্ফূলিঙ্গ

(খ) লঙ্ঘন 

(গ) সীমান্তের ডাক

(ঘ) অমর

৪৮। প্রীতি রায় রচিত একটি রূপকাশ্রয়ী দেশাত্মবোধক নাটকের নাম হল –

(ক) নীলকণ্ঠ

(খ) সিপাহী

(গ) রক্তপদ্ম

(ঘ) সীমান্ত প্রহরী 

৪৯। দেবনারায়ণ গুপ্ত রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক হল –

(ক) এগিয়ে চলার ছন্দ

(খ) অমর

(গ) সীমান্তের ডাক

(ঘ) মৃত্যুর গর্জন

৫০। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটকের নাম –

(ক) রক্তপদ্ম

(খ) অমর 

(গ) এগিয়ে চলার ছন্দ

(ঘ) লগ্ন

৫১। জ্যোতু বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক হল –

(ক) মৃত্যুর স্বাদ

(খ) বেড নাম্বার থার্টিন

(গ) মেঘ

(ঘ) উল্কা কেবিন 

৫২। নিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক –

(ক) লগ্ন

(খ) সীমান্তের ডাক

(গ) নীলকণ্ঠ

(ঘ) মৃত্যুর স্বাদ

৫৩। কিরণ মৈত্র রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক –

(ক) উল্কা কেবিন

(খ) মৃত্যুর গর্জন

(গ) মেঘ

(ঘ) সিপাহী

৫৪। সুনীল দত্ত রচিত একটি দেশাত্মবোধক নাটক হল –

(ক) রক্তপদ্ম

(খ) এগিয়ে চলার ছন্দ

(গ) উল্কা কেবিন

(ঘ) সীমান্ত প্রহরী

৫৫। মানিক সরকার রচিত দেশাত্মবোধক নাটকের নাম –

(ক) মৃত্যুর স্বাদ

(খ) সিপাহী

(গ) মৃত্যুর গর্জন

(ঘ) মেঘ

৫৬। দিলীপ রায়ের একটি নাট্যকাব্য –

(ক) চেরাগবিবির হাট

(খ) দুই আর দুই 

(গ) রূপান্তর

(ঘ) কক্ষপথে ওরা

৫৭। রাম বসু রচিত বহুখ্যাত নাট্যকাব্য হল –

(ক) সাইরেন

(খ) সমুদ্র ধ্রুপদী

(গ) নীলকন্ঠ 

(ঘ) সার্কাস

৫৮। মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি নাট্যকাব্য হল –

(ক) একলব্য 

(খ) দুই আর দুই

(গ) নীলকণ্ঠ 

(ঘ) কক্ষপথে ওরা

৫৯। নাট্যকার গিরিশংকরের রচিত একটি নাট্যকাব্য হল –

(ক) কক্ষপথে ওরা 

(খ) দুই আর দুই

(গ) একলব্য 

(ঘ) সমুদ্র ধ্রুপদী

৬০। শান্তিকুমার ঘোষ রচিত একটি নাট্যকাব্য হল –

(ক) কক্ষপথে ওরা

(খ) চেরাগবিবির হাট

(গ) একলব্য

(ঘ) সাইরেন

৬১। মন্মথ রায়ের একটি একাঙ্ক নাটক সংকলন গ্রন্থের নাম লেখো।

(ক) স্ফুলিঙ্গ 

(খ) দৈনন্দিন

(গ) ফকিরের পাথর

(ঘ) গোলপার্ক

৬২। ‘নব একাঙ্ক’ শীর্ষক সংকলন গ্রন্থটির রচয়িতা হলেন –

(ক) সুনীল দত্ত

(খ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী 

(গ) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(ঘ) মন্মথ রায়

৬৩। মন্মথ রায়ের একটি একাঙ্ক নাটকের নাম হল –

(ক) বিদ্যুৎপর্ণা

(খ) রিহার্সাল

(গ) শেষ সংলাপ

(ঘ) বুদবুদ

৬৪। ‘রক্তকদম’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

(খ) সোমেন্দ্র চন্দ্র নন্দী

(গ) সুনীল দত্ত

(ঘ) মন্মথ রায়

৬৫। দিগিন্দ্রচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি একাঙ্ক নাটকের নাম হল –

(ক) প্রথম অঙ্কে সমাপ্ত

(খ) ঘুঘু 

(গ) পূর্ণগ্রাস

(ঘ) সন্ন্যাসী

৬৬। বনফুল রচিত একটি একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) বাণপ্রস্থ

(খ) দাম্পত্যকলহে চৈব

(গ) ভাগ্যে লেখা

(ঘ) চাঁদের হাট

৬৭। সলিল সেন রচিত একটি জনপ্রিয় একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) ঘুঘু

(খ) অন্তরীক্ষে

(গ) সন্ন্যাসী

(ঘ) লুঠতরাজ

৬৮। বুদবুদ’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) কিরণ মৈত্র

(খ) বিধায়ক ভট্টাচার্য 

(গ) অচিন্ত্য সেনগুপ্ত

(ঘ) গিরিশংকর

৬৯। ‘শেষ সংলাপ’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(খ) সুনীল দত্ত

(গ) গিরিশংকর

(ঘ) সলিল সেন

৭০। সোমেন্দ্র চন্দ্র নন্দী রচিত একাঙ্ক নাটকের সংকলন গ্রন্থের নাম –

(ক) প্রথম অঙ্কে সমাপ্ত 

(খ) দ্বান্দ্বিক

(গ) চাঁদের হাট

(ঘ) সম্রাজ্ঞী

৭১। সুনীল দত্তের উল্লেখযোগ্য একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) শতাব্দীর স্বপ্ন

(খ) অভিনয়

(গ) পলিটিক্স

(ঘ) লুঠতরাজ

৭২। ‘দ্বান্দ্বিক’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) সুনীল দত্ত

(খ) অমর গঙ্গোপাধ্যায়

(গ) সলিল সেন

(ঘ) এঁদের কেউ নন

৭৩। বিদ্যুৎ বসু রচিত জনপ্রিয় একাঙ্ক নাটকটি হল –

(ক) লার্নিং ফ্রম দি বার্নিং ঘাট

(খ) অন্ধকারায়

(গ) ঘুঘু

(ঘ) অণুবীক্ষণে

৭৪। ‘নবজন্ম’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(খ) সলিল সেন 

(গ) সোমেন্দ্র নন্দী

(ঘ) অগ্নি মিত্র

৭৫। শৈলেশ গুহ নিয়োগী রচিত একটি জনপ্রিয় একাঙ্ক নাটকের নাম হল –

(ক) দৈনন্দিন

(খ) অভিনয়

(গ) ১৪ জুলাই

(ঘ) কয়েদখানা

৭৬। ‘প্রাইভেট এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’ নামক একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) অমরেশ দাশগুপ্ত

(খ) অচল বন্দ্যোপাধ্যায় 

(গ) অগ্নিমিত্র

(ঘ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

৭৭। উৎপল দত্ত রচিত একটি একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) সারি সারি পাঁচিল

(খ) নীলকণ্ঠ

(গ) নানা রঙের দিন।

(ঘ) রাক্ষস

৭৮। রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের একটি জনপ্রিয় একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) বিচার

(খ) রক্তে রোয়া ধান 

(গ) টাপুরটুপুর

(ঘ) স্পুটনিক

৭৯। কিরণ মৈত্রের একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) সূর্যের সন্তান 

(খ) বিষণ্ণ সকাল 

(গ) বিচারক

(ঘ) কোনোটাই নয়

৮০। জোছন দস্তিদারের লেখা একটি একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) খুন

(খ) পঙ্গপাল 

(ঘ) দিনান্ত

(গ) বাজিকর

৮১। ‘দিনান্ত’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) কিরণ মৈত্র

(খ) অগ্নিমিত্র 

(গ) অগ্নিদূত

(ঘ) বীরু মুখোপাধ্যায়

৮২। সজনীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) সূর্যের সন্তান

(খ) বাজিকর

(গ) পঙ্গপাল

(ঘ) বিচারক

৮৩। বসন্ত ভট্টাচার্যের একটি অভিনয় সফল নাটক হল –

(ক) বিচার

(খ) ঝিঁ ঝিঁ পোকার কান্না

(গ) সারি সারি পাঁচিল 

(ঘ) রবিবারের সকাল

৮৪। অতনু সর্বাধিকারীর একটি একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) বিচার

(খ) অন্য স্বর

(গ) স্পুটনিক

(ঘ) রৌদ্রাভিসার

৮৫। ‘স্পুটনিক’ একাঙ্ক নাটকটির রচয়িতা –

(ক) অতনু সর্বাধিকারী

(খ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী 

(গ) কিরণ মৈত্র

(ঘ) মনোজ মিত্র

৮৬। মনোজ মিত্র রচিত উল্লেখযোগ্য একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) টাপুরটুপুর

(খ) বিষণ্ণ সকাল

(গ) দিনান্ত

(ঘ) ষড়যন্ত্র

৮৭। ‘সমাধান’ শীর্ষক বিদেশি নাটকের অনুবাদ করেছেন –

(ক) রতনকুমার ঘোষ

(খ) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় 

(ঘ) সলিল সেন

(গ) উৎপল দত্ত

৮৮। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশি নাটকের অনুবাদকৃত উল্লেখযোগ্য নাটক হল –

(ক) টাপুরটুপুর

(খ) নানা রঙের দিন।

(গ) বিচার

(ঘ) রৌদ্রাভিসার

৮৯। রতনকুমার ঘোষ রচিত বহু অভিনীত নাটক হল –

(ক) বাইরের দরজায় 

(খ) পিতামহদের উদ্দেশ্যে

(গ) কালো মাটির কান্না

(ঘ) খুন

৯০। ‘শেষ বিচার’ শীর্ষক জনপ্রিয় নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) উৎপল দত্ত

(খ) রতনকুমার ঘোষ 

(গ) অগ্নিমিত্র

(ঘ) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়

৯১। বিদ্রোহী নাট্যকার রবীন্দ্র ভট্টাচার্যের একটি নাটক হল –

(ক) আলোর নিশানা

(খ) রক্তে রোয়া ধান

(ঘ) বিচার

(গ) খুন

৯২। সমর দত্ত রচিত অভিনয় সফল একটি একাঙ্ক নাটক হল –

(ক) যাদুকর 

(খ) এক যে ছিল রাজা 

(গ) ডাইনোসেরাস

(ঘ) অন্যস্বর

(খ) বিচার

৯৩। রাধারমণ ঘোষের একটি উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয় নাটক হল

(ক) হারাধনের দশটি ছেলে

(খ) বিচার

(গ) রাক্ষস

(ঘ) সূর্যের সন্তান 

৯৪। ‘সূর্য নেই স্বপ্ন আছে’ অভিনীত এই নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) অমল রায়

(খ) উৎপল দত্ত

(গ) সলিল সেন

(ঘ) রাধারমণ ঘোষ

৯৫। রাধারমণ ঘোষের একটি কৌতুক নাটক হল –

(ক) নচিকেতা 

(খ) হইতে সাবধান

(গ) ইতিহাস কাঁদে

(ঘ) শতাব্দীর পদাবলি

৯৬। ‘বন্দীশালার ডাক’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) অমল রায় 

(খ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

(গ) রতনকুমার ঘোষ

(ঘ) মনোজ মিত্র

৯৭। ‘অশান্ত বিবরে’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) উৎপল দত্ত

(খ) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(গ) রবীন্দ্র ভট্টাচার্য

(ঘ) অমল রায়

৯৮। শরৎচন্দ্রের একটি উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য নাট্যরূপ হল –

(ক) ষোড়শী

(খ) বড়দিদি

(গ) দেবদাস

(ঘ) অভাগীর স্বর্গ

৯৯। শিশিরকুমার ভাদুড়ী শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তার নাম –

(ক) রামের সুমতি

(খ) বিন্দুর ছেলে 

(গ) শ্রীকান্ত

(ঘ) বিরাজ বৌ

১০০। যোগেশ চৌধুরী শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তার নাম –

(ক) চরিত্রহীন

(খ) অনুপমার প্রেম

(গ) নিষ্কৃতি

(ঘ) চন্দ্রনাথ

১০১। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তার নাম হল – 

(ক) পরিণীতা

(খ) চন্দ্রনাথ

(গ) বিন্দুর ছেলে 

(ঘ) নিষ্কৃতি

১০২। বিধায়ক ভট্টাচার্য শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তার নাম হল –

(ক) বিন্দুর ছেলে

(খ) মেজদিদি 

(গ) অনুপমার প্রেম

(ঘ) চন্দ্রনাথ

১০৩। দেবনারায়ণ গুপ্ত শরৎচন্দ্রের যে উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন তার নাম হল –

(ক) মেজদিদি

(খ) বৈকুন্ঠের উইল

(গ) রামের সুমতি

(ঘ) বিপ্রদাস

১০৪। ‘শ্রীকান্ত’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন –

(ক) দেবনারায়ণ গুপ্ত

(খ) যোগেশ চৌধুরী 

(গ) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(ঘ) শিশির ভাদুড়ী 

১০৫। ‘অনুপমার প্রেম’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন –

(ক) যোগেশ চৌধুরী

(খ) বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

(গ) দেবনারায়ণ গুপ্ত উত্তর 

(ঘ) শিশির ভাদুড়ী

১০৬। মনোজ বসুর ‘বৃষ্টি বৃষ্টি’ উপন্যাসটিকে নাট্যরূপ দিয়েছেন –

(ক) দেবনারায়ণ গুপ্ত

(খ) শিশির ভাদুড়ী 

(গ) বিধায়ক ভট্টাচার্য

(ঘ) বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র 

১০৭। বিমল মিত্রের ‘সাহেব বিবি গোলাম’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছিলেন –

(ক) যোগেশ চৌধুরী

(খ) বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

(গ) শচীন সেনগুপ্ত

(ঘ) দেবনারায়ণ গুপ্ত

১০৮। ‘একমুঠো আকাশ’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন –

(ক) বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র

(খ) ধনঞ্জয় বৈরাগী

(গ) শচীন সেনগুপ্ত

(ঘ) শিশির ভাদুড়ী

১০৯। জরাসন্ধের ‘লৌহকপাট’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছিলেন –

(ক) জ্যোতু বন্দ্যোপাধ্যায়

(খ) শিশির ভাদুড়ী

(গ) ধনঞ্জয় বৈরাগী

(ঘ) দেবনারায়ণ গুপ্ত

১১০। আশাপূর্ণা দেবীর ‘শশীবাবুর সংসার’ উপন্যাসটির নাট্যরূপ দিয়েছেন –

(ক) শিশির ভাদুড়ী

(খ) যোগেশ চৌধুরী

(গ) মণি দত্ত

(ঘ) ধনঞ্জয় বৈরাগী

১১১। ‘আসামী হাজির’ নাটকটি কার উপন্যাস অবলম্বনে রচিত?

(ক) বিমল মিত্রের

(খ) শরৎচন্দ্রের

(গ) আশাপূর্ণা দেবীর 

(ঘ) সমরেশ বসুর

১১২। ‘প্রজাপতি’ নাটকটি কার উপন্যাস অবলম্বনে রচিত?

(ক) বিমল মিত্রের

(খ) আশাপূর্ণা দেবীর

(গ) সমরেশ বসুর

(ঘ) শরৎচন্দ্রের

১১৩। ‘রাণা প্রতাপ সিংহ’ নাটকটির রচয়িতা –

(ক) মধুসূদন

(খ) গিরিশচন্দ্র

(গ) দ্বিজেন্দ্রলাল রায়

(ঘ) দীনবন্ধু মিত্র

১১৪। ‘বিল্বমঙ্গল’ নাটকটি লিখেছেন –

(ক) গিরিশচন্দ্র ঘোষ 

(খ) রবীন্দ্রনাথ

(গ) দীনবন্ধু মিত্র

(ঘ) মধুসূদন

১১৫। ‘ভোজ’ কৌতুক নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) রবীন্দ্রনাথ

(খ) গিরিশচন্দ্র

(গ) দীনবন্ধু মিত্র 

(ঘ) মধুসূদন

১১৬। ‘জতুগৃহ’ নাটকটি রচনা করেছেন

(ক) দীনবন্ধু মিত্র

(খ) বিজন ভট্টাচার্য

(গ) মনোজ বসু

(ঘ) উৎপল দত্ত

১১৭। ‘নরক গুলজার’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) তুলসী লাহিড়ী

(খ) মন্মথ রায়

(গ) রতনকুমার ঘোষ

(ঘ) মনোজ মিত্র

১১৮। ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) মন্মথ রায়

(খ) উৎপল দত্ত

(গ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

(ঘ) রতনকুমার ঘোষ

১১৯। ‘সওদাগরের নৌকা’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়

(খ) শৈলেশ গুহ নিয়োগী

(গ) রতনকুমার ঘোষ

(ঘ) উৎপল দত্ত

১২০। ‘উলুখাগড়া’ নাটকটির রচয়িতা হলেন –

(ক) উৎপল দত্ত

(খ) সমরেশ বসু

(গ) শাঁওলি মিত্র

(ঘ) শম্ভু মিত্র

১। রবীন্দ্রনাথের একটি সামাজিক নাটকের নাম লেখো। 

রবীন্দ্রনাথের একটি সামাজিক নাটক হল ‘বাঁশরি’ (১৩৪০)।

২। মনোজ বসু রচিত দুটি সামাজিক নাটকের নাম লেখো।

মনোজ বসু রচিত সামাজিক নাটক হল ‘নূতন প্রভাত’ ও ‘রাখিবন্ধন’।

৩। বনফুলের কোন নাটক দুটি সবচেয়ে জনপ্রিয়?  

বনফুলের জনপ্রিয় নাটক দুটি হল ‘শ্রীমধুসূদন’ ও ‘বিদ্যাসাগর’।

৪। বিজন ভট্টাচার্যের দুটি উল্লেখযোগ্য নাটকের নাম লেখো।

বিজন ভট্টাচার্যের দুটি উল্লেখযোগ্য নাটক হল ‘নবান্ন’ (১৯৪৪) ও ‘দেবীগর্জন’ (১৯৬৬)।

৫। ‘নবান্ন’ নাটকের প্রেক্ষাপট কী ছিল?

‘নবান্ন’ নাটকটি পঞ্চাশের মন্বন্তরের প্রেক্ষাপটেই রচিত হয়েছিল।

৬। বিজন ভট্টাচার্যের চারটি নাটকের নাম লেখো।

বিজন ভট্টাচার্যের চারটি নাটক হল ‘আগুন’ (১৯৪৩), ‘জতুগৃহ’ (১৯৫১), ‘লাশ ঘুইরা যাউক’ (১৯৭০) ও ‘সোনার বাংলা’ (১৯৭১)।

৭। মন্মথ রায়ের দুটি ঐতিহাসিক নাটকের নাম লেখো।

মন্মথ রায়ের দুটি ঐতিহাসিক নাটক হল ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’ (১৯৫৮) ও ‘অমৃত অতীত’ (১৯৬০)।

৮। সলিল সেন রচিত চারটি নাটকের নাম লেখো।

সলিল সেন রচিত চারটি নাটক হল ‘মৌচোর’ (১৯৫৭), ‘ডাউন ট্রেন’ (১৯৫৯), ‘দিশারী’ (১৯৫৯) ও ‘দর্পণ’ (১৯৬০)।

৯। উৎপল দত্তের শ্রেষ্ঠ নাটক হিসাবে কোন নাটকটিকে গণ্য করা যায় ?

‘ফেরারী ফৌজ’ নাটকটিকে উৎপল দত্তের শ্রেষ্ঠ নাটক হিসাবে গণ্য করা যায়।

১০। বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিং’ নাটকটি কোন ধারায় রচিত?

বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ নাটকটি ‘অ্যাবসার্ড’ নাট্যধারায় রচিত।

১১। বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ অ্যাবসার্ড নাটকটি ছাড়া আর একটি অনুরূপ নাটকের নাম লেখো।

বাদল সরকারের ‘বাকি ইতিহাস’ (১৯৬৭) নাটকটিতে অ্যাবসার্ড নাটকের জীবনদর্শন রয়েছে।

১২। মনোজ মিত্রের একটি হাসির নাটকের নাম লেখো

মনোজ মিত্র রচিত একটি হাসির নাটক হল ‘কোথায় যাবো’ (১৯৭২)।

১৩। মনোজ মিত্রের একটি মঞ্চসফল নাটকের নাম লেখো।

মনোজ মিত্র রচিত একটি মঞ্চসফল নাটক হল ‘নীলকণ্ঠের বিষ’ (১৩৬৯)।

১৪। রতনকুমার ঘোষের রচিত একটি নাটকের নাম লেখ।

রতনকুমার ঘোষ রচিত একটি নাটক হল ‘অমৃতস্য পুত্রা’ (১৯৬৫)।

১৫। উদ্ভট নাট্যরচনাকার হিসাবে খ্যাত এমন একজন নাট্যকারের নাম লেখো।

মোহিত চট্টোপাধ্যায় একজন খ্যাতনামা উদ্ভট নাট্যরচয়িতা।

১৬। উদ্ভট নাটকের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করো।

উদ্ভট নাটকের লক্ষণ হল ঘটনার অসংগতি, পারম্পর্যহীনতা, স্থান-কালের সীমা সম্পর্কে ভ্রূক্ষেপহীনতা, একই চরিত্রে নানা ভূমিকা, অবসাদ, ক্লান্তি, মৃত্যুকামনা ইতাদি। 

১৭। ঋত্বিক ঘটকের একটি মঞ্চসফল নাটকের নাম লেখো।

ঋত্বিক ঘটকের একটি মঞ্চসফল নাটক হল ‘দলিল’ (১৯৫২)। 

১৮। জোছন দস্তিদারের একটি জনপ্রিয় নাটকের নাম লেখো।

জোছন দস্তিদারের একটি জনপ্রিয় নাটক হল ‘দুই মহল’ (১৯৫৮)।

১৯। সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় নাটকের নাম উল্লেখ করো।

সত্য বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত একটি জনপ্রিয় নাটক হল ‘শেষ থেকে শুরু’ (১৯৬৭)।

২০। নাট্যকার দেবনারায়ণ গুপ্ত রচিত ‘বিদ্রোহী নায়ক নাটকে কার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন? 

নাট্যকার দেবনারায়ণ গুপ্ত ‘বিদ্রোহী নায়ক’ নাটকে পরিচালক উপেন দাসের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন।

২১। বিমল রায়ের দুটি লঘু কৌতুকরসাত্মক নাটকের নাম লেখো।

বিমল রায়ের দুটি লঘু কৌতুকরসাত্মক নাটক হল ‘কাঁচকলা’ ও ‘প্ল্যানমাস্টার’। 

২২। শম্ভু মিত্রের পাঠ্য নাটক রূপে খ্যাত একটি নাটকের নাম লেখো।

শম্ভু মিত্রের পাঠ্য নাটক রূপে খ্যাত একটি নাটক হল ‘চাঁদ বণিকের পালা’ (১৯৭৮)।

২৩। নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত কয়েকটি দেশাত্মবোধক নাটকের নাম লেখো।

নাট্যকার মন্মথ রায় রচিত দেশাত্মবোধক নাটকগুলির মধ্যে কয়েকটি হল মহাপ্রেম, স্বর্ণকীট, জওয়ান প্রভৃতি।

২৪। ধনঞ্জয় বৈরাগীর বহু অভিনীত নাটকের নাম লেখো।

ধনঞ্জয় বৈরাগীর বহু অভিনীত নাটক হল সৈনিক।

২৫। বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি নাট্যকাব্যের নাম লেখো।

বুদ্ধদেব বসু রচিত দুটি নাট্যকাব্য হল ‘প্রথম পার্থ’ (১৯৬১) ও ‘কালসন্ধ্যা’ (১৯৬৯)।

২৬। বনফুলের একাঙ্ক নাটকগুলিতে নাট্যকারের কোন কৃতিত্ব পাওয়া যায়? 

বনফুলের নাটকগুলিতে আদি, করুণ, হাস্য ও বীভৎস প্রভৃতি রসের প্রকাশে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছেন।

২৭। নাট্যকার দিগিজচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি একাঙ্ক নাটকের নাম লেখো।

নাট্যকার দিগিজচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি একাঙ্ক নাটক হল ‘পূর্ণগ্রাস’ ও ‘দাম্পত্যকলহে চৈব’।

২৮। আশাপূর্ণা দেবীর ‘শশীবাবুর সংসার’ উপন্যাসের নাট্যরূপ কে দিয়েছেন?  

আশাপূর্ণা দেবীর ‘শশীবাবুর সংসার’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দিয়েছেন মণি দত্ত।

২৯। বিমল মিত্রের একটি উপন্যাসের নাম করো যার নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে।

বিমল মিত্রের ‘আসামী হাজিরা’ উপন্যাসের নাট্যরূপ দেওয়া হয়েছে।

৩০। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের রচনা একটি নাটকের উল্লেখ করো।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি নাটক হল ‘ফেরা’। 

৩১। মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি হাসির নাটকের নাম লেখো।

মোহিত চট্টোপাধ্যায় রচিত একটি হাসির নাটক হল ‘দম্পতি’।

৩২। শাঁওলী মিত্রের একটি জনপ্রিয় নাটকের নাম লেখো।

শাঁওলী মিত্রের একটি জনপ্রিয় নাটক হল ‘নাথবতী অনাথবৎ’।

৩৩। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বহুল জনপ্রিয় কৌতুক নাটকের নাম লেখো।

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের একটি বহুল জনপ্রিয় কৌতুক নাটক হল ‘ঘটক বিদায়’। 

৩৪। ছদ্মনামে শম্ভু মিত্রের লেখা একটি নাটকের নাম লেখো।

শ্রীসঞ্জীব ছদ্মনামে শম্ভু মিত্র ‘উলুখাগড়া’ (১৯৫০) নামে একটি নাটক লিখেছিলেন।

৩৫। অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারটি নাটকের নাম লেখো।

নান্দীকার-এর প্রতিষ্ঠাতা, পরিচালক, অভিনেতা ও নাট্যকার অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চারটি জনপ্রিয় নাটক হল ‘সাঁওতাল বিদ্রোহ’, ‘সওদাগরের নৌকা’, ‘সেতুবন্ধন’ ও ‘জলছবি’।

১। বাংলা নাট্যসাহিত্যে মধুসূদন দত্তের অবদান আলোচনা করো।  (২০১৭, ২০২৩)

বাংলা সাহিত্যে মধুসূদনের আবির্ভাব হঠাৎ করে আসা ঝড়ের মতো। ঝড় যেমন হঠাৎ এসে সমস্ত কিছু ওলট-পালট করে দেয়, মাইকেলও দুরন্ত গতিতে আকস্মিক বাংলা সাহিত্যক্ষেত্রে প্রবেশ করে নতুন নতুন ধারার প্রবর্তন করে কালজয়ী সৃষ্টি উপহার দেন। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে বেলগাছিয়া নাট্যশালায় রামনারায়ণ তর্করত্নের ‘রত্নাবলী’ নাটক অভিনয় দেখে মধুসূদন বাংলা নাটক লিখতে অনুপ্রাণিত হন। অল্প সময়ের মধ্যেই ‘শর্মিষ্ঠা’ (১৮৫৯), ‘পদ্মাবতী’ (১৮৬০), ‘কৃষ্ণকুমারী’ (১৮৬১), ‘মায়াকানন’ (১৮৭৩) এবং ‘একেই কি বলে সভ্যতা’ (১৮৬০) ও ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ (১৮৬০) দুটি প্রহসন লেখেন।

মহাভারতের আদিপর্বের শর্মিষ্ঠা-দেবযানী-যযাতির কাহিনি নিয়ে ‘শর্মিষ্ঠা’ নাটক রচনা করেন, যাতে পুরোনো কাহিনি অনেকটাই পরিবর্তন করে নারী চরিত্রচিত্রণে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও বাস্তবতা এনে চরিত্রগুলিকে প্রাণবন্ত করেছেন। পাশ্চাত্যরীতি নাটকটিতে অনুসৃত হলেও প্রাচ্যভাব সম্পূর্ণ বর্জন করতে পারেন নি, তবে তৎসম শব্দের বহুল প্রয়োগ সংস্কৃতরীতির বাকভঙ্গি নাটাকের ভাষাকে করেছে, বিবৃতিগুলি খুবই বড়ো, বাগাড়ম্বরের ফলে নাটকীয় রস ক্ষুন্ন হয়েছে। 

গ্রিক পুরাণের প্রসিদ্ধ গল্প Apple of discord অবলম্বনে ‘পদ্মাবতী’ রচিত হলেও ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনি রূপেই উপস্থাপিত এবং নাটকে দ্বন্দ্ব সংঘাত যথেষ্ট, বাকবিন্যাস ও প্রকাশভঙ্গি অনেক বেশি সাবলীল। টডের Annals and antiquities of Rajasthan থেকে কাহিনি নিয়ে তিনি ‘কৃষ্ণকুমারী’ নামক ঐতিহাসিক ট্র্যাজেডি নাটক রচনা করেন। ‘কৃষ্ণকুমারী’ পূর্ববর্তী বাংলা নাট্যরচনাগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ। পরবর্তী অধিকাংশে নাটকের তুলনায় ভালো। প্লট নাট্যোপযোগী এবং দ্রুতগতি, পরিণতি স্বাভাবিক, অসংলগ্নতা নেই। ‘মায়াকানন’ নাটকটি ‘কৃষ্ণকুমারী’র মতোই বিয়োগান্ত কিন্তু ট্র্যাজিক পরিণতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। 

‘একেই কি বলে সভ্যতা’ প্রহসনটিতে তিনি তৎকালীন নব্য ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত তরুণ সম্প্রদায়কে ব্যঙ্গ করেছেন এবং তাদের উচ্ছৃঙ্খল ও অনাচারপূর্ণ জীবনের রূপটি উদঘাটিত করেছেন। ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ প্রহসনে মধুসূদন ধর্মধ্বজী লম্পট গ্রাম্য জমিদারদের রূপটি প্রকাশ করেছেন। গাম্ভীররসের নাটকে মাইকেল কতদূর সফল হয়েছেন, সে বিষয়ে তর্ক চলতে পারে, কিন্তু প্রহসন দুটিতে তার যে অসাধারণ ক্ষমতা প্রকাশ পেয়েছে, তার জন্য বাংলা নাট্যসাহিত্যে তিনি দীর্ঘজীবী হয়ে থাকবেন। 

২। ‘নীলদর্পণ’ নাটকের নাট্যকার কে? এটির ইংরেজি অনুবাদ কে করেছিলেন? নাটকটির প্রভাব উল্লেখ করা।  ১+১+৩  (২০২০)

‘নীলদর্পণ’ নাটকের নাট্যকার হলেন দীনবন্ধু মিত্র।

‘নীলদর্পণ’ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ করেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় দীনবন্ধু মিত্রের নাটক ‘নীল দর্পণ’। সেই সময়ের নীলচাষ এবং নীলকরদের অত্যাচারে বাংলার সমাজ জীবনে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল তার মর্মান্তিক ছবি ফুটে উঠেছ এই নাটকে। অষ্টাদশ শতকের শিল্প বিপ্লবের ফলে ইংল্যান্ডের বস্ত্রশিল্পে নীলের চাহিদা প্রবল ভাবে বৃদ্ধি পেলে মুনাফালোভী ইংরেজরা দাদনের জালে আবদ্ধ করে ছলে, বলে, কৌশলে দিল্লি থেকে ঢাকা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে কৃষকদের নীলচাষে বাধ্য করে, অন্যথায় চলে অকথ্য অত্যাচার, গৃহে আগুন, লুটপাট, শারীরিক নির্যাতন, চাবুকের ব্যবহার, স্ত্রী-কন্যার অপহরণ, লাঞ্ছনা, পুলিশি নির্যাতন, খাদ্যাভাব। এরই প্রতিবাদে ১৮৫৯-৬০ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয় নীলবিদ্রোহ ।

অসহায়, অত্যাচারিত কৃষকদের দুঃখদুর্দশা, নীলকরদের অত্যাচার, জমিদার এবং শিক্ষিত মধ্যবিত্তের সামাজিক মানসিকতা, পারস্পরিক কর্তব্যবোধ, পিতৃভক্তি, অপত্যস্নেহ, সাম্প্রদায়িক ও সামাজিক মেলবন্ধন সবই প্রতিফলিত হয়েছে ‘নীলদর্পণ’ নাটকে।

সাহিত্যে অসহায় কৃষকদের প্রতিবাদের চরম প্রকাশ ঘটেছিল দীনবন্ধু মিত্রের ‘নীলদর্পণ’ নাটকে, যার ইংরেজি অনুবাদ করেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। রেভারেন্ড জেমস লঙ নিজ নামে ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করেন। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘নীলদর্পণ’ কে হ্যারিয়েট বিচার স্টো -র নাটক ‘আংকেল টমস কেবিন’ -এর সঙ্গে তুলনা করেছেন । নীলকরদের অকথ্য অত্যাচারের কাহিনীকে ভিত্তি করে লেখা এই নাটকে তৎকালীন সমাজজীবনের অবস্থা, অনুভূতি, শাসন-শোষণ, সংগ্রাম ও সম্প্রীতির চিত্র সুন্দরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।

দীনবন্ধুর প্রথম সার্থক নাটক ‘নীলদর্পণ’। নাটকটিকে কেউ ‘গণনাটক’ বা স্বদেশপ্রেমের উদবোধক স্বরূপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। উচ্চশ্রেণির চরিত্রগুলির সংলাপে কৃত্রিমতা বা ভাবপ্রকাশের আড়ষ্টতা থাকলেও নীচুশ্রেণির নরনারীর চরিত্রগুলিতে ভাষাপ্রয়োগের ক্ষেত্রে নাট্যকার প্রশংসার যোগ্য।

৩। দীনবন্ধু মিত্রের চারটি নাটকের নাম উল্লেখ করে নাট্যকার হিসেবে তাঁর কৃতিত্ব বিচার করো।

দীনবন্ধু মিত্র সাহিত্যজীবন শুরু করেন কবিতা রচনার মধ্য দিয়ে। পরবর্তী সময়ে তিনি নাটক ‘নীলদর্পণ’ (১৮৬০), ‘নবীন তপস্বিনী’ (১৮৬৩), প্রহসন ‘সধবার একাদশী’ (১৮৬৬), ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ (১৮৬৬), ‘জামাই বারিক’ (১৮৭২), ‘লীলাবতী’ (১৮৬৭) ও ‘কমলেকামিনী’ (১৮৭৩) রচনা করেন।

দীনবন্ধুর প্রথম সার্থক নাটক ‘নীলদর্পণ’, যাতে নীলচাষিদের ওপর নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। নাটকটিকে কেউ ‘গণনাটক’ বা স্বদেশপ্রেমের উদবোধক স্বরূপ বলে আখ্যায়িত করেছেন। উচ্চশ্রেণির চরিত্রগুলির সংলাপে কৃত্রিমতা বা ভাবপ্রকাশের আড়ষ্টতা থাকলেও নীচুশ্রেণির নরনারীর চরিত্রগুলিতে ভাষাপ্রয়োগের ক্ষেত্রে নাট্যকার প্রশংসার যোগ্য। বঙ্কিমচন্দ্র ‘নীলদর্পণ’ নাটককে মার্কিন ঔপন্যাসিক স্টো প্রণীত ‘Uncle Tom’s Cabin’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

কমেডি নাটক ‘নবীন তপস্বিনী’ আঁটোসাঁটো নয়, কিন্তু কৌতুকরসের চমৎকারিত্ব রয়েছে। ‘বিয়ে পাগলা বুড়ো’ ও ‘সধবার একাদশী’ প্রহসন দুটিতে দীনবন্ধুর লেখনী অনেক বেশি সপ্রতিভ। ‘সধবার একাদশী’তেই নাট্যকারের সাহিত্যকীর্তির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন হয়েছে। তৎকালীন যুগের একটি বাস্তব সামাজিক সমস্যাকে এই প্রহসনের মধ্য দিয়ে মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। গ্রাম্যতা ও রুচিহীনতা সত্ত্বেও শুধু নিমচাঁদ ভূমিকার জন্যই ‘সধবার একাদশী’র মূল্য কখনো অস্বীকৃত হবে না। জামাই বারিক’ প্রহসনটিতে হাস্যরসের পাশাপাশি করুণরসের ক্ষীনপ্রবাহ লক্ষ্য করা যায়। দীনবন্ধু মিত্রের সামাজিক নাটক ‘লীলাবতী’তে তৎকালীন নগরজীবনের চিত্র ফুটে উঠেছে। ‘কমলে কামিনী’ নাটকটিতে দীনবন্ধু মিত্র তেমন পারদর্শিতা দেখাতে পারেন নি। 

বাংলার নাট্যমঞ্চের ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে নাটকগুলির মূল্য যথেষ্ট রয়েছে। বিশেষত নাটকের মধ্যে পরিহাস, ব্যঙ্গ, করুণা, নির্মোহ দৃষ্টি এবং জীবনকে সুন্দর করে দেখানোর মনোভাব দীনবন্ধুর মধ্যে পাওয়া যায়। তিনি নাট্যকার হিসাবে বাংলা নাট্যসাহিত্যে চিরদিন অমর হয়ে থাকবেন।

৪। বাংলা নাটকের ইতিহাসে গিরিশচন্দ্র ঘোষের দান সম্বনের সংক্ষেপে আলোচনা করো। 

বাংলা নাট্যসাহিত্য এবং নাট্য রঙ্গমঞ্চের জগতে প্রখ্যাত নট ও নাট্যকার গিরিশচন্দ্র এক প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। গিরিশচন্দ্রের নাটকগুলিকে তিন ভাগে ভাগ করা যায় – পৌরাণিক নাটক, সামাজিক নাটক ও ঐতিহাসিক নাটক। এছাড়াও রয়েছে প্রহসন। 

গিরিশচন্দ্রের পৌরাণিক নাটকগুলির মধ্যে প্রধানত নাম করা যায় ‘রাবণবধ’ (১৮৮১), মহাভারতের কাহিনি অবলম্বনে রচিত ‘অভিমন্যুবধ’ (১৮৮১), ‘চৈতন্যলীলা’ (১৮৮৪), ‘বিল্বমঙ্গল’ (১৮৮৮), ‘জনা’ (১৮৯৪), ‘পাণ্ডবগৌরব’ (১৯০০) প্রভৃতি। ‘জনা’ গিরিশচন্দ্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নাটক বলে বিবেচিত এবং শেকসপিয়ারের ‘দ্য ট্র্যাজেডি অব কিং রিচার্ড থার্ড’-এর রানি মার্গারেটের ছায়া ‘জনা’ নাটকে লক্ষ্য করা যায়। 

গিরিশচন্দ্রের সামাজিক নাটকের মধ্যে নাম করা যায় ‘প্রফুল্ল’ (১৮৮৯), ‘হারানিধি’ (১৮৯০), ‘বলিদান’ (১৯০৫), ‘শাস্তি কি শান্তি?’ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ), ‘মায়াবসান’ (১৮৯৮) প্রভৃতি। এই সমস্ত নাটকগুলিতে পারিবারিক, সামাজিক সমস্যা ফুটে উঠেছে। ‘প্রফুল্ল’ নাটকটিতে ট্র্যাজিক পরিণতি সৃষ্টি করেছেন। তবে বিশুদ্ধ ট্র্যাজেডির আদর্শে বিচার করলে ‘প্রফুল্ল’কে যথার্থ ট্র্যাজেডি বলা যাবে না। অতিনাটকীয়তা, খুনজখন, মাতলামি প্রভৃতির বাড়াবাড়ির ফলে এর ট্র্যাজেডি রস বিশেষভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

গিরিশচন্দ্রের ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সিরাজদ্দৌলা’ (১৯০৬), ‘মিরকাশিম’ (১৯০৬), ‘ছত্রপতি শিবাজি’ (১৯০৭), ‘অশোক’ (১৯১০) প্রভৃতি। ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে। সিরাজদ্দৌলা গিরিশের শ্রেষ্ঠ কীর্তি। ‘অশোক’ নাটকটি সম্পর্কে ড. সুকুমার সেন বলেছেন, “অশোক ভূমিকায় মূল কাহিনির মর্যাদা রক্ষিত হইয়াছে। অন্যান্য ভূমিকাও সুচিত্রিত। তবে মারের ভূমিকা প্রয়োজনাতিরিক্ত স্থান গ্রহণ করায় নাট্যরসের হানি হইয়াছে।”

গিরিশচন্দ্র তার প্রহসনগুলির নাম দিয়েছিলেন পঞ্চরং। প্রহসনগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সপ্তমীতে বিসর্জন’, ‘বেল্লিক বাজার’, ‘য্যায়সা কা ত্যায়সা’, ‘সভ্যতার পাণ্ডা’, ‘বড়োদিনের বকশিস’ প্রভৃতি।  লেখকের হাস্যরসসৃষ্টির শোচনীয় অক্ষমতা। ড. অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “এর সংলাপ অস্বাভাবিক ও স্ল্যাং কাহিনি নামমাত্র, এর ধরনধারণ ঠিক যেন ভদ্ররুচির উপযোগী নয়।”

গিরিশচন্দ্রের নাটকে ভক্তিরসের প্রবহমানতা, নীতিকথার মধ্য দিয়ে শিক্ষাদান, নাট্যকাহিনির সুস্পষ্ট পরিণতি, নাট্যকাহিনিতে এক মহান চরিত্রের উপস্থিতি, নাটকে বহুল ঘটনার সমাবেশ, শহরকেন্দ্রিক জীবনের ছবি পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। গিরিশচন্দ্রের নাটকে সাহিত্যশিল্পের যতই অভাব থাকুক নাট্য আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসাবে, নাট্যগুরু, নাট্য পরিচালক এবং নটরূপে তিনি বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে শ্রদ্ধার সঙ্গে চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

৫। দ্বিজেন্দ্রলালের দুটি নাটকের নাম উল্লেখ করে বাংলা নাটকের ধারায় তাঁর কৃতিত্ব বিশ্লেষণ করো।

বাংলা নাট্যসাহিত্যে প্রতিভার স্বাতন্ত্র্যে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে গিয়েছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। নাট্যসাহিত্যে ডি. এল. রায় বলেই পরিচিত লেখক নাটক রচনার প্রাথমিক পর্যায়ে ‘বার্লেস্ক’ ধরনের প্রহসন লেখেন, যার মধ্যে ‘কল্কি অবতার (১৮৯৫), ‘বিরহ’ (১৮৯৭), ‘ত্র্যহস্পর্শ (১৯০০), ‘প্রায়শ্চিত্ত’ (১৯০২), ‘পুনর্জন্ম’ (১৯১৯) প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। দ্বিজেন্দ্রলালের প্রহসনগুলি কৌতুক পরিবেশনার দিক থেকে অনেকটা সফল, বিশেষত গানগুলি থাকায় নাটক উপভোগ্য হয়েছে ঠিকই, তবে স্বগতোক্তির আধিক্য রয়েছে এবং অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রয়োগে দক্ষতার ছাপ পাওয়া যায় না।

পৌরাণিক ঘটনাকে আশ্রয় করে দ্বিজেন্দ্রলালের রচিত ‘পাষানী’ (১৯০০), ‘সীতা’ (১৯০৮), ‘ভীষ্ম’ (১৯১৪) নাটকগুলি অনেকটা সফল। দ্বিজেন্দ্রলালের সামাজিক নাটক ‘পরপারে’ (১৯১২) ও ‘বঙ্গনারী’ (১৯১৬) নাটক দুটিতে নাট্যগুণ বা সাহিত্যগুণের অভাব লক্ষ্য করা যায়।

লেখকের ঐতিহাসিক নাটকগুলির মধ্যে রয়েছে ‘তারাবাঈ’ (১৯০৩), ‘রাণাপ্রতাপ সিংহ’ (১৯০৫), ‘দুর্গাদাস’ (১৯০৬), ‘নূরজাহান’ (১৯০৮), ‘মেবার পতন’ (১৯০৮), ‘সাজাহান’ (১৯০৯), ‘চন্দ্রগুপ্ত’ (১৯১১) ও ‘সিংহল বিজয় (১৯১৬)। ঐতিহাসিক নাটক রচনার ক্ষেত্রে লেখকের প্রতি মন্তব্য, তিনি ইতিহাসকে বিকৃত করে চরিত্র বা ঘটনাকে নিজের মতো করে রূপ দিয়েছেন। 

দ্বিজেন্দ্রলালের নাট্যকৃতিত্ব প্রশংসার যোগ্য। নাটকে চরিত্রসৃষ্টির ক্ষেত্রে, সংলাপ রচনায়, ভাষার কৃত্রিমতায় অতিনাটকীয়তা রয়েছে। লেখকের গভীর ভাবাবেগ অনেক সময় নাটকের বাস্তবতাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এগুলি তাঁর নাটকের ত্রুটিগুলির অন্যতম। তবে তাঁর নাটক যেভাবে জনমানসে দাগ কেটেছে বা কিছু কিছু নাটকের সংলাপ আজও মানুষের আলাপে আলোচনায় প্রকাশ পায় তাতে তাকে বাংলা নাট্যসাহিত্যের এক শ্রেষ্ঠ ঐতিহাসিক নাট্যকার নির্দ্বিধায় আখ্যা দেওয়া যেতে পারে।

৬। বিজন ভট্টাচার্য রচিত একটি নাটকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দিয়ে বাংলা নাটকের ধারায় তার অবদান আলোচনা কর।

ফ্যাসিস্টবিরোধী বুদ্ধিজীবী সাহিত্যিক, লেখকদের মনে ‘৪২-এর আগস্ট আন্দোলন, বাংলার বন্যা জলোচ্ছ্বাসের আঘাত, ব্রিটিশ সরকারের পোড়ামাটি নীতি, মন্বন্তরের যন্ত্রণায় ক্লিষ্ট মানুষের আর্ত ক্রন্দনধ্বনি গভীরভাবে বেদনাহত করেছিল। তারা অনুভব করেছিলেন সামাজিক দায়বদ্ধতা, মানুষের যন্ত্রণা ও হাহাকারের কথা। যার প্রতিফলন ঘটেছে বাংলা কথাসাহিত্যে ও কাব্যসাহিত্যে, তবে প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল বাংলা নাট্যসাহিত্যে। ‘গণনাট্য সংঘ’ সেই দায়িত্ব মাথায় নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল, সেই সংঘেরই একজন বিজন ভট্টাচার্য।

বাংলা নাট্যসাহিত্যে যে নাট্যকীর্তির জন্য বিজন ভট্টাচার্য জনমানসে গভীর দাগ কেটেছিলেন, খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল, তা হল, ‘নবান্ন’ (১৯৪৪) নাটক। বাংলার কৃষকসমাজকে যুদ্ধ, মন্বন্তর কীভাবে বিপর্যয়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল তারই চিত্র তুলে ধরেছেন। নবান্ন উৎসব বাংলার কৃষককুলের কাছে এক মিলন উৎসব। লক্ষ্মীকে ঘরে বরণ করে নেয় কৃষককুল, কিন্তু আজ তারা সেই উৎসবমুখর পরিবেশ থেকে দূরে। আর্থসামাজিক পরিকাঠামো, স্বার্থলোলুপ ব্যবসায়ীর লোভ, বিপর্যয়ের শিকার হয়ে আমিনপুরের কৃষকরা খাদ্যের সন্ধানে রত। গ্রাম ছেড়ে শহরের পথে পথে একমুঠো অন্নের প্রত্যাশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়িয়েছে। আবার নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে রাধিকা-কুঞ্জ, নিরঞ্জন বিনোদিনী, প্রধান প্রমুখ গ্রামের মানুষ একত্রিত হয়েছে। নবান্ন’ নাটকটির বিশেষত্ব যে, এখানে বাস্তব প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি করে সামাজিক দুর্দশার করুণ চিত্র যেমন ফুটিয়ে তুলেছেন, তেমনি বিপর্যয়ের মাঝেও মানসিক দৃঢ়তা বজায় রেখে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে প্রেরণা জুগিয়েছেন নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্য।

বাংলা নাটকের ধারায় ‘নবান্ন’ নাটকের মধ্য দিয়ে কতকগুলি নতুনত্ব দেখা দিয়েছিল। এই নাটকেই সর্বপ্রথম মূল চরিত্রগুলি সমগ্র কৃষকসমাজ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, চরিত্রগুলি ব্যক্তিরূপ অপেক্ষা শ্রেণিরূপেই উপস্থাপিত হয়েছে এবং নাটকের মূল সংঘাত শ্রেণির সঙ্গে শ্রেণির, পরিবার কেন্দ্রিক জীবন সমস্যা গৌণ, কৃষকসমাজের সমস্যা মুখ্য, শিল্পের আবেদন অপেক্ষা তত্ত্বের প্রতিষ্ঠা ও প্রচারই প্রাধান্য পেয়েছে।

নাটকের রীতি ও কলাকৌশলের দিক থেকে বলা যায় যে, পূর্বে বর্ণোজ্জ্বল দৃশ্যপট, অঙ্গসজ্জা, সাজপোশাক শোভা পেত, নবান্ন নাটকেই বুভুক্ষু মানুষের মিছিল, ছিন্নবাস, নগ্ন গাত্র, খাদ্যের জন্য মানুষের বীভৎস পশুবৃত্তির চিত্র উপস্থাপিত হল। আলো ও শব্দযোগে নানা কলাকৌশলের প্রয়োগ দেখানো হয়, শব্দযোগে অভিন্ন কলাকৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল। এই নাটকেই সর্বপ্রথম মাইক ব্যবহার করা হয়েছিল।

৭। নাট্যকার উৎপল দত্তের নাট্যপ্রতিভার পরিচয় দাও। 

সাম্প্রতিক কালের নাটকের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত নাটক রচনা, নাট্যাভিনয় ও নাট্যপ্রযোজনায় উৎপল দত্ত এক স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি প্রথমে গণনাট্য সংঘের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও পরবর্তীকালে সেখান থেকে বেরিয়ে এসে ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপ’ গড়ে তোলেন। এই নাট্যসংস্থার উদ্যোগে ও প্রযোজনায় ‘অঙ্গার’ ‘ফেরারী ফৌজ’, ‘কল্লোল’, যা উৎপল দত্তের রচিত বিশেষ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। 

এরপর ‘লিটল থিয়েটার গ্রুপ’ ভেঙে ‘পি.এল.টি’, ‘লোকায়ন’, ‘চলাচল’ ‘থিয়েটার ইউনিট’ ও ‘এপিক থিয়েটার’ গঠিত হয়, কিন্তু উৎপল দত্ত মূল শাখা ‘পি.এল.টি’-তে থেকে যান এবং এই সংস্থা থেকে ‘টিনের তলোয়ার’, ‘ব্যারিকেড’, ‘দুঃস্বপ্নের রাত্রি’, ‘তিতুমির’, ‘তুরুপের তাস’, ‘লৌহমানব’, ‘দাঁড়াও পথিকবর’, ‘মালো পাড়ার মা’ প্রভৃতি নাটক প্রযোজনা করেন।

উৎপল দত্তের নাটকগুলির মধ্যে বিশেষত্ব হল নাটকের বাস্তবতা, নাটকের সংলাপ পরিবেশ ও চরিত্র উপযোগী। তিনি জীবনের কোমল, সুন্দর রূপের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন না, তাই স্পষ্টভাবে নিজের মত প্রচার করেছেন। ‘ফেরারী ফৌজ’ উৎপল দত্তের শ্রেষ্ঠ নাটক, যেখানে মানবীয় হৃদয়বৃত্তির মূল্য ও জটিল জীবনরস প্রকাশ পেয়েছে। বাংলার বৈপ্লবিক আন্দোলনের পটভূমিকায় নাটক রচিত হলেও চরিত্রগুলি তাত্ত্বিক বা টাইপ নয়, বরং একান্তই মানুষ। মানুষের মতোই কর্তব্য পালনে সচেষ্ট বলে নাটকের আবেদন সর্বজনীন ও চিরন্তন। বহু বিতর্কিত নাটক ‘কল্লোল’ বিষয়বস্তুর অভিনবত্বে, প্রয়োগরীতির অসাধারণ নৈপুণ্যে, বলিষ্ঠ অভিনয় কুশলতায় বাংলা রঙ্গমঞ্চ জগতে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। 

উৎপল দত্তের ‘অজেয় ভিয়েতনাম’ ও ‘মানুষের অধিকারে’ নাটক দুটিতে আমেরিকার প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রদর্শিত হয়েছে। ‘টিনের তলোয়ার’ নাটকে গ্রেট বেঙ্গল অপেরার কুশীলবদের জীবনকথা বর্ণিত হয়েছে। উৎপল দত্ত কয়েকটি যাত্রাপালাও রচনা করেছেন যার মধ্যে ‘সন্ন্যাসীর তরবারি’, ‘অরণ্যের ঘুম ভাঙছে, ‘তুরুপের তাস’, ‘সাদা পোশাক’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

Leave a Comment